1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক খাত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ অক্টোবর ২০১৫

চীন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের দিকে নজর দেয়া শুরু করেছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পোশাক খাতের নেতারা৷

Bangladesch Textilarbeiterinnen in Dhaka
ছবি: AP

[No title]

This browser does not support the audio element.

তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ পোশাক রপ্তানি বছরে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্তমান রপ্তানির তুলনায় দ্বিগুণ৷ তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে উৎপাদনের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে৷

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন দক্ষ জনবলের অভাব এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পোশাক খাত থেকে সরে গিয়ে অন্যান্য শিল্পখাতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে৷ বিশ্বে চীন পোশাক রপ্তানিতে প্রথম এবং রপ্তানি বাজারের ৪০ ভাগ তাদের দখলে৷ বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় হলেও মোট বাজারের মাত্র পাঁচ ভাগের কিছু বেশি বাংলাদেশের দখলে৷ বাংলাদেশ গত বছর মোট ২৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে৷

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ যদি চীনের বাজারের ২০ ভাগও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের বছরে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় দ্বিগুণেরও বেশি হবে৷ আর নতুন প্রায় ৫৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করে সেটা করতে পারবে কি না৷ এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা প্রধানত চীনের ছেড়ে দেয়া বাজার ধরার জন্যই এখন কাজ করছি৷ এজন্য আমরা পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি৷ আমরা এনিয়ে গবেষণা করেছি এবং লক্ষ্যে যেতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে তাও নির্ধারণ করেছি৷''

[No title]

This browser does not support the audio element.

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, ‘‘এজন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরির প্রশিক্ষণ, তাদের নিরাপত্তা এবং অবকাঠামোর কাজ শুরু হয়েছে৷ এসবের মান নিয়ে আমরা আপোষ করবনা৷''

তিনি দাবি করেন, ‘‘বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা আরো উন্নত হবে৷ আর সরকার যাতে নতুন কারখানা স্থাপনের জন্য জমি ও পুঁজি দিয়ে সহায়তা করে তার জন্যও আমরা কাজ করছি৷''

তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ, সিপিডি-র পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘চীন যে ধীরে ধীরে পোশাক উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে এটা বাংলাদেশের জন্য সুযোগ হলেও চ্যালেঞ্জও আছে অনেক৷ প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে কি না৷ কারণ চীন আরেকটু উন্নতমানের পোশাক তৈরি করে৷ একইসঙ্গে দক্ষ জনবল, কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও এসে যায়৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সামনে প্রতিযোগী দেশও আছে৷ আর বাংলাদেশকে এখন ভাবতে হবে পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য৷''

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক৷ ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে এগারশ'র বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প চাপের মুখে পড়ে৷ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ আর এরমধ্যে পোশাক খাত থেকেই আয় হয় ২৫.৫ বিলিয়ন ডলার৷

বাংলাদেশ কি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে? মতামত জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ