1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোপের কাছে ট্রাম্পকে সামলানোর পরামর্শ চেয়েছিলেন ম্যার্কেল

২১ নভেম্বর ২০২৪

ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে কীভাবে সামলাতে হবে সে বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে পারেন- এই আশঙ্কা থেকে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন ম্যার্কেল৷
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (ফাইল ফটো)ছবি: Vatican Media/ANSA/picture alliance

 ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত হতে যাওয়া আত্মজীবনীতে এই কথা লিখেছেন ম্যার্কেল৷

‘ফ্রিডম: মেমোরিজ ১৯৫৪-২০২১' নামের আত্মজীবনীতে ম্যার্কেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন৷

বইটি প্রকাশের আগে সেখান থেকে কিছু অংশ বুধবার জার্মান সাপ্তাহিক ডি সাইট-এ প্রকাশ করা হয়৷ 

জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে পারেন- এই আশঙ্কা থেকে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ পোপকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মৌলিকভাবে ভিন্ন মতাদর্শের' মানুষের সঙ্গে কীভাবে চলা যায়৷ প্রশ্নটি যে ট্রাম্প ও জলবায়ু চুক্তি থেকে তার সরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রেক্ষিতে করা হয়েছে তা পোপ সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যান বলে ম্যার্কেল তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন৷ উত্তরে পোপ ম্যার্কেলকে বলেছিলেন, ‘‘বাঁকান, বাঁকান, বাঁকান, কিন্তু নিশ্চিত করবেন যেন ভেঙে না যায়৷''

ট্রাম্প সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, তিনি (ট্রাম্প) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন ও অন্য কর্তৃত্ববাদী নেতাদের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন৷ ‘‘তিনি সবকিছুকে প্রোপার্টি ডেভেলপারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতেন৷ একটি জমি একবারই বিক্রি করা যায়, এবং তিনি যদি এটা না পান, তাহলে অন্য কেউ এটা পাবে ন৷ এভাবেই তিনি বিশ্বকে দেখতেন,'' ট্রাম্প সম্পর্কে বলেন ম্যার্কেল৷

২৬ নভেম্বর ৩০টির বেশি দেশে ম্যার্কেলের আত্মজীবনী প্রকাশিত হবে৷ এর এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রে বইটি উন্মোচন করা হবে৷ ঐ অনুষ্ঠানে ম্যার্কেলের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থাকবেন৷

১৬ বছর চ্যান্সেলর থাকার পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময়ও ম্যার্কেল জনপ্রিয় ছিলেন৷ তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও জার্মানির বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য ম্যার্কেলের সময়ে রাশিয়ার জ্বালানির উপর জার্মানির অতি নির্ভরশীলতাকে দায়ী করেন কিছু মানুষ৷

তবে ম্যার্কেল কখনো তার রাশিয়া নীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি৷

পুটিন সম্পর্কে ম্যার্কেল তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তিনি সবসময় চাইতেন তাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক৷ ‘‘আমি তাকে এমন একজন হিসাবে অনুভব করেছি যিনি অসম্মানিত হতে চান না,'' লিখেছেন ম্যার্কেল৷ ‘‘আপনার কাছে এটা শিশুসুলভ ও তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু এর মানে হচ্ছে, রাশিয়া কখনোই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায়নি৷''

ম্যার্কেল লিখেছেন, পুটিন তাকে একসময় ইউক্রেন নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আপনি সবসময় চ্যান্সেলর থাকবেন না, তখন তারা ন্যাটোতে (ইউক্রেন) যোগ দেবে৷ আর আমি এতে বাধা দিতে চাই৷''

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ