1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক কারখানায় নিরাপদ কাজের পরিবেশ কতদূর?

৪ মে ২০১৭

তৈরি পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-র প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও৷ জাপানে এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন৷

Bangladesch Arbeiter in der Textilbranche
ছবি: DW/S. Burman

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এগারো শ’রও বেশি গার্মেন্ট শ্রমিক নিহত হন৷ আহত হন কয়েক হাজার৷ ভবনটিতে কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন৷ ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা চাপের মুখে পড়ে৷ বিশেষ করে শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে চলে আসে৷ নানা আলোচনার পর ক্রেতাদের দু'টি জোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে কাজ শুরু করে৷

গত ১১ এপ্রিল উত্তর অ্যামেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭১টি তৈরি পোশাক কারখানা শতভাগ সংস্কার কার্যক্রম শেষ হয়েছে৷ কয়েক মাসের মধ্যে এ সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে৷

অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমস এফ মরিয়ার্টি ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১ হাজার ৬৭৬টি কারখানায় অ্যালায়েন্স তাদের পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ করেছে৷ এর মধ্যে ৪৪০টিতে পুনরায় পরিদর্শন কার্যক্রম চলছে৷ প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে ব্যর্থ হওয়ায় অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত ১৪২টি পোশাক কারখানার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড গত বছরের মে মাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা  ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে৷ এর মধ্যে প্রায় ৭৫টি নতুন তালিকাভুক্ত কারখানায় পরিদর্শন চলমান রয়েছে৷ এ ছাড়া ৫৬ শতাংশ পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পোশাক কারখানাগুলো আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ হয়ে উঠেছে৷

অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের পাশাপাশি পোশাকখাত মূল্যায়নে রয়েছে সরকারের জাতীয় উদ্যোগ৷ দেশের মোট ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা এ উদ্যোগের আওতায় রয়েছে৷ প্রাথমিক পরিদর্শনের পর কারখানাগুলোকে ঝুঁকির মাত্রাভেদে গ্রিন, ইয়েলো, অ্যাম্বার ও রেড শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে৷ ‘ইমপ্রুভিং ওয়ার্কিং কন্ডিশন ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-র কারিগরি সহায়তায় এ কার্যক্রমে অর্থায়ন করছে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী৷

‘বিশ্বের সেরা ১০টি পোশাক কারাখানার ৭টি বাংলাদেশে’

This browser does not support the audio element.

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রানা প্লাজা ধসের পর আমরা ভবন, বিদ্যুৎ এবং ফায়ার এই তিনটি নিয়ে কাজ করছি৷ কর্মস্থলের নিরাপত্তার জন্য বিল্ডিং, ইলেকট্রিক এবং ফায়ার সেফটির জন্য আমরা কাজ করছি৷ আমরা চেষ্টা করছি বিশ্বমানের পোশাক কারখানা পরিবেশ তৈরির৷ এরই মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে৷ আশা করি এই বছরের শেষ নাগাদ শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে৷’’

তিনি জানান, ‘‘ইউনাইটেড গ্রিণ বিল্ডিং সার্টিফিকেট অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা ১০টি পোশাক কারাখানার ৭টি বাংলাদেশে৷ বাংলাদেশের ৬৯টি  পোশাক কারখানা ইউএস-এর গ্রিণ বিল্ডিং সার্টিফিকেট পেয়েছে৷ আরো ২২০টি কারখানা এই সার্টিফিকেট পাওয়ার পথে রয়েছে৷’’

এদিকে এডিবি’র প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে ঢাকায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বাংলাদেশের শতকরা ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ