পেগাসাস দিয়ে আড়িপাতা মানা যায় না: ইউরোপীয় কমিশন
২০ জুলাই ২০২১পেগাসাস নিয়ে চিন্তিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। তিনি বলেছেন, ''আমরা যেটুকু পড়েছি, তা যদি সত্যি হয় তা হলে এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মের বিরোধী।'' প্রাগ সফরে গিয়ে উরসুলা বলেছেন, ''ইইউ-র প্রধান মূল্যবোধের মধ্যে অন্যতম হলো, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ফ্রি প্রেস। সে জন্যই সাংবাদিকদের ফোন হ্যাকিং মেনে নেয়া যায় না।''
পেগাসাস স্পাইওয়্যার তৈরি করেছে ইসরায়েলের সংস্থা এনএসও। ১৭টি মিডিয়া সংগঠন একসঙ্গে পেগাসাস ব্যবহার করে ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে। তাদের রিপোর্ট হলো, পেগাসাস ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক, রাজনীতিক, সরকারি অফিসার ও মানবাধিকার কর্মীদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে।
এনএসও অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০১০ সালে ইসরায়েলে এই কোম্পানি তৈরি হয়। তারা জানিয়েছে, এনএসও শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত নিরাপত্তা এজেন্সিকেই পেগাসাস বিক্রি করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অপরাধ ঠেকানোর জন্য।
ঘটনা হলো, এই প্রথমবার পেগাসাস ব্যবহার করে ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উঠছে এমন নয়। ২০১৬ সালে গবেষকরা বলেছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতা হয়েছে। ২০১৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ এমএসও-র বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, তাদের ও গ্রাহকদের অজান্তে এনএসও পেগাসাস ব্যবহার করে ফোনে নজরদারি চালিয়েছে।
যে সব ফোন নম্বরে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি অধিকাংশই আজারবাইজান, বাহরিন, হাঙ্গেরি, ভারত, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, মরক্কো, সৌদি আরব ও আমিরাতের ফোন নম্বর। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, জামাল খাসোগিকে হত্যার পর তার বাগদত্তার ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতা হতো।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি)