1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোড়া রোগীর মিছিল

সমীর কুমার দে, ঢাকা১ ডিসেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশে পোড়া রোগীদের চিকিত্‍সার একমাত্র জায়গা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট৷ শুধু রাজধানী নয়, দেশের আর কোথাও পোড়া রোগীদের চিকিত্‍সার বিশেষায়িত কোন হাসপাতাল বা ইউনিট নেই৷

Shahnaz, wife of bus driver Mahbub who sustained burns when the bus was torched by protesters, cries at Dhaka Medical College Hospital in Dhaka November 28, 2013. At least 19 people, including a journalist, a police officer and a lawyer, sustained burn injuries after protestors set fire to the passenger bus on Thursday evening in Dhaka, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: CIVIL UNREST DISASTER POLITICS TRANSPORT TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে৷ রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রতিদিনই কোন না কোন যানবাহনে আগুন দেয়া হচ্ছে৷ অগ্নিদগ্ধ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ কিন্তু এই পোড়া রোগীদের চিকিত্‍সা দিতে গিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষায়িত এই ইউনিটটি৷ সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের ডাকা অবরোধের মধ্যে রাজধানীর শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা৷ এতে ১৯ জন দগ্ধ হন৷ এর মধ্যে মারা গেছেন দুই জন৷

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানন, বার্ন ইউনিটে বর্তমানে রোগীর ধারণ ক্ষমতা ১৫০ জনের মতো৷ কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ভর্তি ছিল ৩৫৫ জন৷ বিছানা ছাড়াও ফ্লোরে বা বারান্দায় রোগীদের চিকিত্‍সা দেয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পোড়া রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কোন সুযোগ নেই৷ কারণ বাংলাদেশের অন্য কোথাও পোড়া রোগীদের চিকিত্‍সার বিশেষায়িত কোন হাসপাতাল নেই৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও এই চিকিত্‍সার কোন ব্যবস্থা নেই৷ তাই যত কষ্টই হোক রোগীদের ফেরত দেয়া হয় না৷ তাদের হাসপাতালে রেখেই চিকিত্‍সা করতে হচ্ছে৷''

ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পোড়া রোগীর সংখ্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে৷ আগে যেখানে বর্হিবিভাগসহ বিভিন্নভাবে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১১০ জন রোগীকে চিকিত্‍সা দেয়া হতো, এখন সেখানে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা দেড়শ' পার হয়ে যাচ্ছে৷''

রাজনৈতিক সহিংসতায় আসা রোগী আর সাধারণ দুর্ঘটনায় আসা রোগীদের ভাগ করে একটা হিসাব কিছুদিন থেকে বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ রাখতে শুরু করেছে৷ গত এক মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার ১০৭ জন রোগীকে চিকিত্‍সা দিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের এই ইউনিট৷ এর মধ্যে এখনো ২৯ জন ভর্তি আছেন৷ যাদের ৯ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন৷ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের সবাই সাধারণ দুর্ঘটনার শিকার৷ তবে চিকিত্‍সা না নিয়ে কাউকে ফেরত যেতে হয় না৷

নিজের হাতে প্রতিষ্ঠা করা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, খুবই ছোট পরিসরে এই ইউনিটটি কাজ শুরু করেছিল৷ কিন্তু পোড়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এর শয্যা একশ' থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে৷ এখন আরো বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি৷

গত বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের ডাকা অবরোধের মধ্যে রাজধানীর শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরাছবি: picture-alliance/dpa

ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ওষুধপত্রে কোন সংকট নেই বলে দাবি করেন তিনি৷ শিক্ষানবিশ চিকিত্‍সকসহ বর্তমানে ৬২ জন চিকিত্‍সক এখানে দায়িত্ব পালন করেন৷ ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা এখন সময়ের দাবি৷ সবাই মিলে কিছু কিছু রোগীর চিকিত্‍সা দিলে কোন রোগীকেই আর বিনা চিকিত্‍সায় মারা যেতে হবে না৷''

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার ৮ জন বার্ন ইউনিটে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন৷ এখন যে ২৯ জন ভর্তি আছেন তার মধ্যে একটি ঘটনারই ১৬ জন৷ এর মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ