ইউরোপের ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে প্রকৃতি ও পশুপাখিরা প্রায়ই কোণঠাসা হয়ে পড়ে৷ মন্টেনেগ্রো ও আলবানিয়ার মাঝে পেলিকান পাখিরা বেশ শান্তিপূর্ণ এক বিচরণক্ষেত্র পেয়েছে৷ কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ আজ হুমকির মুখে৷
বিজ্ঞাপন
মন্টেনেগ্রো ও আলবানিয়ার মাঝে স্কাডার লেক দক্ষিণ ইউরোপের সবচেয়ে বড় হ্রদ৷ প্রায় জনমানবহীন এই এলাকায় নেই কোনো শহর, গ্রাম বা বসতি৷ আছে শুধু শুধু নির্ভেজাল প্রকৃতি৷ পক্ষী বিশারদ আন্দ্রেই ভিসি বলেন, ‘‘স্কাডার লেকে ২৮০ প্রজাতির পাখি থাকে৷ তাই এটি ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ পাখি পর্যবেক্ষণের জায়গা৷ অর্ধেকের বেশি ইউরোপীয় প্রজাতির পাখি এখানে রয়েছে৷''
এর মধ্যে একটি প্রজাতি বাকিদের থেকে একেবারে ভিন্ন৷ এই হ্রদেও হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় তাদের দেখা মেলে৷ মন্টেনেগ্রোর জীবতত্ত্ব মিউজিয়ামের পক্ষীবিশারদ আন্দ্রেই ভিসি তাদের সন্ধান জানেন৷ সেই পেলিকান পাখির দেখাও পাওয়া গেল৷ আন্দ্রেই ভিসি বলেন, ‘‘মিঠা পানিতে পেলিকানরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখি৷ অর্থাৎ স্কাডার লেকে ঠিক সেই ডালমেশিয়ান পেলিকান প্রজাতি রয়েছে৷ ডানা মেললে ২ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে৷ মনে হয় এখনো পর্যন্ত ৩১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মাপ নেওয়া হয়েছে৷''
পেলিকান পাখিদের জন্য প্রকল্প
05:32
আনন্দের বিষয় হলো, তাদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ এখানকার শান্ত জল ও পরিবেশ তারা পছন্দ করে৷ বিশেষ করে তাদের জন্য কৃত্রিম বাসা তৈরি করার ফলে বংশবৃদ্ধির হার বেড়ে গেছে৷ আগে প্রায়ই পাখির ছানারা পানির উচ্চতা বাড়লে মারা পড়তো৷ এক আন্তর্জাতিক প্রকল্পের আওতায় তাদের জন্য ভাসমান বাসা তৈরি করা হয়েছে৷ বান এলেও সেগুলি পানির উপরেই ভাসে৷
জায়গাটা পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা গেল, মানুষের উপস্থিতিতে ভয় পেয়ে সব পেলিকান উড়ে গেছে৷ তবে ভাসমান বাসা দেখে বোঝা গেল, সেগুলি পাখিদের কত পছন্দ হয়েছে৷ আন্দ্রেই ভিসি চলতি বছরেই ৬০টি পাখির ছানা দেখেছেন, যেমনটা এর আগে কখনো ঘটেনি৷ সত্যি খুব মনোরম পরিবেশ৷ চারিদিক শান্ত৷ শুধু পাখি দেখা যায়৷ আশেপাশে সুন্দর গ্রাম৷ ইউরোপের মাঝে বড় শহরগুলি থেকে খুব দূরে অবস্থিত না হওয়া সত্ত্বেও এমন পরিবেশ সত্যি বিস্ময়কর৷ পর্যটকদের অনুপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো৷
ইভান সিন্ডোভিচ সেই অবস্থা বদলে দিতে চান৷ তিনি ভবিষ্যতের এক নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার৷ জাতীয় পার্কের মাঝে এক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে৷ ওয়েবসাইট অনুযায়ী সেখানে দামী হোটেল, বিলাসবহুল ভিলা, রোস্তোরাঁ, নিজস্ব বন্দর তৈরি হচ্ছে৷ ম্যানেজারের দাবি, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উঁচু মানদণ্ড স্থির করা হয়েছে৷ এই রিসর্ট তৈরি হলে দরিদ্র এলাকার অর্থনৈতিক মুনাফা হবে বলে তিনি মনে করেন৷ ইভান বলেন, ‘‘প্রথমত আমরা কর্মসংস্থান করছি৷ ফলে মানুষ এখানে থাকার কারণ পাবে৷ তারা পরিবারের জন্য টেকসই বাসা তৈরি করতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, আমরা তাদের কাছ থেকে খাদ্য, ওয়াইন কিনবো৷ অবশ্যই সে সব অরগ্যানিক হতে হবে৷ মোটকথা আমরা তাদের এখানে থাকার কারণ দিচ্ছি৷''
বিস্ময়কর স্টারলিং পাখি
যেন একরাশ কালো মেঘ৷ স্টারলিং পাখিগুলো এমনভাবে দলবেঁধে আকাশে উড়ে উড়ে জ্যামিতিক আকৃতি তৈরি করে যে , তা সব অ্যারোবেটিক্স দলকেই হার মানাবে৷ ক্যামেরার চোখে দেখুন ইসরায়েলের আকাশে ধরা পড়া এমন চমৎকার দৃশ্য৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
কী অপরূপ
কখনো ঝরা পাতার মতোন, কখনো ওড়ার চেষ্টা করা ঘুঘু, কিংবা কখনো সাঁতরে বেড়ানো বিশাল তিমি মাছের আকৃতি তৈরি করে পাখির ঝাঁক৷ এই স্টারলিংগুলো ইউরোপীয় পরিযায়ী পাখি৷ ইসরায়েলে আসে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
ছোট পাখি! ছোট পাখি!
এই ছবিগুলো দক্ষিণ ইসরায়েলের বেইট কামা গ্রাম থেকে তোলা৷ রাতে ঘুমোতে যাবার আগে পাখিগুলো নানান আকৃতি তৈরি করে৷ শুধু যে এরা আকৃতি তৈরি করে তা-ই নয়, কিচিরমিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে পুরো এলাকা৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
নিখুঁত আকার
বিজ্ঞানিরা ঠিক জানেন না, কিভাবে তারা এসব আকৃতি তৈরি করে৷ কিন্তু কেউ কেউ বলেন যে, এরা ইচ্ছে করে এমন করে না৷ বরং ঝাঁকের একটি পাখি তার নিকটবর্তী আরেকটির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব তৈরি করে ওড়ে৷ তাতেই এমন আকৃতি তৈরি হয়৷ তা বলে এতটা নিখুঁত?
ছবি: Reuters/A. Cohen
দ্রুত প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের পাখি বিশেষজ্ঞ জাকারি স্ল্যাভিন বলেন, ‘‘ঠিক যেন মাছের মতো৷ এই ঝাঁকের কোনো নেতা নেই৷ কিন্তু তারা এমনভাবে থাকে যেন একসঙ্গে একটি গন্তব্যে পৌঁছায়৷ এদের একজন গতিপথ বদলালে এরা দ্রুত সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে৷’’
ছবি: Reuters/A. Cohen
পরিযায়ী স্টারলিং
সাধারণত শীত ও বর্ষায় স্টারলিংয়ের এমন ঝাঁক দেখা যায়৷ গ্রীষ্মের শেষ দিকে এই পাখিগুলোর প্রজনন প্রক্রিয়া শেষ হয়৷ এরপর বড় বড় ঝাঁকে এরা অভিযাত্রা শুরু করে৷ পরে শীতের শেষে অথবা বসন্তের শুরুতে এরা তাদের প্রজননস্থলে ফিরে আসে৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
দশের লাঠি একের বোঝা
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন এরা এমন ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়? বিশ্লেষকদের মন্তব্য যে, পাখিগুলো দলবেঁধে ঘুরে বেড়ালে এদের হাজারো চোখে একসঙ্গে খাবার খোঁজা সহজ হয়৷ এতে একই খাবারের খোঁজে থাকা প্রাণিদের এ লড়াইয়ে পরাজিত করা সহজ হয়৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
বাজপাখির চোখ ফাঁকি
আরো একটি কারণ, নিরাপত্তা৷ চিল, বাজপাখিদের হাত থেকে বাঁচতে এমন উপায় বেছে নিয়েছে তারা৷ বিশ্লেষকরা বলেন, তারা এমনভাবে ঘুরে যেন, বাজপাখিদের চোখে একেকটি পাখি আলাদা করে ধরা পড়া কঠিন হয়ে যায়৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
কতদূর সমুদ্দুর
এরা যে শুধু ইউরোপেই ঘোরাঘুরি করে তা নয়৷ এই পরিযায়ী পাখিগুলোর ওড়ার সীমানা উত্তর আফ্রিকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকি পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
8 ছবি1 | 8
পরিবেশবাদীরা ও এনজিও-গুলি অবশ্য এই প্রকল্পটি সম্পর্কে সন্দিহান৷ তাদের আশঙ্কা, এর ফলে সংরক্ষিত এলাকায় আরও নির্মাণ কাজ শুরু হবে৷ পেলিকান কল্যাণ প্রকল্পের সমন্বয়ক বিয়াংকা প্রাকলিয়াচিচ-ও এমন বিশাল বিনিয়োগের বিরোধী৷ তাঁর মতে, ‘‘স্কাডার লেকের জন্য আমার স্বপ্ন হলো স্থানীয় সমাজের কাছে ফিরে যাওয়া৷ সেখানে গভীর মূল্যবোধ রয়েছে৷ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে৷ খুবই সুন্দর৷ সংগীতের ধারাও অসাধারণ৷ অনাবিষ্কৃত সম্পদের মতো৷''
পডুম গ্রামে অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন৷ সেখানে পর্যটকরা লেকে স্নান করতে আসতে পারেন৷ সেখানে বেশ কিছু খাদ্য উৎপাদন করা হয়৷ অনেক বাড়িতেই ঘর খালি রয়েছে৷ এমিন সুনমুলইয়াই গ্রামে পর্যটন বাড়াতে এক নাগরিক উদ্যোগ শুরু করেছেন৷ উপার্জনের অভাবে অনেক মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ায় তিনি খুবই দুঃখ পাচ্ছেন৷ পেলিকান পাখি সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে৷
পেলিকানদের কলোনি থেকে গ্রামটি বেশি দূরে নয়৷ সে কারণে পেলিকান কল্যাণ প্রকল্পের রেঞ্জারেরদপ্তর এই গ্রামেই চালু করা হয়েছে৷ বিয়াংকা প্রাকলিয়াচিচ এই গ্রামের মানুষের সহায়তা নিতে প্রস্তুত৷ সীমিত আকারে পর্যটন নিয়েও তাঁর আপত্তি নেই৷ প্রকল্পের সমন্বয়ক বিয়াংকা প্রাকলিয়াচিচ বলেন, ‘‘স্থানীয় সমাজই যদি পর্যটন পরিচালনা করে এবং সেই কাজে পেলিকানদেরই ব্যবসায়িক সহযোগী করে, তারা কলোনির সুরক্ষা নিশ্চিত করবে৷ আমি নিশ্চিত, যে রেঞ্জারদের কাজ তখন কমে যাবে৷''
একদিকে স্পর্শকাতর পেলিকান, অন্যদিকে অতি উৎসাহী পর্যটন ব্যবসায়ী৷ জেলেরা উপার্জনের জন্য লেকের উপর নির্ভরশীল৷ সম্ভবত আগামী বছরগুলিতে এই এলাকায় অনেক পরিবর্তন আসছে৷
পরিযায়ী পাখির স্বর্গরাজ্য
শীতকালে বিশ্বের বিভিন্ন শীত প্রধান দেশ থেকে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আসে বাংলাদেশে৷ দেশের বেশ কিছু জায়গাকে এসময়ে তারা বেছে নেয় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে৷ পরিযায়ী পাখির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, এমন কিছু জায়গা দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Muhammad Mostafigur Rahman
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শীতের শুরু থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে৷ গাছপালায় ঢাকা সবুজ এই ক্যাম্পাসের জলাশয়গুলোকে এ সময়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় পাখিরা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও পেছনের দু’টি জলাশয়, জাহানারা ইমাম হল, প্রীতীলতা হল এবং আল বেরুনী হল সংলগ্ন জলাশয়ে পাখিদের আনাগোনা বেশি থাকে৷
ছবি: Muhammad Mostafigur Rahman
বাইক্কা বিল
চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলের পাশেই পাখির অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল৷ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের পূর্ব পাশের প্রায় একশ হেক্টর আয়তনের জলাভূমি শীতে ভরে যায় পরিযায়ী পাখিতে৷ বাইক্কা বিল প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম৷ শীতে জায়গাটিতে আরো অনেক পদের পাখির আগমন ঘটে৷ পাখিদের ভালোভাবে দেখার জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
হাকালুকি হাওর
এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ হাওরেও শীতে আসে প্রচুর অতিথি পাখি৷ এই হাওরের বিলগুলো শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে উঠে৷ হাকালুকি হাওরের কালাপানি, বাইয়াগজুয়া, কৈয়ারকোনা বিলে অতিথি পাখি বেশি দেখা যায়৷
ছবি: Muhammad Mostafigur Rahman
টাঙ্গুয়ার হাওর
শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওরে বসে পাখিদের মিলনমেলা৷ সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুরের দশটি মৌজা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের বিস্তৃতি৷ প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে৷ টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রধান দু’টি পাখির অভয়ারণ্য হলো লেউচ্ছামারা ও বেরবেড়িয়ার বিল৷ এছাড়াও রৌয়ার বিল, গজারিয়ার বিল, আলমের ডোয়ার, ফইল্লার বিল, রূপাভুই বিলে পাখিদের আনাগোনা বেশি থাকে৷
ছবি: Muhammad Mostafigur Rahman
মুহুরী সেচ প্রকল্প
ফেনী জেলার সোনাগাজী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর মুহুরী সেচ প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে৷ সামুদ্রিক জোয়ার ঠেকানো ও বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়৷ শীতে এ প্রকল্প এলাকায় আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি৷ পাখির কলরবে গোটা এলাকা মুখর হয়ে ওঠে৷
ছবি: Touhid Parves Biplob
রাজশাহীর পদ্মার চর
রাজশাহী শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে পদ্মা নদী৷ এ নদীর চরেও শীত মৌমুমে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি৷ বাংলাদেশর পাখিপ্রেমীদের এখন নতুন গন্তব্য এই পদ্মার চর৷ গত কয়েক বছর ধরে এ নদীর চরে অতি বিরল সারস পাখি কালো মানিকজোড়’সহ আরো অনেক বিরল প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে৷
ছবি: Touhid Parves Biplob
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর বিভিন্ন চরে শীত মৌসুমে আসে নানান অতিথি পাখি৷ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ সব চরাঞ্চলে বিরল অতিথি পাখিদের দেখা মিলছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে৷
ছবি: Touhid Parves Biplob
দমার চর
নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের পাশেই দমার চর৷ বঙ্গোপসাগরের কোলে অবস্থিত এ চরেও শীতে বসে পাখিদের মেলা৷ শীত মৌসুমে দমার চরে নানান পাখিদে সাথে প্রচুর দেথা যায় দেশি গাঙচষা৷