1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাসবেস্টসের ঝুঁকি এড়ানোর উপায়

৪ জুলাই ২০১৮

বাতাসে অ্যাসবেস্টসের ফাইবার অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ অথচ পুরনো বাড়ির মেরামতি কিংবা ভেঙে ফেলার কাজে অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে আশার ঝুঁকি রয়েছে৷ সেটি এডা়তে এক অভিনব পোর্টেবল অ্যাসবেস্টস ডিটেক্টর তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা৷

Symbolbild - Asbest
ছবি: Getty Images

ইংল্যান্ডের একটি কনস্ট্রাকশন সাইট – শুধু যে কর্মীরা এখানে কাজ করছেন, এমন নয়৷ বিজ্ঞানীরা এখানে একটি পোর্টেবল রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করেছেন৷ মোবাইল গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপনের কারণ: বাতাসে অ্যাসবেস্টসের রোঁয়া উড়ছে কিনা, তা নির্ধারণ করা৷

হেরফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ক্রিস স্টপফোর্ড বলেন, ‘‘এটি অ্যাসবেস্টস ডিটেক্টরের একটা প্রোটোটাইপ৷ আপাতত একটি ল্যাপটপের সঙ্গে জোড়া রয়েছে৷ যন্ত্রটিতে যতো ধুলার কণা ঢুকছে, ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাদের প্রত্যেকটি কণার স্ক্যাটারিং প্যাটার্ন বা আলো বিচ্ছুরণের নকশা দেখা যাচ্ছে, যা থেকে ধুলিকণাটির প্রকৃতি নির্ণয় করা সম্ভব৷ দেখা যাচ্ছে, এখানে খুব ধুলা থাকলেও,অ্যাসবেস্টসের ফাইবার বা রোঁয়া নেই৷ যন্ত্রতে বাতাস ঢুকে এমন একটি কক্ষে যাচ্ছে, যেখানে ধুলিকণাটির উপর লেজারের আলো পড়ে তার স্ক্যাটারিং প্যাটার্ন দেখা যায়৷ সেই স্ক্যাটারিং প্যাটার্নকে একটি ম্যাগনেটিক ফিল্ডে ফেলা হয়৷ ধুলিকণাটি যদি অ্যাসবেস্টসের রোঁয়া হয়, তাহলে সেটা চৌম্বকশক্তির আওতায় এলে ঘুরপাক খেতে শুরু করে৷''

কোনো ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বকশক্তির এলাকায় পড়লে অ্যাসবেস্টস ফাইবার ঘুরতে শুরু করে৷ বিজ্ঞানীরা এই গুণটির উপর ভিত্তি করে তাদের অ্যাসবেস্টস ডিটেক্টর সৃষ্টি করেছেন৷ স্টপফোর্ড বলেন, ‘‘এই রোঁয়াটি বাতাসে অ্যাসবেস্টসের রোঁয়ার চেয়ে এক হাজার গুণ বড়৷ কিন্তু এটিকে লেজার বিমে ফেললে সাধারণ অ্যাসবেস্টস ফাইবারের মতোই তা আলোকিত হয়ে প্রায় সেই ধরনের একটি স্ক্যাটারিং প্যাটার্ন সৃষ্টি করে৷''

কখনো-সখনো বিজ্ঞানীরা বাস্তবিক অ্যাসবেস্টসের ফাইবার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান – যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ৷ প্রযুক্তি অনেকদূর এগনোর ফলে আজ এ ধরনের গবেষণা সম্ভব৷ কয়েক বছর আগেও সংশ্লিষ্ট সাজসরঞ্জামের দাম বড় বেশি ছিল৷ ক্রিস স্টপফোর্ড বলেন, ‘‘আগে যে এটা করা হয়নি, তার মূল কারণ ছিল অর্থসংস্থান৷ লেজার ছিল খুব দামী; কম্পিউটারের খরচও ছিল অনেক৷ কাজেই গবেষকরা তখন কোনো সস্তার পোর্টেবল অ্যাসবেস্টস ডিটেক্টর তৈরি করতে পারেননি, যা অকুস্থলে ব্যবহার করা যায়৷ আজকাল লেজার আর কম্পিউটারের দাম কমেছে৷''

তাদের প্রোটোটাইপ যন্ত্রটি কাজ করবে বলে গবেষকদের বিশ্বাস৷ এমনকি পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে বলেও তাঁরা আশা রাখেন৷ প্রকল্পের সমন্বয়কারী অ্যালান আর্চার বলেন, ‘‘হাতে নিয়ে ঘোরা যায়, এমন একটি অ্যাসবেস্টস ডিটেক্টর তৈরির পরিকল্পনা আছে আমাদের – পরে থাকবার মতো একটি যন্ত্র৷ কাজেই পূর্তকর্মী যখন ড্রিল চালাচ্ছেন কিংবা হাতুড়ি পেটাচ্ছেন, তখন তিনি যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন, যন্ত্রেও ঠিক সেই বাতাসই ঢুকবে৷ সেই বাতাসে অ্যাসবেস্টস থাকলে যন্ত্রটি কাঁপতে শুরু করবে ও একটি অডিও অ্যালার্ম দেবে৷ নিঃশ্বাসে অ্যাসবেস্টসের একটি রোঁয়া ঢোকাও ক্ষতিকর; কাজেই বাতাসে অ্যাসবেস্টস ফাইবার যতো বেশি এড়িয়ে চলা যায়, ততোই মঙ্গল৷''

ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টস

03:20

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ