নানা দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে৷ শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দিতে বলছেন আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন৷
বিজ্ঞাপন
এ সব সংগঠনের অভিযোগ, বাংলাদেশে বড় তৈরি পোশাক কারখানার সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সহজ নয়৷ সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া এ সব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে বড় পোশাক নির্মাতারা স্বচ্ছতা অবলম্বন করেনা৷ ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের দিয়ে দীর্ঘসময় কাজ করানো ও তাদের কম মজুরি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে৷
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘ডিজিটাল আরএমজি ফ্যাক্টরি ম্যাপিং ইন বাংলাদেশ' বা ডিআরএফএম-বি নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ এর আওতায় দেশের সব পোশাক কারখানার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে একটি ‘ডিজিটাল ম্যাপ' তৈরি করা হবে৷ সবার জন্য উন্মুক্ত এই ম্যাপের সাহায্যে যে কেউ সহজেই অনলাইনে কোনো পোশাক নির্মাতা সম্পর্কে নানান তথ্য পাবেন৷
এ সমস্ত তথ্যের মধ্যে রয়েছে, কারখানার নাম, স্থান, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সংখ্যা, উৎপাদনকারী পণ্যের ধরন, যে সব দেশে পণ্য রপ্তানি করা হয় সেগুলোর নাম, যেসব ব্র্যান্ড পোশাক কিনে থাকে তাদের নাম, কারখানা ভবনের ধরন, কাছাকাছি হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ট্রেড ইউনিয়নের তথ্য ইত্যাদি৷
প্রকল্পের প্রধান পারভিন এস হুদা বলেন, সাব-কন্ট্রাক্টরদের সম্পর্কে যে অভিযোগগুলো রয়েছে তা দূর করা হবে এই প্রকল্পের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য৷
পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কার্যালয়ে শনিবার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত৷ এর আওতায় ২০১৮ সালে ঢাকা অঞ্চলের কারখানাগুলোর তথ্য নিয়ে ডিজিটাল মানচিত্রটি চালু করা হবে৷ এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি জেলার কারখানার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো সঠিক ও হালনাগাদ রাখার জন্য ‘ক্রাউডসোর্চ' পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে৷
সিঅ্যান্ডএ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও বিজিএমইএর সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র (সিইডি)৷
চট করে পছন্দের পোশাক পেতে যা করবেন!
লাল জামাটা পরতে চাচ্ছি, সাথে ম্যাচিং জুতো, কিন্তু কিছুতেই ওসব খুঁজে পাচ্ছি না৷ একটা টানতে গেলে অন্যটা পরে যায়৷ আলমারি গোছানোর সহজ কিছু টিপস জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Fotolia/Marco Desscouleurs
প্রথমে সব কাপড় বিছানায় রাখুন
মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে পছন্দের কাপড়, জামা আলমারিতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না৷ অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, আলমারির দরজা খুললেই যেন হুড়মুড় করে অর্ধেক কাপড় পরে যায়৷ শুধুমাত্র না গোছানো বা এলোমেলো থাকার কারণেই এই অবস্থা৷ তাই প্রথমেই আলমারির সব কাপড় বের করে বিছানার ওপর ছড়িয়ে রাখুন৷
ছবি: Fotolia/GoodMood Photo
তারপর?
যে কাপড়গুলো আপনি আর কখনো পরবেন না বা গায়ে হয় না, কিংবা এখন আর পছন্দ হয় না কিংবা ফ্যাশন চলে গেছে, সেগুলো বের করে আলাদাভাবে একটি বাক্স বা ব্যাগে ভরে রাখুন৷ তাহলেই দেখবেন আলমারির অনেকটা জায়গা খালি হয়ে গেছে৷ এবার নতুন করে গোছাতে আর কোনো সমস্যা নেই!
ছবি: picture-alliance/dpa
এরপর?
কাপড়ের ধরণ, অর্থাৎ জিন্স, টি-শার্ট, কামিজ, স্কার্ট, শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার সব আলাদা করে নিন৷ এবং কাপড়ের রং ভেদেও আলাদা করুন৷ এবার কাপড়ের ধরণ, সাইজ, রং মিলিয়ে মিলিয়ে আলমারিতে গুছিয়ে রাখুন৷
ছবি: Fotolia/William Wang
এক নজরে ওড়না, টাই, বেল্ট...
ওড়না, টাই, বেল্ট, টাইয়ের ক্লিপ ইত্যাদি ছোট জিনিসগুলো প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না৷ এ সব আলাদা করে আলমারির ভেতরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন, যেন পোশাক পছন্দ করার সাথে সাথেই এই জিনিসগুলো পেতে অসুবিধা না হয়৷
ছবি: BilderBox
স্যান্ডেল, জুতো...
গরমকালে পরার স্যান্ডেল এবং শীতের জুতো আলাদা করে নিন৷ তারপর রং অনুযায়ী সাজিয়ে নিন৷ যেগুলো বেশি পরেন, সেগুলো আলমারির ভেতরে নীচের তাকে সামনের দিকে আর যেগুলো তেমন পরা হয় না সেগুলো পেছনের দিকে রেখে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
গহনা...
এগুলো গুছিয়ে না রাখলে অনেক সময় হারিয়ে যায় বা দরকারের সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না৷ অনেক সময় আবার গলার চেন একটার সাথে আরেকটা লেগে যায় এবং প্রয়োজনের সময় পরা যায় না৷ তাই কানের দুল এবং গলার মালা একসাথে করে ডিমের বাক্সে রাখতে পারেন৷ আর বেশি বড় মালাগুলো কিন্তু দেয়ালে ঝুলিয়েও রাখা যায়৷
ছবি: Imago/imagebroker
জুতোর বাক্সে?
হ্যাঁ, মেয়েদের ব্রা, প্যান্টি বা ছেলেদের আন্ডার গারমেন্টের মতো ছোট জিনিস আলাদা করে জুতোর বাক্সতে রাখতে পারেন৷ তবে তার আগে দু-একটি জুতোর বাক্স ছোট ছোট করে কেটে বাক্সের ভেতরে এমনভাবে রাখুন যেন আলাদা আলাদা ঘর তৈরি হয়৷ এবার সেগুলোতে একটি একটি করে ছোট কাপড় ভরে রাখুন৷
ছবি: AP
সবচেয়ে সহজ উপায়
আপনাকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগে এমন কয়েকটি পোশাক বেছে নিয়ে পরে ফেলুন৷ এবার কিন্তু ছবি তোলার পালা৷ ছবিগুলো এবার আলমারির ভেতরের দরজায় লাগিয়ে রাখুন৷ তাহলে তাড়াহুড়োর সময় অল্প সময়ে নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে আর কোনো অসুবিধাই হবে না৷ এই পদ্ধতি চাকরিজীবীদের জন্য খুবই উপকারী৷
ছবি: RTL
8 ছবি1 | 8
জেডএইচ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
ডিজিটাল ম্যাপিং কি পোশাক কারখানার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে? লিখুন নিচের ঘরে৷