পশু প্রেমীরা চাইলে মৃত্যুর পর তাদের পোষা প্রাণীকেও একই কবরে পাবেন৷ এমন একটি আইন পাস করেছে জার্মানির একটি রাজ্যের আদালত৷ এজন্য শহরের গোরস্থানে একটি আলাদা জায়গা রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
বিজ্ঞাপন
জার্মানির হামবুর্গ শহর কর্তৃপক্ষ নতুন একটি আইনে এ সুযোগ রেখেছে৷ খুব শিগগিরই এর বাস্তবায়নের কথা রয়েছে৷
আইন অনুযায়ী, পোষা প্রাণীর আগে মৃত্যু হলে তার দেহভস্ম একটি কফিনে রেখে কবর দেয়া হবে, যেখানে মারা যাওয়ার পর প্রাণীটির মালিকও শায়িত হবেন৷ আর মালিকের মৃত্যু আগে হলে প্রাণীটি মারা যাওয়ার পরে তাকেও একই জায়গায় কবর দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ এক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হবে ঐ ব্যক্তির পরিবারকে৷
গ্রিন পার্টির মুখপাত্র উলরিকে স্পার বলেন, ‘‘পোষা প্রাণীর সাথে অনেকেরই নিবিড় ও আবেগের সম্পর্ক৷ প্রাণীরা তাদের পরিবারেরই একজনের মতো৷ তাই এই অনুমতি যৌক্তিক৷''
স্পার মনে করেন যারা বিষয়টিকে সমর্থন করেন না তাদের সম্মানে হামবুর্গের গোরস্থানে আলাদা একটি জায়গা রাখা উচিৎ৷ এ বিষয়ে এরইমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে হামবুর্গের কবরস্থান কর্তৃপক্ষও৷ তাদের একজন মুখপাত্র জার্মানির সংবাদ সংস্থা কেএনএকে জানিয়েছেন, শহরের উত্তরের একটি কবরস্থানের একপাশে এক হেক্টরের মত জায়গা বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করেছেন তারা৷ যেখানে পোষা প্রাণী আর তাদের মালিককে কবর দেয়া হবে৷ তবে এক্ষেত্রে শুধু কুকুর, বেড়ালের মতো ছোট প্রাণীদেরই কবর দেয়ার সুযোগ হবে৷ ঘোড়া বা অন্য কোন বৃহৎ পোষা প্রাণীকে সাথে পাবেন না মৃত ব্যক্তিরা৷
জার্মানিতে বর্তমানে পোষা প্রাণীর জন্য দেড়শ'টির মতো কবরস্থান আছে৷ প্রাণী আর মানুষকে একসাথে কবর দেয়ার বিষয়ে আপত্তিও আছে অনেকের৷ নতুন উদ্যোগটি বাস্তবায়নে এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এফএস (ডিপিএ, কেএনএ, ইপিডি)
রাজনীতিবিদদের পোষা প্রাণী
রাজনীতিবিদদের কেউ ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে, কেউ শখ করে আর কেউবা রাজনৈতিক সুবিধা পেতে প্রাণী পুষে থাকেন৷ ছবিঘরে এমনই কয়েকজন নেতার কথা থাকছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Souza
বরিস জনসনের ডিলিন
ল্যারি নামে একটি বিড়ালের মালিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পার্টনার ক্যারি সাইমন্ডস৷ সম্প্রতি ল্যারির সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যোগ দিয়েছে ডিলিন (ছবি) নামের ১৫ সপ্তাহ বয়সি এই বাচ্চা কুকুর৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Lipinski
ভ্লাদিমির পুটিনের ভার্নি
তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট বার্ডিমুখামেদভ ২০১৭ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনকে ভার্নি নামের এই বাচ্চা কুকুরটি উপহার দেন৷ কুকুরের প্রতি পুটিনের ভালোবাসার কথা সবাই জানেন৷ তবে মেরু ভল্লুক থেকে শুরু করে সাইবেরিয়ান বাঘের সঙ্গেও তাঁকে দেখা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/A. Druzhinin
পুটিনের আরেক কুকুর কনি
২০০৭ সালে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের সময় পোষা কুকুর কনিকে ছেড়ে রেখেছিলেন পুটিন৷ ম্যার্কেলকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ও (কনি) আপনাকে বিরক্ত করছে না, করছে কি? ও ফ্রেন্ডলি কুকুর৷ আমি নিশ্চিত সে ভালো ব্যবহার করবে৷’’ পুটিন হয়ত জানেন না, ১৯৯৫ সালে ম্যার্কেলকে একটি কুকুর কামড়িয়েছিল৷ সেই থেকে কুকুর ভয় পান জার্মান চ্যান্সেলর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/S. Chirikov
বারাক ওবামার বো
ওবামা পরিবারের কুকুর এটি৷ তার কাজকর্ম প্রায়ই গণমাধ্যমের নজর ওবামার দিক থেকে তার দিকে সরিয়ে নিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Souza
জর্জ ডাব্লিউ বুশের বার্নি
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে বার্নিকে নিয়ে আলাদা একটি পাতা ছিল৷ হোয়াইট হাউসের লনে বার্নির দৌড়ে বেড়ানোর ছবি মার্কিন মিডিয়ায় প্রায়ই প্রকাশিত হতো৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Larson
গেয়ারহার্ড শ্র্যোয়েডারের হোলি
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর শ্র্যোয়েডারের শিকারি কুকুর হোলি৷ ২০০৩ সালের এই ছবিতে হোলিকে শ্র্যোয়েডার ও তাঁর তখনকার স্ত্রী ডোরিস শ্র্যোয়েডার-ক্যোপ্ফের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ হোলিকে ‘ফার্স্ট ডগ’ নামে ডাকা হতো৷ ২০১৭ সালে ক্যানসারে হোলির মৃত্যু হয়৷ ডোরিস সেই খবর ফেসবুকে জানিয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এমানুয়েল মাক্রোঁর নিমো
জুলভার্নের ‘টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’ বইয়ের একজন ভক্ত মাক্রোঁ৷ সেই বইয়ের একটি চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো৷ তাইতো প্রিয় কুকুরের নাম রেখেছেন এই নামে৷