1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পোশাক কর্মীদের ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে’

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
৪ এপ্রিল ২০২৫

অর্থনীতির চালিকাশক্তি গার্মেন্টস শিল্প নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে৷ তবে রয়েছে সমস্যা এবং শঙ্কার জায়গাও৷ সেসব নিয়েই ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আখ্তার...

ঢাকার একটি পোশাক করাখানায় কাজ করছেন নারীরা
পোশাক খাতে কর্মরতদের প্রায় ৬০ভাগ নারী৷ ফাইল ফটো ছবি: picture-alliance/NurPhoto/M. Hasan

বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের কাজে লাগিয়ে আশির দশকে যে গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠেছিল, সেটি এখন দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি৷ নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখলেও বড় কিছু সমস্যা এবং শঙ্কার জায়গাও আছে এই শিল্পে৷ সেসব নিয়েই ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আখ্তার...

ডয়চে ভেলে: পোশাক খাত দেশের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে কিভাবে অবদান রেখেছে?

তাসলিমা আখ্তার: বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক নারী, যারা বাজার অর্থনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না, তাদের একটা অংশ পোশাক খাতের মাধ্যমে বাজারের সাথে যুক্ত হয়৷ গ্রাম থেকে অনেকে শহরমুখী হয়, যেটা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ এটা তাদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য তৈরি করে৷ পোশাক খাতের এখন প্রায় ৬০ভাগ নারী৷ একটা সময় প্রায় ৮০ভাগ ছিল নারী৷ অর্থনীতির ৮৪ ভাগ এখান থেকে আসে৷ ফলে এটা সহজভাবে বোঝা যায়, নারীরা এখানে যুক্ত হওয়াতে তাদের জীবনেও একটা পরিবর্তন এসেছে৷ তবে সেই পরিবর্তনে তারা কতটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, সেটা একটা প্রশ্ন, তারা নিজের আয় নিজে খরচ করতে পারছে কি-না...

গার্মেন্ট শ্রমিক নারীরা নিজের অর্থের উপর নিজে কেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে মনে হয়?

এখনো সমাজে নারী-পুরুষের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেখানে নারী-পুরুষ সমান অবস্থায় নেই৷ যে কারণে আমাদের নারী শ্রমিকরা উপার্জন করলেও তারা হয়ত কিছু খরচ করছেন৷ কিন্তু এই অর্থ কীভাবে ব্যয় করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনো সব নারী শ্রমিক পুরোপুরি নিতে পারেন বলে আমার মনে হয় না৷ দেখা যায় যে, তার পরিবারের পুরুষ সদস্য নারীর আয়ের উপর খবরদারি করছে৷ যখন বেতন দেয়া হয়, তখন শ্রমিক এলাকাগুলোতে দেখা যায় যে, তার স্বামী বা পরিবারের পুরুষ সদস্য কিন্তু খুব নিয়ন্ত্রণ করে৷ অনেক সময় স্বামী কারখানার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷ ওইদিন দেখা যায়, অনেক নারী শ্রমিককে পারিবারিক কলহের মধ্য দিয়ে যেতে হয়৷ তারা আয় করছেন, এটা ইতিবাচক দিক৷ কিন্তু সেই আয়ের উপর তার নিয়ন্ত্রণ তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনো মজবুত হয় নাই৷ এটার মূল কারণ রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি৷ নারী-পুরুষের বৈষম্যের যে জায়গাটা, সেটাকে আমরা এখনো পরিবর্তন করতে পারি নাই৷ নাগরিক হিসেবে নারীর প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজে সেটা এখনো গড়ে উঠে নাই৷

এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করতে পারি আমরা?

আমরা যে একটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে থাকি এবং যে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সেখানেও আমরা দেখি যে, এখন পর্যন্ত নারী সে শ্রমিকই হোক, সে মধ্যবিত্তই হোক, পেশাজীবীই হোক, তার প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেখানে তাকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা, সেই আয়োজনগুলো রাখা, যাতে সে নাগরিক হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে, সেটা সমাজে, সংস্কৃতিতে, রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও আইনে নাই৷ শ্রম আইনে নারী শ্রমিকদেরকে ‘মহিলা' শব্দ দিয়ে পরিচয় দেয়া হয়েছে৷ মহিলা শব্দটা এসেছে অন্দর মহল থেকে৷ অর্থাৎ, নারীর পরিচয়ও এখনো মর্যাদার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি৷ এটা পরিবর্তন না হলে জায়গাগুলো তৈরি হবে না৷ দক্ষ শ্রমিক হতেও যে জায়গা, সেগুলোও অনেক সংকুচিত৷

এ রকম সামাজিক বাস্তবতায় নারীরা যখন প্রান্ত থেকে গার্মেন্ট খাতে যুক্ত হলো, তাদের এই অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সামাজিক ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে?

মানুষের যখন পিছু হটার কোনো সুযোগ থাকে না, তখন মানুষ সংগ্রাম করতে শেখে৷ আমরা দেখেছি, দূর-দূরান্ত থেকে তারা শহরের দিকে আসছে৷ শহরে এসে খাপ খাইয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করছে৷ এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অনুপ্রেরণার বিষয়৷ নারীরা যদি অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হয়, তাদের দৃশ্যমান অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পায়৷ নারী যখন আয় করছে, তখন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তার নিজের জীবনের চাওয়া-পাওয়ার হিস্যাটা যেমন বাড়ে, তেমনি সমাজের মধ্যে নারী প্রশ্নটা সামনে আসে৷ নতুন শ্রমশক্তি হিসেবে পোশাক শ্রমিকদের যুক্ততা, সেটা পুরো সমাজের মধ্যে নারীর অধিকার প্রশ্নে, শ্রমিক নারীর অধিকার প্রশ্নে, বৈষম্যকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে পোশাক শ্রমিকদের অংশগ্রহণ আমাদের সমাজের মধ্যে নতুন করে হাজির করে৷ এই খাতে আসার শুরুর দিকে নারীদেরকে নানাভাবে হেয় করা হতো৷ খারাপ মেয়ে বলা হতো৷ সেই সময়টাকে বদলে এই নারী শ্রমিকরাই আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ নারীকে আশির দশকে যেভাবে দেখা হতো, সেটা অনেকখানি বদলেছে৷ পুরো সমাজের মধ্যে নারীদের অবস্থার যে একটা রদবদল, সেখানে এই নারীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে৷

আয়ের উপর নারীর নিয়ন্ত্রণ, তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনো মজবুত হয়নি: তাসলিমা আখ্তার

This browser does not support the audio element.

সমাজের অন্য জায়গাগুলোতে তারা তাদের উপস্থিতি জানান দিতে পারছেন কি-না...

আশির দশকে যে নারীরা এই খাতে যুক্ত হচ্ছিলেন, এখন কিন্তু কয়েক প্রজন্ম পার হয়ে গেছে৷ সেই নারীরা পোশক খাতে কাজ করছেন, সেটা গ্রাম বা শহরে মর্যাদার পরিচয় হিসেবেই মনে করে৷ সমাজের মধ্যেও সেই আওয়াজটা বা সেই প্রতিধ্বনিটা আমার মনে হয়, হচ্ছে৷ পোশাক খাতের শ্রমিকরা যেভাবে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে, সেই পরিচয়টা সমাজের মধ্যেও তার পরিচয়কে নতুন মর্যাদা নিয়ে দাঁড় করাতে সাহায্য করেছে৷

পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমে যাওয়ার কারণ কী বলে মনে করছেন?

প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে, অটোমেশন হচ্ছে৷ এখানে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে৷ এর সাথে সাথে আরো কিছু কারণ আছে, যেগুলো না দেখে উপায় নেই৷ নারীকে যদি দক্ষ শ্রমিক হতে হয়৷ তাহলে তাকে ঘরের কাজের বোঝা থেকে মুক্ত হতে হবে৷ কারণ, আমরা দেখি, ঘরের সব কাজ করে এসে তাকে কারখানাতে কাজ করতে হয়৷ কারখানাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২দিন আছে, ছয় মাস নাই৷ বাচ্চাদের জন্য চাইল্ড কেয়ার সেন্টার নাই৷ বেশিরভাগ বাচ্চাদের হয়ত ঘরে রেখে আসেন বা গ্রামে রেখে আসেন৷ তাকে শিশু লালন-পালন করতে হয়৷ এটা তো সমাজের দায়িত্ব৷ তাকে নিজের খাবার নিয়ে যেতে হয়৷ পরিবারের অন্য সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়৷ এই পরিচয়ের বাইরে যতক্ষণ নারীরা আসতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঝরে যাওয়া আমরা রোধ করতে পারবো না৷ উপরের গ্রেডে নারীরা যেতে পারছে না৷ সুপারভাইজার, আয়রনম্যান, কাটিং মাস্টার হতে চান কি-না, জিজ্ঞেস করলে উনারা হতে চান না৷ কারণ ঘর-গৃহস্থালির যে চাপ আছে, সে কারণে তিনি আরো দক্ষ শ্রমিক হতে মনোনিবেশ করতে পারেন না৷ নারী আন্দোলনকারীদেরও এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার৷

যৌন হয়রানির কথা আপনি বলছিলেন৷ হাই কোর্টের একটা রায় আছে৷ এই রায়ের বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে? এই হয়রানি প্রতিরোধে কী কী আয়োজন আছে গার্মেন্টসে?

কারখানাগুলোতে আমরা শুনি, কোথাও কোথাও যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি আছে৷ কিন্তু সেটা শ্রমিকরা জানেন না৷ রায় অনুসারে কমিটিতে পাঁচ জন থাকার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় তিন জন আছে বলে শুনি৷ তিনজনই হয়ত কারখানার ভেতরকার ব্যক্তিবর্গ৷ বিস্তৃত আকারে যদি আমরা দেখি, পোশাক খাতে নিপীড়নবিরোধী সেলটা সেভাবে কাজ করছে না৷

পাটশিল্পের কেন্দ্রগুলোতে শ্রমিক পল্লী গড়ে উঠতো, সেখানে তাদের সামাজিকীকরণ হতো৷ শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতো৷ গার্মেন্টস খাতকে কেন্দ্র করে এমন সুযোগ-সুবিধা চোখে পড়েছে?

পাট কলের আশেপাশে যেভাবে স্কুল-হাসপাতাল ছিল, এখানে কিন্তু সেগুলো নাই৷ বরং বিভিন্ন শ্রমিক এলাকাগুলোতে তাকালে দেখি যে, সেখানে প্রাথমিক স্কুল৷ সেটার সংখ্যাই কম৷ প্রচুর মাদ্রাসা আছে৷ যেখানে শ্রমিকরা ডে কেয়ারের বিকল্প হিসেবে কম খরচে বাচ্চাদের পাঠান৷ ইপিজেডের সাথে বেপজার স্কুল আছে, সেখানে শ্রমিকদের বাচ্চারা কমই পড়ছে৷ অন্যান্য সাংস্কৃতিক স্কুল থাকলেও সেটা শ্রমিকদের সাধ্যের বাইরে৷ অনেকে তাদের বাচ্চাদের গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ দাদী, নানী, খালাদের সাথে বড় হচ্ছে৷

নারী হিসেবে যে সামাজিক ও ‘পারিবারিক বোঝাগুলো' আছে, এখানে কী ধরনের সাপোর্ট লাগবে?

পারিবারিক ও সামাজিক আয়োজনগুলো হাওয়া থেকে আসে না৷ এগুলো রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকেই আসে৷ ফলে আইনের মধ্যে পারিবারিক আইন ও শ্রম আইনে নারীদেরকে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে৷ সেটা বদল করতে হবে৷ কিছু উদ্যোগ মালিকপক্ষ থেকে কারখানাভিত্তিক নেওয়া দরকার৷ কিছু উদ্যোগ রাষ্ট্রীয়ভাবেও নেওয়া দরকার৷ যেমন: কারখানার ভেতরে যথাযথ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থাকা৷ কারখানার বাইরেও এলাকাভিত্তিকভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেও সেটা থাকতে পারে৷

যৌননিপীড়নবিরোধী নীতিমালার কথা আমি আগেই বলেছি৷ কারখানার ভেতরে আমাদের নারী শ্রমিকরা হয়ত পানি খাওয়ার সময়টাও পায় না৷ রক্তশূন্যতাসহ নানা রোগে ভোগে৷ সেই জায়গাগুলোকে বদল করতে হবে৷ চাইল্ড কেয়ার নাই৷ তাদের বাচ্চাদের দুগ্ধ পান করানোর ব্যবস্থা নাই৷ ঘরে ফিরেও তাকে নানান রকম কাজ করতে হচ্ছে৷ রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি এলাকাভিত্তিক ডে কেয়ার, মাতৃত্বকালীন ছুটি-এই জায়গাগুলো যখন প্রসারিত হবে, আইনের মধ্যে দিয়ে স্বীকৃত হবে, তখন আমার মনে হয়, নারীদের জায়গা তৈরি হবে৷

আদর্শ অবস্থায় যেতে চাইলে আমাদের কী কী করা উচিত?

আদর্শ অবস্থা একেকজনের কাছে একক রকম৷ আমার কাছে মনে হয়, সমাজে ও অর্থনীতিতে নারী শ্রমিকের ভূমিকা তখনই মর্যাদাপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন তার মজুরি মর্যাদাপূর্ণ হয়ে উঠবে, দক্ষ শ্রমিক হওয়ার সুযোগগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে থাকবে, সামাজিকভাবে দ্বৈত যে ‘বোঝা' নারী শ্রমিক বহন করে, সেই ‘বোঝা' থেকে তাকে মুক্ত করে দক্ষ শ্রমিক ও নাগরিক হিসেবে তার যে পরিচয়, সেই পরিচয়ের আয়োজন যদি রাষ্ট্র করে, পরিচয়ের জন্য যে রাজনীতি-সংগ্রাম, সেটা যদি নারী-পুরুষ উভয়ে যদি করে৷ তখনই আমার কাছে মনে হয়, সমাজে ও অর্থনীতিতে নারী শ্রমিকরা ভূমিকা রাখতে পারবেন৷ দক্ষ শ্রমিক হয়ে উঠবেন, নেতৃত্ব হয়ে উঠবেন৷ শুধু শ্রমিক এলাকায় না, বাংলাদেশের রাজনীতি-সমাজ-অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা আরো দৃশ্যমান হবে৷

যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে করারোপ করেছে৷ এটা বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারবে?

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যাক্স আরোপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতেই বড় একটা চাপ তৈরি করবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যে পোশাক যায়, সেটা তারা যথেষ্ট কমমূল্যে ক্রয় করে৷ সেখানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করে, উল্টো আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি করলে সেই চাপ শ্রমিকদের উপরও পড়বে৷ নারী শ্রমিকদের উপর এই চাপ বেশি পড়বে৷ সময় এসেছে, এই জায়গাগুলোতে আরো বেশি দরকষাকষির জায়গাটা আরো শক্তিশালী করা৷ এই বাড়তি বোঝা থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রমিক সংগঠন, সরকারকেও কথা বলা দরকার৷

সুলাইমান নিলয় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক ও উন্নয়ন পেশাজীবী
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ