1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোকা মারার বিষে মরে পাখি

ফ্রিডেরিকে ভাগনার/এসি২৩ আগস্ট ২০১৭

পোকামাকড় মারার বিষ, আগাছা মারার বিষ, ছত্রাক মারার বিষ, এ সব কীটনাশক ছাড়া পশ্চিমে কৃষিকাজ চলে না৷ অথচ এর ফলে একদিকে মৌমাছি মরছে, অন্যদিকে পাখিদের খাবার কমে যাচ্ছে৷

ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO/A. Trunk

জার্মানিতে কৃষি একটা শিল্প৷ চাষ হয় বড় বড় মাঠ জুড়ে, সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে৷ পোকামাকড় মারার জন্য আছে কীটনাশক; আগাছা মারার জন্য হার্বিসাইড; ফাংগাস মারার জন্য ফাংগিসাইড৷ ৯০ শতাংশ জার্মান চাষি এভাবে চাষ করে থাকেন৷

রেপসিডের মাঠ হলদে ফুলে ভরে আছে৷ মাঝখানে কীটপতঙ্গে ধরার জন্য একটা ফাঁদ পাতা৷ ক্লাউস ম্যুন্শহফ পরীক্ষা করে দেখছেন, কীটনাশক ঠিকমতো কাজ করছে কিনা৷ কীটনাশক ছাড়া যে চাষবাস সম্ভব নয়, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত৷ তাঁর ধারণা, ‘‘আমরা যদি রেপসিডের চাষে কীটনাশক ব্যবহার না করি, তাহলে ফসলের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাকি থাকবে; আগাছা মারার বিষ ব্যবহার না করলে ফসলের ৫৫ শতাংশ মাঠে মারা যাবে; আর ফাংগাসের ক্ষেত্রে... ঠিক জানি না, তবে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট হবে বৈকি৷''

মুশকিল এই যে, কীটনাশক শুধু চাষিদের ফসল বাঁচায় না, সেই সঙ্গে বুনো লতাপাতা, জড়িবুটি ও পোকামাকড় শেষ করে দেয়, যা কিনা পাখিদের খাবার৷ ম্যুন্শহফ-এর কর্মীরা আজ ফাংগিসাইড, অর্থাৎ ফাংগাস মারার বিষ ছড়াবেন৷ এই বিষে পাখিদের কোনো ক্ষতি হয় না, বলে ধরে নেওয়া হতো: কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সব ধরনের বিষ থেকেই পোকামাকড়দের সংখ্যা কমে যায়৷ বিষের পরিমাণও তো কিছু কম নয়৷ ম্যুন্শহফ জানালেন, ‘‘গম বা যব চাষে আমরা বার চারেক স্প্রে করি: হেমন্তে বীজ রোয়ার পর একটা হার্বিসাইড, যাতে আগাছা বাড়তে না পারে; তারপর বসন্তে আরো একবার,যদি কোনো আগাছা বেঁচে গিয়ে থাকে৷ নয়তো একবার কি দু'বার ফাংগিসাইড স্প্রে করা হয়৷''

নিওনিক্স

জার্মান চাষিরা বছরে সাকুল্যে ৪০,০০০ টন কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন৷ পাখিদের ওপর তার প্রভাব কল্পনা করা শক্ত নয়৷ বিজ্ঞানীদের চিন্তা একটি বিশেষ গোত্রের কীটনাশকগুলিকে নিয়ে: এগুলিকে বলে নিওনিকোটিনয়েডস বা সংক্ষেপে নিওনিক্স৷

ভোমরাদেরও যে দিন ভালো যাচ্ছে না, সেটা প্রথমে কারো চোখেই পড়েনি৷ কোনো রহস্যময় রোগে মৌমাছিদের সংখ্যা কমতে শুরু করার পর ভোমরাদের দিকেও নজর দেওয়া হয়৷ নিওনিক্সই মৌমাছি মরার কারণ বলে মৌচাষিদের ধারণা৷ ব্রিটিশ কীটবিজ্ঞানী ডেভ গুলসন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন৷ তিনি জানালেন, ‘‘নব্বইয়ের দশকেই ব্যাপারটা শুরু হয়, যখন কৃষিকাজে এই রাসায়নিকের ব্যবহার প্রথম চালু হয়৷ ফরাসি মৌচাষিরা বলতে শুরু করেন যে, তাদের মৌমাছিরা মরছে এই নতুন রাসায়নিকের কারণে৷ কিন্ত অন্য সব পোকামাকড়, বন্য কীটপতঙ্গ, তাদের হয়ে ওকালতি করার মতো তো আর কেউ নেই! মাঠেঘাটে কোথাও ভীমরুলের বাসা নষ্ট হলে, ফড়িং কিংবা প্রজাপতি কিংবা গঙ্গাফড়িং মরতে শুরু করলে, কেউ সঙ্গে সঙ্গে তা খেয়াল করবে না৷ তবে দীর্ঘমেয়াদে আমরা ঠিকই খেয়াল করেছি যে, অধিকাংশ বন্য কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ