1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক কারখানা পরিদর্শন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ জুলাই ২০১৩

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শনে আসছে ইউরোপের ৭০টি প্রতিষ্ঠান৷ তারা নয় মাসের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি পেলে তা ঠিক করতে পরামর্শ দেবে৷ বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে মনে করেন৷

ছবি: AP

তাজরীন ফ্যাশানস-এ অগ্নিকাণ্ড এবং তারপর গত ২৪শে এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১,১২৯ জন নিহত হওয়ার পর, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে৷ এই প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে৷ এ অবস্থায় ইউরোপ ভিত্তিক তৈরি পোশাকের ৭০টি খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডের জোট বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলি পরিদর্শন করবে৷ তারা বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে৷ প্রাথমিকভাবে নয় মাসের মধ্যে তারা কারখানা পরিদর্শন শেষ করবে বলে জানা গেছে৷ এই পরিদর্শনে কারখানা ভবনে যেসব ত্রুটি পাওয়া যাবে, তা সংশোধনের জন্য পরামর্শও দেবে তারা৷

রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠেছবি: Reuters

রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলও বাংলাদেশের পোশাক কারখানার শ্রমিক নিরাপত্তার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক খুচরা পোশাক বিক্রেতাদের একটি চুক্তিতে সই করতে চাপ দেয়৷ জানা যায়, বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শনের আগে ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে খুচরা বিক্রেতারা বাংলাদেশের কোন কোন পোশাক কারাখানা থেকে পোশাক কেনে – তা বিস্তারিত প্রকাশ করবে৷ তবে তারা বাংলাদেশের পোশাক কারখানা ভবনের ত্রুটি সারাতে, অগ্নি নিরপত্তা ঠিক করতে কত বরাদ্দ দেবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়৷

যে সব বিক্রেতা বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শনে আসবে তাদের মধ্যে আছে এইচঅ্যান্ডএম, ইনডেক্স এবং প্রিমার্ক৷ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট-ও এই দলে যুক্ত হওয়ার কথা বলেছে৷ তবে গ্যাপ বলছে যে, তারা গত অক্টোবর থেকেই এ কাজ শুরু করেছে৷

এখনও ছবি নিয়ে রানা প্লাজার সামনে স্বজনরাছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

বিজিএমইএ-র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন৷ শুধু তাই নয়, এ কাজকে সব ধরণের সহযোগিতা দেবেন তিনি৷ তবে ইউরোপের ঐ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিদর্শন হতে হবে বাংলাদেশে প্রচলিত নিয়ম-নীতি মেনে এবং সেখানে বিজিএমইএ-র প্রতিনিধিকে থাকতে হবে৷

ওদিকে বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন যে, এরা যদি কারখানাগুলো পরিদর্শন করে তাহলে তা হবে ইতিবাচক৷ কারণ তাহলে কারাখানার ভবন, অগ্নি নিরাপত্তাসহ সব ধরণের নিরাপত্তার একটি সর্বসম্মত মান প্রতিষ্ঠিত হবে৷ আর পোশাক কারখানার মালিকরা তা অনুসরণ করতে পারবেন৷

আতিকুল ইসলামের মতে, যারা এখান থেকে পোশাক কেনেন তাদের অধিকার আছে এখানকার পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার৷ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে হলে আন্তর্জাতিক নিরপত্তার মান অনুসরণ করতে হবে৷ এ কারণে বিজিএমইএ-র প্রতিনিধিরাও কারখানা পরিদর্শন করছে৷ তাঁর কথায়, তারা বিজিএমইএ-কে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবেন৷ এছাড়া, নিরাপত্তার উন্নয়নেও তারা সহায়তা করবেন বলে প্রকাশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ