1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দশটি বিপজ্জনক ভাইরাস

হেলেনা শ্যোয়ার/এআই১৪ আগস্ট ২০১৪

এবোলা ভাইরাসের কথা শুনে আপনার মনে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে৷ তবে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাস নয়৷ এমনকি এইচআইভি-ও নয়৷ পড়ুন পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক দশটি ভাইরাস নিয়ে ডয়চে ভেলের তালিকা৷

Ebola Virus
ছবি: picture-alliance/Everett Collection

১. পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাসের নাম মারবুর্গ ভাইরাস৷ জার্মানির লান নদীর পাশের শহর মারবুর্গের নামে ভাইরাসটির নামকরণ হলেও এই শহরের সঙ্গে সেটির আসলে কোনো সম্পর্ক নেই৷ ‘হেমোরেজিক' জ্বর সৃষ্টিকারী এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা এবোলার মতোই, তবে এতে আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কা ৯০ শতাংশ৷

২. এবোলা ভাইরাসের পাঁচটি ধরন রয়েছে৷ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলের নামে এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে: জাইরি, সুদান, তাই ফরেস্ট, বুন্ডিবিগিয়ো এবং রোস্টান৷ বর্তমানে গিনিয়া, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাইরি ছড়াচ্ছে৷ আর এটিই এবোলার সবচেয়ে মারাত্মক সংস্করণ, যাতে মৃত্যুর শঙ্কা ৯০ শতাংশ৷

৩. হেন্টাভাইরাস বলতে অনেক ধরনের ভাইরাসকে বোঝানো যায়৷ ধারণা করা হয় ১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধের সময় হেন্টা নদীর তীরে অবস্থানকালে মার্কিন সেনারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন৷ এতে আক্রান্তের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুসফুসে প্রদাহ, জ্বর এবং কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়া৷

৪. বার্ড ফ্লু ভাইরাসের বিভিন্ন সংস্করণ নিয়মিতই আতঙ্ক তৈরি করছে৷ এটা যৌক্তিকও কেননা এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার সত্তর শতাংশ৷ তবে এতে সংক্রমণ সহজ নয়৷ শুধুমাত্র হাস-মুরগির সংস্পর্শে গেলে এতে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে৷ এশিয়াতে এই ভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি৷ কারণ সে অঞ্চলের অনেক মানুষ মুরগির খুব কাছে বসবাস করেন৷

৫. নাইজেরিয়ার একজন সেবিকা প্রথম লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত হন৷ ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়৷ তবে ভাইরাসটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ছড়ায়৷ পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রবনতা বেশি৷ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সেখানকার ১৫ শতাংশ ইঁদুর লাসা ভাইরাস বহন করছে৷

৬. আর্জেন্টিনার ‘হেমোরেজিক' জ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত জুনিন ভাইরাস৷ সমস্যা হচ্ছে এটির লক্ষণ আরো অনেক রোগের লক্ষণের মতো হওয়ায় শুরুতেই এটি সনাক্ত করা সম্ভব হয় না৷

৭. ক্রিমিয়া-কংগো জ্বরের ভাইরাস ‘টিক' পতঙ্গের মাধ্যমে ছড়ায়৷ এটির লক্ষণ অনেকটা এবোলা এবং মারবুর্গ ভাইরাসের মতোই৷

৮. বলিভিয়ার ‘হেমোরহেজিক' জ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাচুপো ভাইরাস৷ এটি ‘ব্লাক টাইপুস' হিসেবেও পরিচিত৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর হয়, সঙ্গে শুরু হয় মারাত্মক রক্তপাত৷ জুনিন ভাইরাসের মতো এটির বৃদ্ধি ঘটে৷ মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে৷

৯. ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলবর্তী বনভূমিতে প্রথম ‘কিয়াসানুর ফরেস্ট ভাইরাস' বা কেএফডি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা৷ সেটা ১৯৫৫ সালের কথা৷ এই ভাইরাস টিকের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়৷ তবে ঠিক কারা এটা বহন করে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি৷ ধারণা করা হয় ইঁদুর, পাখি এবং বন্য শুকর কেএফডি ভাইরাস বহন করে থাকতে পারে৷

১০. ডেঙ্গু জ্বর এক নিয়মিত হুমকি৷ তাই আপনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করলে, ডেঙ্গু সম্পর্কে আগে খোঁজ নিয়ে নিন৷ মশা বাহিত এই ভাইরাসে প্রতি বছর পর্যটনের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো দেশে সবমিলিয়ে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হন৷ তবে পর্যটকদের চেয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এই ভাইরাস বড় হুমকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ