1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপোল্যান্ড

পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আদালতের রায়

৬ জুন ২০২৩

বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে পোল্যান্ডের সরকার অগণতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করেছে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালত৷ ফলে ইইউ-র আর্থিক অনুদান থেকে বঞ্চিত থাকছে সে দেশ৷

বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে পোল্যান্ডের সরকার অগণতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করেছে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালত
বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে পোল্যান্ডের সরকার অগণতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করেছে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালতছবি: Patrick Scheiber/imago

ইউরোপে ‘পপুলিস্ট' সরকারগুলির দিনকাল মোটেই ভালো যাচ্ছে না৷ প্রকৃত গণতান্ত্রিক কাঠামো, আইনের শাসন, দুর্নীতি ইত্যাদি প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অত্যন্ত কড়া অবস্থান নেওয়ায় পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশের সরকার বার বার বিপাকে পড়ছে৷ কখনো কোটি কোটি ইউরো অংকের ইইউ আর্থিক অনুদান আটকে রাখা হচ্ছে, কখনো অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ মেনে নিতে হচ্ছে এই দুই দেশকে৷ সোমবার ইউরোপীয় আদালতের একটি রায় পোল্যান্ডের অবস্থান আরও দুর্বল করে তুলেছে৷ নির্বাচনের বছরে এমন চাপ সে দেশের সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠলো৷

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পোল্যান্ডের সরকার বিচার বিভাগের ‘সংস্কার'-এর দোহাই দিয়ে যে সব বিতর্কিত আইন প্রণয়ন করেছিল, সেগুলি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ সোমবার শীর্ষ ইউরোপীয় আদালতের এই রায় পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস' দলের জন্য বড় ধাক্কা, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই৷ ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসের রায় অনুযায়ী, পোল্যান্ডের বিচারপতিদের যেভাবে অনলাইনে কোনো সংঘ, অলাভজনক ফাউন্ডেশন বা রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ ঘোষণা করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তার ফলে তাঁদের গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে৷ আদালত সরকারের আরো কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পোল্যান্ডে আইনের শাসন খর্ব করা হচ্ছে বলে মনে করছে৷ পোল্যান্ডের সরকার অবশ্য এই রায়ের সমালোচনা করে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত' হিসেবে বর্ণনা করেছে৷

খোদ ইইউ কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউরোপীয় আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের কোনো সুযোগ পোল্যান্ডের নেই৷ সে দেশের সরকারকে সেই রায়ের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করতে হবে৷ সেই পদক্ষেপ না নিলে আদালত আরো আর্থিক জরিমানা করতে পারে৷ উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও ইউরোপীয় আদালত পোল্যান্ডের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে রায় দিয়েছিল৷ সরকার অনড় থাকায় প্রথমে দশ লাখ ইউরো , তারপর দিনপ্রতি পাঁচ লাখ ইউরো অংকের জরিমানা করে৷ এখন সেই অংক প্রায় ৫৫ কোটি ইউরো পেরিয়ে গেছে৷ ইউরোপীয় কমিশনও গণতন্ত্র খর্ব করার শাস্তি হিসেবে পোল্যান্ডের প্রাপ্য সাড়ে তিন হাজার কোটি ইউরোরও বেশি অর্থ আটকে রেখেছে৷ সোমবারের রায় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন৷ ইইউ-র আইন ও বিচার কমিশনর দিদিয়ে রাইন্ডার্স বলেন, ‘‘আজকের দিনটি পোল্যান্ডে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ পুনর্বহাল করার পথে গুরুত্বপূর্ণ৷'' তিনি পোল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে এই রায় পুরোপুরি কার্যকর করার আর্জি জানান৷

পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলি গত রোববার রাজধানী ওয়ারশতে সরকার-বিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছিল৷ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন৷ তবে চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসের সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিস দল এখনো প্রথম স্থান দখল করতে পারে বলে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সে দলের সমস্যা হতে পারে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ