1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোকার উপদ্রবে চাষির ফসল নষ্ট

২৬ এপ্রিল ২০১৭

বহু বছর ধরে তিলে তিলে চাষের জমি ফসলের উপযুক্ত করে তুলতে হয়৷ কিন্তু সেই ফসল যদি পোকার উৎপাতে নষ্ট হয়ে যায়, চাষির মাথায় হাত পড়ে৷ কীটনাশকই তখন একমাত্র ভরসা৷ তাতেও কাজ না হলে ভেঙে পড়েন তিনি৷

BG Heerwurm - Larva
ছবি: Phil Sloderbeck/Kansas State University/Bugwood.org

‘ফল আর্মিওয়ার্ম’ বা হেমন্তের কীট বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে এটাই জাক প্রিন্সলু’র শেষ অস্ত্র৷ চাষি হিসেবে তিনি গোটা সেচ ব্যবস্থায় সার ও কীটনাশক পাম্প করে পোকাগুলি ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন৷ এই নিয়ে ১০ রকম রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলেন তিনি৷ কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না৷ পোকারা প্রায় অর্ধেক ভুট্টার গাছ ধ্বংস করে দিয়েছে৷

নামটি অবশ্য পুরোপুরি ঠিক নয়৷ এটা আসলে সত্যি কোনো কীট নয়, এক ধরনের ক্ষুধার্ত শুঁয়োপোকা, যা মথ হয়ে ওঠার আগে শস্য খেয়ে ফেলে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকায় তার উৎস৷ তারা কীভাবে আফ্রিকায় এলো, তা স্পষ্ট নয়৷ কৃষি গবেষণা পরিষদের রজার প্রাইস বলেন, ‘‘কোনোভাবে পালিয়ে এসে এখানে জুটেছে৷ আফ্রিকার পশ্চিম থেকে মধ্যাঞ্চল হয়ে দক্ষিণেও ছড়িয়ে পড়েছে৷ এক বছরের মধ্যে নাইজেরিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও এসে পড়েছে৷ গত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথম রিপোর্ট এসেছিল৷ এক বছর পর আমাদের এখানেও ছেয়ে গেছে৷ এগুলি অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷’’

পোকার উপদ্রবে চাষি যখন নাজেহাল

03:19

This browser does not support the video element.

‘ফল আর্মিওয়ার্ম’-এর ঝাঁক কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গোটা ফসল ধ্বংস করে দিতে পারে৷ বিশাল সংখ্যায় তারা এক খেত থেকে অন্য খেতে হানা দেয়৷ তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জেতা সহজ নয়৷ এলেস ফান খেলডার বলেন, ‘‘ফল আর্মিওয়ার্ম ভুট্টা গাছের কাণ্ডের গভীরে গর্ত করে৷ সেটাই হলো সমস্যা৷ বেশিরভাগ সময় চাষিরা অনেক দেরিতে তা টের পান৷ ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়৷ এমনকি তাঁরা শক্তিশালী কীটনাশক ব্যবহার করলেও তা সব পোকা পর্যন্ত পৌঁছয় না৷ কারণ, সেগুলি গাছের অত্যন্ত গভীরে বসে থাকে৷’’

কৃষিবিজ্ঞানী হিসেবে রজার প্রাইস-ও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন৷ তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক৷ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এটা একটা হুমকি৷ বিশেষ করে চাষিদের যেখানে পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে কীটনাশক কেনার সামর্থ্য নেই৷ অথচ ভালো কীটনাশক, ভালো নজরদারি ছাড়া সব শস্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷’’

বছরের পর বছর ধরে চরম খরার ফলে এই অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তার মাত্রা এখনই কমে গেছে৷ বৃষ্টির অভাবে চাষি হিসেবে প্রিন্সলু তাঁর শেষ ফসল হারিয়েছেন৷ তাই এই ফসল তাঁকে বাঁচাতেই হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘খেতের মধ্য দিয়ে হাঁটলে ক্ষতির মাত্রা দেখতে পাই৷ তখন খুব আবেগ চলে আসে, কারণ, এটাই তো আমার রুজি-রুটি৷ সারা জীবনের পরিশ্রম হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ তাই আমার মনে খুব দুঃখ৷’’

কীটনাশকে কাজ হলো কিনা, আর্মিওয়ার্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম সফল হলো কিনা – এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তা জানতে পারবেন৷

এলেস ফান খেলডের/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ