1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ডে সমকামী মেয়রকে ঘিরে পরিবর্তনের স্বপ্ন 

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সমকাম নিয়ে রক্ষণশীল পোল্যান্ডে সততা ও নেতৃত্ব গুণে পরিবর্তনের স্বপ্ন-সারথি হয়ে উঠেছেন রবার্ট বিড্রোন৷ স্লুপস্কের এই ‘গে' মেয়রকে  তুলনা করা হচ্ছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে৷

Robert Biedron
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/A. Widak

সমর্থকদের সামনে প্রাণবন্ত, রোমাঞ্চকর ও আত্মবিশ্বাসী দেখা যায় বিড্রোনকে৷ পোল্যান্ডে প্রথম আত্মস্বীকৃত সমকামী মেয়র তিনি৷ কয়েক মাস ধরে নিজের নতুন দল নিয়ে কথা বলছেন৷ আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই তাঁর দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে৷

তাঁর নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়ছে৷ শত শত, কখনো কখনো হাজার হাজার মানুষ তাতে আগ্রহী হচ্ছে৷ বামপন্থি ধারণা নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি–দারিদ্র্য বিমোচন, অ্যাবরশনের বিধিনিষেধ শিথিল করা, নতুন নতুন প্রি-স্কুল তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন৷

ক্যাথলিক দেশে সমকামী

কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের জন্য পরিচিত সাউদার্ন পোল্যান্ড থেকে উঠে এসেছেন বিড্রোন৷ সমকামের জন্য তরুণ বয়সে তাঁকে একঘরে করা হয়৷ এজন্য এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে পরিত্রাণের জন্য আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন৷ পরে রাজনীতিতে এসে এলজিবিটি অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হন৷

২০০১ সালে বিড্রোন গড়ে তোলেন ‘ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট হোমোফোবিয়া'৷ এটা নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক হয় দেশে৷ এর দশ বছর পর প্রথম সমকামী হিসেবে পোল্যান্ডের পার্লামেন্টে যান তিনি৷ 

দীর্ঘদিনের পার্টনার সিস্তফকে বিয়ে করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিড্রোন৷ তবে পোল্যান্ডে এখনো সমকামী বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়৷ ৪২ বছর বয়সি বিড্রোন বলেন, ‘‘আমি একজন পোল৷ অনেক বছর ধরে আমি কর দিচ্ছি এবং দেশের সেবা করেছি৷ সে কারণে দেশের অন্য সবার মতো আমার সঙ্গেও ভালো আচরণ করা হবে, সেই প্রত্যাশা করি৷''

২০১৪ সাল থেকে স্লুপস্কের মেয়র বিড্রোন৷ সেখানে সমকামী বিয়ের বৈধতা এবং নিজেদের বিয়ের করার সুযোগ আশা করেন বিড্রোন ও তাঁর পার্টনার৷

পোল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ৯৩ হাজার মানুষের শহরটিতে বিড্রোনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী নভেম্বরে৷ শহরকে ঋণমুক্ত করায় বিড্রোনের প্রশংসা রয়েছে৷ জনমত জরিপ অনুযায়ী, শহরের ৬০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে তাঁর প্রতি৷ তবে বিড্রোন এবার জাতীয় মঞ্চে ফিরতে চান৷

পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীল ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (পিআইএস)-এর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছেন বিড্রোন৷ তবে মধ্যপন্থি শিবিরে এখনো জায়গা পেতে লড়ছেন তিনি৷ ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক সিভিক প্ল্যাটফর্ম (পিও) এবং লিবারেল মডার্ন পার্টি গত মে মাসে এক মঞ্চে এসে ‘নাগরিক মোর্চা' গঠন করে৷

বিড্রোন প্রার্থীদের ভোট নষ্ট করতে পারেন বলে শঙ্কা করছেন তাঁরা৷ অ্যাবরশনের বিধি-নিষেধ শিথিল করার পক্ষে স্পষ্টভাবে বলছেন তিনি৷ পোল্যান্ডে এটি এমন স্পর্শকাতর বিষয় যে, ভোট হারানোর ভয়ে উদারপন্থিরা এ নিয়ে মুখ খুলতে চান না৷

গত বেশ কয়েক বছর ধরে বামপন্থিদের অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করেছে ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি৷ তাদের চাইল্ড সাপোর্ট প্রোগ্রাম পোল্যান্ডের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্য কোনো সোশ্যাল প্রোগ্রামের মতো নয়৷

এর ফলে জনবান্ধব কর্মসূচির পক্ষে তবে পিআইএসের মতো জাতীয়তাবাদী ও রক্ষণশীল মনোভাবের নয়, এমন ভোটারদের টানতে পারেন বিড্রোন৷

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁকে তুলনা করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে৷ বির কারিশমা পোল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর জন্য হয়ত চিন্তার কথা৷

মনিকা সিয়েরাদস্কা/এএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ