1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ড সিআইএ-র ‘‘ব্ল্যাক সাইট''-এর কথা স্বীকার করল

১১ ডিসেম্বর ২০১৪

সাবেক পোলিশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার কোয়াসনিয়েভস্কি এই প্রথমবার স্বীকার করছেন যে, তাঁর দেশ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের গোপন স্থানে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ দিয়েছে – তবে নিপীড়ন করার অনুমতি দেয়নি৷

Aleksander Kwasniewski
ছবি: imago/Eastnews

মার্কিন সেনেটের সিআইএ নিপীড়ন সংক্রান্ত রিপোর্টে কোনো দেশের নাম করা হয়নি৷ তবে যে সব দেশে সিআইএ-র ‘‘ব্ল্যাক সাইট'' বা গোপন কারাগার থাকার কথা আগে থেকেই জানাজানি হয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ইউরোপ থেকে ছিল পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং রোমানিয়া৷

কোয়াসনিয়েভস্কি যখন রাজধানী ওয়ারশতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেসেক মিলার৷ কোয়াসনিয়েভস্কি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত৷ তাঁর আমলেই মিলার প্রধানমন্ত্রী হন৷ উভয়েই এ যাবৎ পোল্যান্ডে সিআইএ-র গোপন কারাগার কিংবা জেরা কেন্দ্রের কথা অস্বীকার করে এসেছেন৷

বুধবারও কোয়াসনিয়েভস্কি বলেন যে, মার্কিন তরফ শুধু কোনো বিরল স্থানে এমন সব ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেছিল, যারা নাকি ইতিপূর্বেই সহযোগিতার প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছে৷ পোল্যান্ড নাকি মার্কিন তরফের কাছ থেকে দাবি করেছিল যে, ধৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে এবং যুদ্ধবন্দি হিসেবে তাদের অধিকারসমূহ মেনে চলতে হবে৷

কিউবায় মার্কিন গুয়ান্টানামো বন্দিশিবিরে বন্দিরা (২০০২ সালের ছবি)ছবি: picture-alliance/dpa/Shane T. McCoy/US Navy

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ২০০৬ সালেই খবর দেয় যে, উত্তর-পূর্ব পোল্যান্ডের স্টারে কিয়েকুটি শহরে ২০০২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের হেমন্ত অবধি সিআইএ-র একটি গোপন কারাগারে ব্যক্তিবর্গকে রাখা এবং জেরা করা হয়েছে৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের খবর অনুযায়ী মোট আটজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পোল্যান্ডে ধরে রাখা হয়, যাদের মধ্যে খালিদ শেখ মোহাম্মেদও ছিল – যে নিজেকে নাইন-ইলেভেন আক্রমণের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করে থাকে৷

কোয়াসনিয়েভস্কি নাইন-ইলেভেন আক্রমণের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘‘গভীরতর'' গুপ্তচর বিভাগীয় সহযোগিতার কথা বলেন৷ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে পোল্যান্ডে সিআইএ কারাগার বন্ধ করার জন্য চাপ দিলে পর, ২০০৩ সালে সেই ‘‘গভীরতর'' সহযোগিতার অন্ত ঘটে৷

সেনেটের রিপোর্টে সিআইএ কারাগারকে কেন্দ্র করে ওয়ারশ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘‘বিবিধ একটানা সমস্যার'' কথা বলা হয়েছে৷ কিয়েকুটি-তে বন্দি রাখা শুরু হওয়ার চার মাসের মধ্যেই নাকি পোল্যান্ড আর বন্দি আনতে দিতে অস্বীকার করে – কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূত হস্তক্ষেপ করার পর সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়৷ পোল্যান্ড দৃশ্যত তার নিজস্ব গুপ্তচর বিভাগের জন্য দেড় কোটি ডলার সাহায্য লাভ করে৷

পোল্যান্ডে সিআইএ কারাগারের ব্যাপারটি অতীতে এপি সংবাদ সংস্থা এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন হয়ে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ ফলে পোলিশ সরকার ২০০৮ সালে একটি তদন্তের নির্দেশ দেন যা আজ অবধি চলেছে – এবং সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার এই তদন্ত কমিটি নাকি – ঠিক লিথুয়ানিয়ার মতোই – সেনেটের রিপোর্টের কপি চেয়ে পাঠাবে৷

সিআইএ-র ‘ওয়াটারবোর্ডিং’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (নিউ ইয়র্ক, ২০০৯)ছবি: AP

কিন্তু কোয়াসনিয়েভস্কি পূর্বাপর সিআইএ-র সঙ্গে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, বলে মনে করেন৷ দৃশ্যত তাঁর প্রশাসনের প্রত্যাশা ছিল যে, কখনো পোল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হলে, ওয়াশিংটন এই সহযোগিতার প্রতিদান দেবে এবং পোল্যান্ডের পাশে এসে দাঁড়াবে: যা কিনা আজ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলেন কোয়াসনিয়েভস্কি৷ কেননা রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করার পর, পোল্যান্ড নিজেকে আরো বিপন্ন বোধ করছে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ