ভারতীয় পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা সতর্কতামূলক নির্দেশনায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি তাঁরা নিজেদের মেদ-ভুঁড়ি না কমান, তাহলে চাকরি চলে যেতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
থলথলে ভুঁড়ি আর মেদসর্বস্ব শরীর নিয়ে আর যা-ই করা যাক, পুলিশের চাকরি করা যায় না৷ পেটমোটা নাদুস-নুদুস মার্কা পুলিশ বলিউড ছবির কমিক চরিত্রেই মানায়৷ তাই পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন৷ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, একটা সময় সীমার মধ্যে হয় ভুঁড়ি কমাও, মেদ ঝরাও, না হলে চাকরি খোয়াও৷ গত দেড় বছরে দেড়শ'র মতো পুলিশ কর্মী অকালে মারা গেছে মূলত বেশি মোটা হয়ে যাওয়ার কারণেই৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, মেদবহুল লিভার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস,কিডনি এবং হৃদরোগ৷ নিয়ন্ত্রণহীন জীবনযাপন এবং ব্যায়াম ও ডায়েট কন্ট্রোল না করার কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান তাঁরা৷ তারপর ভারতের কর্নাটক রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছেন৷ চিহ্নিত করা হয়েছে মেদ-ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ সদস্যদের৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাঁদের শরীরে শর্করার মাত্রা কেমন এবং কতটা৷
সেই অনুপাতে বয়স অনুযায়ী ভাগ তাঁদের চারভাগে করা হয়েছে৷ বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের পাঠানো হয়েছে ট্রেনিং প্রোগ্রামে৷ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও ব্যায়ামের টিপস৷ বিশেষ করে শেখানো হচ্ছে যোগ ব্যায়াম এবং সেই সঙ্গে কাউন্সেলিং৷ পাশাপাশি খাদ্য তালিকাতেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে৷ মাছ-মাংস ও ডিমের বদলে বেশি করে শাকসবজি, স্যালাড, জোয়ার, বাজরা খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে মদ বা অ্যালকোহল, বিড়ি সিগারেট, খইনি ও ঘুটকা ছাড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী (সিআরপিএফ) এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ বাহিনীতে বার্ষিক দৈহিক ফিটনেস পরীক্ষা দেবার নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে৷ কিন্তু সেটা মানা হয় না৷
খাওয়া না কমিয়েও মেদ কমানোর কিছু উপায়
বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকেই মহা দুশ্চিন্তায়৷ মেদ কমাতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে নতুন সমস্যাও ডেকে আনেন কেউ কেউ৷ অথচ খাওয়া-দাওয়া না কমিয়ে, অর্থাৎ ‘ডায়েট’ না করেও কিন্তু মেদ কমানো যায়৷
ছবি: Fotolia/Markus W. Lambrecht
অট্টহাসি মেদ কমায়!
দিনে দশ মিনিট করে জোরে জোরে হাসলেও নাকি মেদ কমে৷ হাসলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তপ্রবাহেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে৷ রীতিমতো গবেষণা করে তা জানা গেছে৷ গবেষকরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে সাধারণত আটবারের মতো হাসেন, অন্যদিকে কোনো কোনো শিশু নাকি তিনশ’বার পর্যন্ত হাসে৷
ছবি: Fololia/olly
নিয়মিত ঘরের কাজ করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ঘরের সাধারণ কাজগুলো করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়৷ ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা, বিছানার চাদর বদলানো- এ ধরণের কাজগুলো করলেও মেদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ তো করা যায়ই, এমনকি মেদও কমানো যায়৷
ছবি: mmphotographie.de/Fotolia.com
মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন
খাবারে যত কম মশলা থাকবে ততই ভালো৷ মশলায় যে অ্যালকালয়েড থাকে তা মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক৷ তাই মশলাযুক্ত খাবার যত ভালোই লাগুক, মেদ কমাতে চাইলে সেরকম খাবার কম খাওয়াই উত্তম৷ তবে মরিচ এবং দারুচিনির উপকার আছে৷ এগুলো রক্তে চিনির মাত্রা কমায়৷ দারুচিনি তো মেদও কমায়৷
ছবি: Fotolia/karepa
চুমুও মহৌষধ
এক মিনিট চুমু খেলে শরীর থেকে ২০ ক্যালরির মতো চর্বি ধ্বংস হয়৷ পুরুষরা যখন চুমু খায় তখন তাদের মুখমণ্ডলের ৩৮টি পেশির সংকোচন-প্রসারন হয়৷ বলতে পারেন মুখের ব্যায়ামও হয় তখন৷
ছবি: nikkytok / Fotolia
বাস, ট্রেন, ট্রামে চড়ুন
এসি লাগানো গাড়িতে বসে কর্মস্থলে যেতে খুব আরাম, তবে তাতে কিন্তু মেদ বাড়ে৷ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের ধকল সহ্য করুন দেখবেন তাতেও মেদ খুব একটা বাড়ছেনা৷ দৌড়ে বাস, ট্রেন ধরার মতো প্রাত্যহিক ধকল দিনে ৩০ মিনিট সহ্য করলে নাকি ২৭০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়৷
ছবি: AP
হরর মুভি দেখুন
ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, হরর মুভি বা ভৌতিক ছবি দেখলেও নাকি মেদ কমে৷ তাঁরা বলছেন, একটা ভৌতিক ছবি দেখলে ১৩৩ ক্যালরি মেদ ধ্বংস হয়৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ভীতিকর দৃশ্য দেখার সময় শরীর থেকে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরন বেড়ে যায়৷ এ প্রক্রিয়ায় চর্বিও গলে যায়৷
ছবি: Fotolia/Deklofenak
যৌনমিলন
ডায়েট না করে মেদ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় নাকি যৌনমিলন৷ একবারের পরিপূর্ণ যৌনমিলনে নাকি ৮০ থেকে ৩৫০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়৷
ছবি: Colourbox/Syda Productions
7 ছবি1 | 7
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে লাগাতার যোগায়োগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু মিডিয়ায় কেউ মুখ খুলতে রাজি নন৷ কেউ বলেন, ‘‘মিটিং-এ আছি'', কেউ বলেন ‘‘ব্যস্ত আছি৷'' মোটকথা তাঁরা মুখ ফুটে কিছু বলতে রাজি নন৷ পাছে কোনো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন! শেষমেষ দিল্লির এক পুলিশ অফিসারের অফিসে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর স্বাস্থ্য সচেতনতা কতটা, তা জানতে চাইলে তিনি তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করতে নিষেধ করেন এবং নাম প্রকাশেও অনিচ্ছা ব্যক্ত করে শুধু এইটুকুই বললেন যে, ‘‘সব পুলিশ পেট মোটা, মেদবহুল এ কথা মনে করার কারণ নেই৷ ৭০ শতাংশের বেশি পুলিশ দৈহিক দিক থেকে ফিট৷ আমাদের যে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় দিনরাত, শরীর ফিট না থাকলে তা কি করে সম্ভব, আপনিই বলুন ? পুলিশকে গড়পড়তা ১০-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়৷ হ্যাঁ, মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশের বাড়তি মেদ থাকতে পারে৷ কিন্ত বেশির ভাগই শারিরীক দিক থেকে মোটামুটি ফিট৷ তবে নিয়মিত ব্যায়াম বা ডায়েট কন্ট্রোল করার সরকারি নির্দেশ অন্তত দিল্লি পুলিশের নেই৷ তবে এটা জানা কথা, শরীর ফিট না থকলে প্রমোশন আটকে যাবে৷''
উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং এবং প্রমোশনের জন্য দিতে হয় শেপ-ওয়ান ফিটনেস সার্টিফিকেট৷ শেপের ইংরেজি বানান অনুযায়ী এস মানে সাইক্রিয়াট্রিক বা মানসিক, এইচ মানে শ্রবণশক্তি, এ মানে আন্ত্রিক, ই মানে দৃষ্টিশক্তি আর পি মানে ফিজিক্যাল৷ এটা হচ্ছে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷ উচ্চপদস্থ এবং নিম্নপদস্থ সবাইকে এখন থেকে সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ না দিলে পদোন্নতি আটকে যাবে, এমনকি চাকরিই চলে যেতে পারে৷ এমনটাই বক্তব্য কর্নাটক পুলিস কর্তৃপক্ষের৷
ফাস্টফুড থেকে সাবাধান!
জার্মানিতে শতকরা প্রায় ১৫ জন কিশোর-কিশোরীর অতিরিক্ত ওজন৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগই অতিরিক্ত ওজনের কারণে অসুস্থ৷ ফাস্টফুড বা এজাতীয় খাবার খাওয়া এবং সে তুলনায় প্রয়োজনীয় হাঁটাচলা না করায় শরীরে মেদ জমে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফাস্টফুড খেলে জীবন হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ
পিৎসা, বার্গার, কোকাকোলা, চিপস – সবকিছু নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে যাওয়া, এটা অনেক বাচ্চা এবং কিশোর-কিশোরীদের যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে৷ কিন্তু এর পরিণামের কথা কি ভেবে দেখেছেন মা-বাবারা? নিয়মিত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শিশুদের ফুলের মতো সুন্দর জীবন আগামীতে হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ
ছবি: dreamer12 - Fotolia.com
চিপস, চকলেট আর কোক
প্রায়ই দেখা যায় সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাচ্চারা কিছু না খেয়ে তাড়াহুড়ো করে স্কুলে চলে যায়৷ আর যাবার সময় তুলে নেয় চিপস বা চকলেট জাতীয় কিছু একটা, আর সাথে হয়ত ছোট্ট কোকের বোতল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তৈরি খাবার
স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরেও সেই একই অবস্থা! বন্ধুরা অপেক্ষা করছে খেলার জন্য বা অন্য কোথাও একসাথে যাবে তাই৷ কাজেই এই অল্প সময়ে রেডিমেড খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই৷ ফ্রিজে রয়েছে বার্গার, পিৎসা বা এ ধরণের অনেক কিছু৷ পেট ভরাই মূল লক্ষ্য , পরিণাম নিয়ে কারো যে মাথা ব্যথা নেই৷
ছবি: Fotolia/Barbara Dudzińska
শতকরা ১৫ জন কিশোর-কিশোরী মোটা
জার্মানিতে শতকরা প্রায় ১৫ জন কিশোর-কিশোরীর অতিরিক্ত ওজন৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগই অতিরিক্ত ওজনের কারণে অসুস্থ৷ বেশি চিনি এবং বেশি চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং সে তুলনায় প্রয়োজনীয় হাঁটাচলা না করায় শরীরে মেদ জমে যায়৷ সোজা কথায় – শারীরিক পরিশ্রম যে কম করে তার শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজনও হয় কম৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুগের হাওয়া
আজকের যুগের ছেলে-মেয়েরা বেশিরভাগই বাইরে খেলাধুলা করার চেয়ে পছন্দ করে নানা ধরণের কম্পিউটার গেম৷ বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন৷ আর টেলিভিশন তো রয়েছেই৷ অর্থাৎ তাদের শরীরের তেমন কোনো কাজ নেই৷ অন্যদিকে খেতে পছন্দ ‘ফাস্টফুড’, যা এ যুগের ছেলে-মেয়েদের কাছে রীতিমতো ফ্যাশান৷ কাজেই শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া খুবই সহজ৷ মনের অজান্তে অল্প বয়সে সেখানেই বাসা বাঁধে নানা কঠিন রোগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শারীরিক সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যা
অতিরিক্ত ওজনকে ঠিক সময়ে গুরুত্ব না দেওয়ায় দেখা দেয় শারীরিক নানা সমস্যা, যা পরে মানসিক সমস্যাও হয়ে দাঁড়ায়৷ অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় চলাফেরায় বাঁধা হয়ে যায়৷ ফলে স্কুলেও অন্যান্য বাচ্চাদের কাছ থেকে তারা দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়৷ সমবয়সিরাও মোটাদের নানাভাবে নানা কথা বলে উত্তেজিত করে এবং অন্যদের সাথে মিশতে নিরুৎসাহিত করে৷ ফলে মানসিকভাবে তারা অসুস্থ বোধ করে ও হতাশায় ভোগে৷ তখন খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় আরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অতিরিক্ত ওজন অনেক অসুখেরই পূর্বাভাস
জার্মানির উলম শহরে ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকে ৫২০ জন মোটা বাচ্চা বা কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে গবেষণা করা হয়৷ ফলাফলে দেখা গেছে যে ওদের লিভারেরও রয়েছে অতিরিক্ত চর্বি৷ তাই প্রায়ই দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের পূর্বাভাস, যা পরবর্তীতে ডায়েবেটিস এবং হার্টের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ তাছাড়াও অতিরিক্ত ওজন থাকার ফলে অল্প বয়সেই হাড়ের জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সহজ সমাধান
জার্মানির স্বাস্থ্য সচেতনতা দপ্তরের কর্মকর্তা রাইনহার্ড মান মনে করেন, সন্তানকে বকাবকি বা অভিযোগ করে এর সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷ বাচ্চার বয়স, উচ্চতা, স্কুলের চাপ ইত্যাদি ভালো করে জেনে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেভাবে খাবার দেওয়া উচিত৷ কারণ অনেক সময় দেখা যায়, বাড়ন্ত বয়সে যাদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না, বড় বয়সে তারা খাওয়ার দিকে অতি মনোযোগী হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ন্ত বয়স
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায়, ছেলে-মেয়ের বাড়ন্ত বয়সে অনেক বেশি খেতে দিতে হয়৷ কিন্তু ঠিক কতটুকু খাবার কার প্রয়োজন, তা তাদের জানা নেই৷ সময় মতো এ বিষয়ে খেয়াল রাখলে হয়ত অনেক সমস্যারই নিজে থেকে সমাধান হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
খাদ্য বিশেজ্ঞদের পরামর্শ
‘রান্নার সময় মাঝে মাঝে বাচ্চাদের সাথে নিন৷ সবজি, ফল, সালাদ – এগুলো বাচ্চাদের কাটতে শেখান এবং রান্নার পরে সাথে নিয়ে খান এবং এ বিষয়ে আলোচনা করুন৷ সন্তানদের একটু বেশি সময় দিন, শুনুন ওদের সমস্যা এবং একসাথে মিলে সেসব সমাধানের চেষ্টা করুন৷ বাজার করার সময় লক্ষ্য রাখুন কম চর্বি এবং কম মিষ্টি জাতীয় খাবার কম কেনার৷ এতে ভালো ফল নিশ্চিত৷’
ছবি: picture-alliance/Beyond
সপরিবারে সাইকেল চালান
ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে গাড়ির বদলে সাইকেল বা পায়ে হেঁটে চলুন৷ চলে যান কোনো পার্ক বা চিড়িয়াখানায়৷ যদি ছোটবেলা থেকে এসব শেখানো হয়, পরবর্তিতে অতিরিক্ত মোটা হওয়ার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব৷ আর ফাস্টফুডের বিজ্ঞাপণ থেকেও শিশুদের সচেতন করা প্রয়োজন৷
ছবি: DW/S. Wünsch
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ
জন্মের পর থেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে শিশুদের সম্পর্ক গড়ে তুলুন৷ যতটা সম্ভব ফাস্টফুড থেকে সন্তানদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন৷ ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’ – এই প্রবাদটি কিন্তু চিরদিনের জন্যই প্রযোজ্য!
ছবি: picture-alliance/dpa
12 ছবি1 | 12
প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের স্বাস্থ্য এত খারাপ কেন ? স্বাস্থ্যচর্চার প্রতি তাঁদের এত অনীহা কেন ? এর মূল কারণ, তাঁদের কাজকর্মের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ৷ সেখানকার পরিবেশ খুবই খারাপ৷ ৯০ শতাংশকে কাজ করতে হয় আট ঘন্টার বেশি৷ ৭৩ শতাংশের কোনো নির্দিষ্ট ডিউটি আওয়ার্স বলে কিছু নেই৷ নেই সাপ্তাহিক ছুটি৷ এখানেই শেষ নয়, নবরাত্রি. দিওয়ালি, দুর্গা পুজা, প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বলা বাহুল্য, ভোটের সময়ে ডিউটির শেষ নেই৷ তখন পুলিশ কর্মীদের কাজের সময় হয় রোজ ১৪-১৫ ঘন্টা৷ আরেকটা পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ৯০ শতাংশকে ডিউটি দিতে হয় রোজ আট ঘন্টার বেশি, ৬৮ শতাংশকে ১১ ঘন্টার বেশি এবং ৩০ শতাংশকে ১৪ ঘন্টার বেশি৷ এর কারণ কী ? জনসংখ্যার অনুপাতে ভারতে মাথাপিছু পুলিশের সংখ্যা সবথেকে কম৷ প্রতি ৭২০ জন পিছু একজন পুলিশ থাকে৷ যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যাটা ৪৩০, স্পেনে ১৯৮ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৪৭৷ জাতিসংঘের মাপকাঠিতে প্রতি ৪৫৪ জনের জন্য থাকা উচিত একজন পুলিশ অফিসার৷ ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিহারের অবস্থা সেদিক থেকে সবচেয়ে শোচনীয়৷
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান নীচের ঘরে৷