শরীরে আচমকা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এবং তার প্রকৃত কারণ জানা না গেলে চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷ একদল রোগীর ক্ষেত্রে এমন সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বিস্ময়কর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে৷
বিজ্ঞাপন
অতি সাধারণ এক সন্ধ্যায় ডিনারের সময় গোটা ঘটনার সূত্রপাত৷ এর কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমে ঘুমে ব্যাঘাত, তারপর শরীরে কষ্ট, পেটব্যাথা শুরু হলো৷ আসলে কী ঘটেছিল? নিজের অপ্রিয় অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্লাউডিয়া মলফেলনার বলেন, ‘‘ত্বকে ফুসকুড়ি শুরু হলে তার কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে না৷ হৃৎপিণ্ড অস্থির হয়ে ওঠে, পেট কামড়ায় ও তারপর ডায়রিয়া শুরু হয়৷ বলা বাহুল্য তখন মনে ভয় জাগে বৈকি৷''
ক্লাউডিয়ার ধারণা, অ্যালার্জির কারণে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ কিন্তু সেই অ্যালার্জির উৎস কী? তার মতে, মাংসের মধ্যে কিছু ছিল৷ কিন্তু তাঁর ডাক্তাররা এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷
এ বিষয়ে বেশিরভাগ গবেষণার ক্ষেত্রে ইমিউনোলজিস্ট ও চিকিৎসক হিসেবে প্রোফেসর টমাস প্ল্যাটস-মিল্স-এর নাম উঠে আসে৷ তাঁর কাছে আসা বেশিরভাগ রোগীর ধারণা, মাংসের কারণেই তাঁদের অ্যালার্জি হয়েছে৷ প্রফেসর প্ল্যাটস-মিল্স মনে করেন, ‘‘আমাদের পরিচিত অবস্থার তুলনায় সেটা ছিল একেবারে ভিন্ন৷ মাংস খাবার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ এর কোনো অর্থই পাওয়া যাচ্ছিল না৷''
প্ল্যাটস-মিল্স মাংসের সঙ্গে অ্যালার্জির কোনো সম্পর্ক দেখতে পাননি৷ এর পরেই আরও এক রোগীর ক্ষেত্রেও আবার মাংসের কারণে অ্যালার্জির সন্দেহ দেখা দিলো৷ কিছু ওষুধ পরীক্ষার সময়ে রোগীদের মধ্যে আচমকা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ অথচ তার আগে পর্যন্ত পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হয়নি৷ প্রফেসর প্ল্যাটস-মিল্স শুধু হাসপাতালের কাছ থেকে প্রত্যেক রোগীর রক্তের নমুনা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন৷ এছাড়া কোনো উপায় ছিল না৷ সেই রক্তের নমুনায় তিনি শুধু ওষুধের ছোট এক অণুর বিরুদ্ধে অ্যান্ডিবডি খুঁজে পেলেন৷ সেটির নাম আলফা-গাল৷ বোঝা গেল, সেই আলফা-গালের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডিই অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী৷ কিন্তু সেটি শুধু ওষুধেই প্রয়োগ করা হয় না৷
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়
আপনার কি প্রায়ই নাকবন্ধ থাকে বা চোখ চুলকায় কিংবা রয়েছে হাঁপানির সমস্যা? এ সব হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জি৷ তবে একটু সচেতনতাই কিন্তু এ কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে৷ জেনে নিন কিভাবে৷
ছবি: DW/A. Islam
চাই পরিষ্কার বিছানা
মাঝে মাঝেই নাক বন্ধ থাকে অথবা ঠান্ডা লাগে৷ তার ওপর এর জন্য কোনো ওষুধ খেয়েও লাভ হয় না৷ এমনকি বিছানায় শুয়ে থেকেও ঠিকমতো বিশ্রাম হয় না, বরং উল্টোটাই হয়৷ কারণ বিছানায় রয়েছে ধুলোবালি, ছারপোকা, যা সাধারণ চোখে সেভাবে দেখা যায় না৷ তাই যতক্ষণ এগুলো পুরোপুরি পরিষ্কার না হবে, ততক্ষণ অ্যালার্জির কষ্ট থাকবেই৷
ছবি: Fotolia/fotogestoeber
ধূলিকণার অ্যালার্জি
ধূলিকণার অ্যালার্জি জার্মানিতে আনুমানিক শতকরা ১০ জন মানুষের রয়েছে ধূলিকণার অ্যালার্জি৷ তথ্য জার্মানির অ্যালার্জি এবং হাঁপানি অ্যাসোসিয়েশনের৷ এতে করে সবসময় সর্দি ভাব থাকে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে৷ সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো, এটা বেশ নিয়মিতভাবে হয় এবং কখনই একেবারে সেরে যায় না৷ ঘরের ভেতরে থাকলে এতে বেশি কষ্ট হয়, যা পরে এক সময় হাঁপানিতেও পরিণত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ির পর্দা পরিষ্কার রাখুন
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত বাড়ির দরজা, জানালার পর্দা ধুতে হবে৷ সম্ভব হলে পর্দা তৈরির জন্য এমন কাপড় কিনতে হবে, যা সহজে ধোয়া যায়৷ তাছাড়া পর্দার কাপড় হওয়া চাই সেরকম, যাতে ধুলোবালি আটকে থাকতে না পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jens Wolf/
কাপড়ের খেলনা
ছোট্ট-মিষ্টি কাপড়ের খেলনাগুলো দেখলেই কেমন যেন আদর করতে ইচ্ছে করে, তাই না? এ সব খেলনা অনেক শিশুই হাতে রাখে বা বিছানায় সাথে নিয়ে ঘুমায়৷ যত আদরের খেলনাই হোক না কেন, এগুলোতে কিন্তু অনেক ধুলো আটকে থাকে৷ তাই মাঝে মাঝেই শিশুদের প্রিয় কাপড়ের এই খেলাগুলোকে ‘ডিপফ্রিজে’ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন, যাতে এতে বসে থাকা ছারপোঁকাগুলো মরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সোফার ধুলোবালি
আমরা সবাই জানি যে, চামড়ার সোফা ছাড়া বেশিরভাগ সোফার কাপড়ে ধুলো আটকে থাকে৷ তাই যাঁদের অ্যালার্জি আছে তারা হয় চামড়ার সোফাসেট ব্যবহার করুন, নয় তো সোফা পরিষ্কার ও সোফার ঢাকনা নিয়মিত পাল্টান৷
ছবি: Fotolia/Minerva Studio
চাদর বালিশ, লেপ, কম্বল
যাঁদের এ ধরনের অ্যালার্জি আছে, তাঁরা নিয়মিত পর্দা, বিছানা, সোফা – ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন৷ এগুলোর মধ্যে ধুলোবালি বা ছারপোঁকা থেকে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই৷ কারণ ওরা অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে৷ বলা বাহুল্য, ছারপোঁকার সবচেয়ে আরামের জায়গা হচ্ছে তোষক৷ আর তার ওপরই মানুষ অনেকটা সময় কাটায়৷ তাই সবচেয়ে ভালো হয় পুরনোগুলো ফেলে দিয়ে, নতুনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে পারলে৷
ছবি: Gina Sanders - Fotolia
স্বাস্থ্য আগে, সৌন্দর্য নয়!
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায় যে, তাঁদের বাচ্চাদের কার্পেট থেকে অ্যালার্জি হয়৷ কিন্তু বিছানার ম্যাট্রেসের কথা অনেকে হয়ত লক্ষ্যই করেন না৷ যাই হোক, যে বাড়িতে বাচ্চার অ্যালার্জি আছে, সেখানে ছোট কার্পেট রাখা যেতে পারে৷ তবে খুব ভালো করে নিয়মিত কার্পেটটি শ্যাম্পু করতে হবে৷ গরমের দেশে বাড়িতে কার্পেট শুধু সৌন্দর্য বাড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগে না৷ তাই সেটা না রাখাই ভালো৷
ছবি: Irna
ডাক্তারি পরীক্ষা
জার্মানির গ্যোটিংগেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ বলেন, যাদের সর্দি, নাকবন্ধ, চোখ দিয়ে জল পড়া, হাঁপানি, শুকনো কাশি নিয়মিতভাবে হয়, তাদের অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করা জরুরি৷ একমাত্র তখনই ঠিকমতো চিকিৎসা সম্ভব৷ অ্যালার্জি টেস্ট যে কোনো ডাক্তারের কাছেই করা সম্ভব৷ তবে ডাক্তার যদি অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরো ভালো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছারপোঁকার প্রবেশ নিষেধ
জার্মানিতে অ্যালার্জি রোগীদের জন্য পাওয়া যায় বিশেষ ধরণের তোষক, বালিশ এবং লেপ৷ এগুলোতে ছারপোঁকা সহজে বাসা বাঁধতে পারে না৷ তবে স্বাভাবিকভাবেই এ সবের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/R. Koenig
বাইরের ধূলিকণা
বাইরে না গিয়ে মানুষের উপায় থাকে না৷ তাই বাইরে থেকে এসে, অর্থাৎ বাড়িতে ঢুকেই ভালোভাবে স্নান করে নেবেন৷ অর্থাৎ চুল, নাক, মুখ, চোখ, হাত, মুখের ভেতর – এগুলোকে গুরুত্ব দেবেন৷ ওপরের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলে অ্যালার্জির রোগীরা অনেকটাই অ্যালার্জি মুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারবেন৷ জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়!
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরেও সেটি থাকে৷ তাহলে কি মাংসের কারণে অ্যালার্জির ধারণা ঠিক? প্রো. টমাস প্ল্যাটস-মিল্স বুঝলেন যে মাংসে অ্যালার্জি সংক্রান্ত অদ্ভুত দাবি করা মানুষের শরীরে নিশ্চয় সেই অ্যান্টিবডি গড়ে উঠেছে৷
ক্লাউডিয়ার শরীরেও আলফা-গালের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি রয়েছে৷ তিনি অবশেষে এমন এক ডাক্তারের দেখা পেলেন, যিনি প্রোফেসর প্ল্যাটস-মিল্সের কাজ সম্পর্কে জানতেন৷ তিনিই ক্লাউডিয়ার শরীরে মাংসে অ্যালার্জির প্রমাণ পেলেন৷
কিন্তু একটি হিসেব তখনো মিলছিল না৷ রোগীরা তাহলে কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সারা জীবন কীভাবে মাংস খেয়ে এসেছেন? প্রো. টমাস প্ল্যাটস-মিল্স খেয়াল করলেন, যে প্রায় সব রোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল থেকে এসেছেন৷ তাহলে কি জায়গাটির সঙ্গে এমন প্রতিক্রিয়ার কোনো সংযোগ রয়েছে? অধ্যাপক প্ল্যাটস-মিল্স জানালেন, যে তাঁরা গুগল ম্যাপে সব রকম সম্ভাব্য কারণের খোঁজ করেছিলেন৷ ছত্রাক, কীট, মানুষের আচরণ এবং অবশ্যই রোগব্যাধীর খোঁজও নেওয়া হয়েছিল৷
শিশুর অ্যালার্জি রোধে গর্ভবতী নারীর যা করণীয়
আজকাল কথায় কথায় নানা ধরনের অ্যালার্জির কথা শোনা যায়৷ তবে গর্ভবতী নারী কিছুটা সতর্ক হলে সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব৷
ছবি: Colourbox/Serhii Bobyk
সতর্ক হতে হবে শিশুর জন্মের আগেই!
জার্মানির ত্বক ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সন্তান জন্মের পর অনেক মা-বাবাই অ্যালার্জি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন৷ এতে অবশ্য তেমন কোনো উপকার হয় না৷ কারণ সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুর জন্মের আগেই মা এবং বাবাকে সতর্ক হতে হবে৷ শিশুর জন্মের পরে নয়!
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
মা-বাবা
বাবা-মায়ের যদি অ্যাজমা, ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জি বা হে ফিভার, ধূলোবালি বা বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তার সন্তানেরও সেই সব অ্যালার্জি হতে পারে৷ এছাড়া শিশুর মা এবং বাবা – দু’জনেরই যদি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তাঁদের সন্তানের অ্যালার্জি হওয়ার আশংকা থাকে আরো বেশি৷ জানান জার্মান বিশেষজ্ঞ এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: BildPix.de/Fotolia
ধূমপান
গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথেই শিশুর মা এবং বাবার ধূমপান করা উচিত নয়৷ তাছাড়া জন্মের পর শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, এমনকি তার পরেও বাবা-মায়ের ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত৷ বাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তা শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে বাধাগ্রস্ত করে৷ কারণ তখন অ্যাজমা বা শ্বাসনালীর মতো অন্যান্য অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি শিশুর মধ্যে বেশি থাকে৷
ছবি: Fotolia/ Gina Sanders
বিভিন্ন বাদাম, বেগুন, মাংস...
শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, অন্তত ততদিন শিশুর মাকে সুসম খাবার খেতে হবে৷ বাদাম, বেগুন বা গরুর মাংসের মতো খাবারে যদি মায়ের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে সে সমস্ত খাবার থেকে মাকে দূরে থাকতে হবে অবশ্যই৷
ছবি: COLOURBOX
পোষা জীবজন্তু
যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকে, সেখানে পোষা জীবজন্তু রাখা ঠিক নয়৷ বিশেষ করে বেড়াল৷ কারণ বেড়াল শিশুর অ্যালার্জির জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ৷ পাখিও ঝুঁকিমুক্ত নয়৷ তবে কুকুরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা গেলে, তারা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Fotolia/otisthewolf
বেবির ঘর
নতুন অতিথীর জন্য অনেক বাড়িই নতুন ফার্নিচার ও জিনিসপত্র দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়৷ জার্মানিতে বেশিরভাগ পরিবারেই মেয়ে শিশু হলে তার জন্য সবকিছু গোলাপি আর ছেলের জন্য নীল রঙের জিনিস দিয়ে সাজানো হয়৷ অথচ কাঠের নতুন ফার্নিচার থেকেও শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে৷ তাই ফার্নিচার কেনার সময় বিষয়টা পরিবারের সকলকে মনে রাখতে হবে, জানান ড. এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: Colourbox/pitrs
ঘরে নতুন রং
শিশুর ঘর মনের মতো করে সাজাতে অনেকেই ঘরে নতুন রং করেন৷ কিন্তু রঙের মধ্যে থাকে নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান, যা থেকে শিশুর অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই ঘরে যদি রং করতে হয়, তবে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব রং ব্যবহার করা উচিত৷
ছবি: picture alliance/Denkou Images
মুক্ত বাতাস
দিনে তিনবার দশ মিনিট করে শিশুর ঘরের জানালা বড় করে খুলে দিতে হবে, যাতে ঘরে কোনোরকম গন্ধ না থাকে বা ফাঙ্গাস না পড়ে৷ এছাড়া বিছানার চাদর, বালিশ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে৷ শিশুর মা-বাবা এবং পরিবারের সকলে এই নিয়মগুলো মেনে চললেই একমাত্র অ্যালার্জির ঝুঁকি থেকে শিশুকে দূরে রাখা সম্ভব৷
ছবি: iTake Images - Fotolia.com
8 ছবি1 | 8
অবশেষে বিস্ময়কর এক মিল খুঁজে পাওয়া গেল৷ যে এলাকায় মাংসে অ্যালার্জির ঘটনা ঘটছে, ঠিক সেখানেই অন্য একটি রোগও দেখা যাচ্ছে, যার নাম ‘রকি মাউন্টেন টাইফাস'৷ টিক্স পোকা সেই রোগ বহন করে৷ প্রশ্ন হলো, সেই প্রাণীই কি মাংসে অ্যালার্জির নেপথ্যে আলফা-গালের উৎস?
গবেষকরা রোগীদের টেলিফোন করে টিক্স পোকার কামড় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন৷ দেখা গেল, মাংসে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেবার আগে সত্যি তাঁরা এই পোকার কামড় খেয়েছেন!
টিক্সের লালার মাধ্যমে আলফা-গাল মানুষের রক্তে প্রবেশ করে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা৷ তখন শরীরের ইমিউন সিস্টেম সেটিকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে৷ খাদ্যের মাধ্যমে আলফা-গাল রোগীদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে প্রবেশ করলে সেটির বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ শুরু হয়৷