1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীর জন্য সুখবর!

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ওজোন গহ্বর ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা৷ ৮০'র দশক থেকে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলা ওজোন স্তরের গহ্বরটা সংকুচিত হওয়ার ফলে বড় ধরনের হুমকির মুখ থেকে বেঁচে যাবে পৃথিবী৷

Ozonloch über der Antarktis
ছবি: NASA

৩৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, স্ট্র্যাটোসফেরিক ওজোন স্তরের বিস্তার ঘটেছে৷ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শূন্যস্তর হলো বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় মুখ্য স্তর৷ বায়ুমণ্ডলের ৯০ শতাংশ ওজোন পাওয়া যায় পৃথিবীর ‘রক্ষা বলয়' হিসেবে পরিচিত এই স্তরে৷

ওজোন অক্সিজেনের একটি রূপভেদ৷ যার রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর একত্রিকরণ৷ সূর্য থেকে যে অতিবেগুনি রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে, তা ফিল্টার করে এই শূন্যস্তর এবং সেই পন্থায় মানুষকে রক্ষা করে চর্ম ও চোখের ক্ষতির হাত থেকে৷ মাঠের ফসলকেও অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে এই ওজোন স্তর৷ বিজ্ঞানীরা বুধবার এই তথ্য জানিয়ে বলেন, এই উন্নয়ন থেকেই বোঝা যায় সংকট কালে এক হয়ে কাজ করলে বিশ্বের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবেলা করা সম্ভব৷

ট্র্যাটোসফেরিক ওজন স্তরের বিস্তার ঘটেছেছবি: picture-alliance/dpa

নাসা-র বিজ্ঞানী পল নিউম্যান জানান, ‘‘২০০০ থেকে ২০১৩ সাল অবধি ওজনের মাত্রা চারগুণ বেড়েছে৷ উত্তর অক্ষাংশে প্রায় ৩০ মাইল জুড়ে এর বিস্তার হয়েছে৷'' আনুমানিক ৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজন স্তর পাতলা হতে থাকে৷ মানবসৃষ্ট ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন অর্থাৎ সিএফসি, যা থেকে ক্লোরিন ও ব্রোমিন নিসৃত হয়৷ এই নিঃসরণের ফলে ওজন স্তরের ঘনত্ব কমে যাচ্ছিল৷ সৃষ্টি হয়েছিল ফাটল বা গহ্বরের৷ বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করলে ১৯৮৭ সালে বিশ্বের দেশগুলো সিএফসি নির্গমন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়৷ এর ফলে সিএফসি নির্গমন হার এই কয়েক বছরে অনেকটা কমেছে৷

বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘ঐ চুক্তিতে না পৌঁছালে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত আরো ২০ লাখ মানুষ ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হতেন৷'' অবশ্য তাঁদের কথায়, ‘‘ওজন স্তরের বিশাল গহ্বরটি বন্ধ করতে এখনো আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে৷''

ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির তেজস্ক্রিয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে৷ সুতরাং গহ্বর যত বড় হবে, তত মানবজাতির জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে৷ রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন বা সিএফসি মন্ট্রিয়ল পরিবেশ চুক্তি অনুযায়ী ধীরে ধীরে বর্জন করা হলেও, এ ধরণের রাসায়নিক বহুকাল ধরে বায়ুমণ্ডলে থেকে যায়৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ