1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশব্রাজিল

পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্রাজিলের আলোকচিত্রী

২৫ এপ্রিল ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ যে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, সে বিষয়ে আর কোনো সংশয় নেই৷ ব্রাজিলের এক ফটোগ্রাফার নিজের আলোকচিত্রের মাধ্যমে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃতির আরো কাছে আনার চেষ্টা করছেন৷

সেবাস্তিয়াঁও সালগাদো
সেবাস্তিয়াঁও সালগাদো আলোকচিত্রের মাধ্যমে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃতির আরো কাছে আনার চেষ্টা করছেন৷ছবি: Luca Bruno/AP/picture alliance

সেবাস্তিয়াঁও সালগাদো গোটা বিশ্ব চষে বেড়িয়েছেন৷ বেশ কয়েকবার অ্যামাজন অঞ্চলেও পা রেখেছেন৷ তিনি নিজেকে সমাজবিজ্ঞানী বা নৃতত্ত্ববিদ মনে করেন না বটে, কিন্তু ফটোগ্রাফার হিসেবে তিনি মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন৷ তাঁর মতে, ‘‘আমরা আজ শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি৷ নিজেদের গ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি৷ প্রায়  এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো আমরা আমাদের গ্রহে বাস করছি৷ নিজেদের গ্রহকেই আর চিনি না৷ দূর থেকে সেই গ্রহকে দেখি, গ্রহের উপর দিয়ে উড়ে যাই, গ্রহের কাছে রাস্তার উপর গাড়ি চালাই৷ কিন্তু গ্রহের উপর খুব কমই যাই৷''

নিজের গভীর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেবাস্তিয়াঁও সালগাদো মনে করেন, ‘‘অ্যামাজন অঞ্চলেই সম্ভবত এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি সংস্কৃতির ঘনত্ব দেখা যায়৷ ব্রাজিলে ১৯২টি উপজাতি রয়েছে, যারা ১৮০টি ভাষা বলে৷ ১৯২টি ভিন্ন সংস্কৃতি৷ সেটাই হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক ঘনত্ব৷ সেটা আমাদের অতীতের কাহিনি৷ মানবজাতির আদিম ইতিহাস সেখানে রয়েছে৷ সেটা একটা অভাবনীয় মাত্রা৷ প্রাগৈতিহাসিক কাহিনি সংরক্ষণ করতে পারলে তবেই আমরা মানবজাতির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবো৷ আমরা বড় সংকটের সূচনাপর্বে রয়েছি৷ আমরা অভূতপূর্ব খরা দেখছি৷ আমরা অভাবনীয় ঘূর্ণীঝড় সৃষ্টি হতে দেখছি৷ কীভাবে পানির স্তর বেড়ে চলেছে, তা দেখতে পাচ্ছি৷ আমরা জমি হারাতে শুরু করেছি৷ উষ্ণায়নের এক মুহূর্তের পর আর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না৷''

প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার ব্রাজিলের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু সে বিষয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷ সালগাদো বলেন, ‘‘আমার মতে, সেই কাজের সময় এখন এসে গেছে৷ তার জন্য আমাদের অ্যাক্টিভিস্ট হয়ে ওঠার প্রয়োজন নেই৷ উষ্ণায়নের গতি কমানো ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমাদের সহযোগিতার পথ বেছে নিতে হবে৷''

নিরাপদ পৃথিবীর আশা জাগায় যার ছবি

04:17

This browser does not support the video element.

২০ বছর ধরে তিনি পারিবারিক ব্যবসার জন্য পুনর্বনায়ন করেছেন৷ তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন পথে অগ্রসর হবে বলে তাঁর আশা৷ সালগাদো মনে করেন, ‘‘এর জন্য অ্যাক্টিভিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ বরং টিকে থাকার সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷ অ্যাক্টিভিজম নয়, এটা অস্তিত্বের প্রশ্ন৷ আমি তরুণ প্রজন্মকে গ্রহে ফিরে যাবার পরামর্শ দেবো৷ আমরা অবশ্যই আর জঙ্গল বা গুহায় বাস করবো না৷ কিন্তু আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে আমাদের গ্রহে ফিরে যেতেই হবে, পুনর্গঠনে সাহায্য করতে হবে৷ পৃথিবীকে, আমাদের গ্রহকে ভালোবাসতে আমরা ফিরে আসছি৷ আমরা ফিরে এসে অস্বীকার করছি, যে আমরা আসলে এলিয়েন বা আমাদের গ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন শহুরে মানুষ৷ তোমাদের ফিরে আসতেই হবে, আমাদের দেখতে আসতে হবে৷ জমি, গাছ, নদী, পাহাড় ভালোবাসতে হবে৷ বুঝতে পারছো? আবার গ্রহ দেখে মুগ্ধ হও৷ পৃথিবীর কোনো জিনিস দেখে ভয় পেও না৷        

সেবাস্তিয়াঁও সালগাদোর সৃষ্টিকর্ম গ্রহ হিসেবে পৃথিবীর প্রতি এক শ্রদ্ধার্ঘ৷ প্রায় ৮০ বছর বয়সি এই মানুষটি চান, আমরা যেন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করি৷

ভানেসা ফিশার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ