1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ডের পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনা

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন করতে চলেছে পোল্যান্ড৷ প্রতিবেশী দেশটির এ উদ্যোগে বড় রকমের বিপর্যয়ের ঝুঁকি দেখছে জার্মানি৷

পোল্যান্ডে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া এক পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ছবি: Michal Fludra/NurPhoto/picture alliance

পোল্যান্ডের বিদ্যুৎ খাতের শতকরা ৭০ ভাগই কয়লা নির্ভর৷ ফলে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দূষণও সবচেয়ে বেশি৷ অথচ একদিকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা৷

দেশের সবচেয়ে বড় বাদামি কয়লার খনি ২০৩৫ সালের পর ‘খালি’ হয়ে যাবে৷ ওই খনির কয়লা পোল্যান্ডের ২০ ভাগ বিদ্যুতের চাহিদা মেটায়৷

এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থাকার কারণে সে দেশের গ্যাস দিয়ে শতকরা পাঁচ ভাগ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হতো৷ এ বছরই শেষ হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক সেই চুক্তির মেয়াদ৷ সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটায় চুক্তি নবায়ন করবে না পোল্যান্ড৷

পোল্যান্ড মনে করে, ভবিষ্যতে নিশ্চিত বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানো জরুরি ৷তাই পারমাণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে পলিটিকা এনার্গেৎসনা পোলস্কি (পিইপি) পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে সরকার৷ এর আওতায় আগামী ২০২৬ সাল থেকে দেশের দুটি স্থানে ছয়টি রিয়্যাক্টর তৈরির কাজ শুরু হবে৷ ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩৩ থেকে ২০৪৩ সালের মধ্যে সবগুলো রিয়্যাক্টর পুরোপুরি কাজ শুরু করবে৷

রিয়্যাক্টরগুলো তৈরি করতে যে ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে, তা নিজের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কাজটি শেষ করার পরিকল্পনা ছিল৷ গত বছর পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদা আর যুক্তরাষ্ট্র্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছিল৷ কিন্তু ট্রাম্পের বিদায়ে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ পরিবর্তিত পরিস্তিতিতে পোল্যান্ডের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ফ্রান্স৷ এখন ফ্রান্সের সহায়তা নিয়েই পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে পোল্যান্ড৷

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জার্মানিতে৷ গত জানুয়ারিতে জার্মানির সংসদে বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে গ্রিন পার্টি৷ সেখানে বলা হয়েছে, পোল্যান্ড যেখানে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা করেছে, সেই জায়গাটি জার্মানির সীমান্ত সংলগ্ন৷ এর ফলে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জার্মান নাগরিকদের, বিশেষ করে বার্লিন এবং হামবুর্গের মানুষদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বড় রকমের আশঙ্কা রয়েছে৷ বুন্ডেসটাগের পরিবেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন উরসুলা কোটিং-উল ডয়চে ভেলেকে বলেন, সেখানে দুর্ঘটনা ঘটলে জার্মানির অন্তত ১৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে৷ পোল্যান্ড অবশ্য দাবি করছে, তাদের পক্ষ থেকে পরিবেশগত ঝুঁকির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে এবং তাতে তেমন কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা ধরা পড়েনি৷ এদিকে এক বিবৃতিতে জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয় ডয়চে ভেলেকে বলেছে, ‘‘পোল্যান্ড পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন শুরু করলে তার ফলে জার্মানির মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার৷’’

মনিকা সিরাদস্কা/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ