কীভাবে কর ফাঁকি দিয়েছেন তারা, কীভাবে বেআইনি বিনিয়োগ করেছেন তারা বিদেশে, ফাঁস করল প্যানডোরা পেপারস। সংবাদমাধ্যমের বৃহত্তম অপারেশন।
বিজ্ঞাপন
ইনটারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট বা সংক্ষেপে আইসিইজে একটি মঞ্চ। বিশ্বের বহু বিশিষ্ট সাংবাদিক এই মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। যুক্ত বিশ্বের ১৫০টি সংবাদসংস্থাও। তাদেরই উদ্যোগে বিশ্বের বৃহত্তম স্টিং অপারেশন বা অনুসন্ধানী অপারেশন সংঘটিত হয়েছে। যার নাম প্যানডোরা পেপারস। আর সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাবেক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার থেকে জর্ডনের রাজা, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং একাধিক তারকার আর্থিক দুর্নীতির রোমহর্ষক তথ্য ফাঁস হয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে, কীভাবে লাখ লাখ কর ফাঁকি দিয়ে তারা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
কেবলমাত্র ব্যক্তিগত দুর্নীতি নয়, প্যানডোরা পেপারসে বোঝা গেছে কীভাবে আর্থিক দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে। একাধিক দেশ, একাধিক নেতা, প্রশাসন, ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা-- সকলে এর সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এমন বহু নাম। যারা এই চক্রের বিশিষ্ট অংশীদার। এরমধ্যে আছেন পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী। ব্যক্তিগত স্বার্থে যারা একাধিক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ তৈরি করেছেন। মাল্টা এবং ফ্রান্সের সাবেক অর্থমন্ত্রীও একই কাজ করেছিলেন। নিজেদের ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নের জন্য তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন। সাবেক ইন্টারনাল মনিটারি ফান্ডের প্রধানও এর সঙ্গে জড়িত।
দুর্নীতিতে কোন দেশের কী অবস্থান
জার্মানির বার্লিনভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) তাদের দুর্নীতি ধারণা সূচক ২০১৯ প্রকাশ করেছে৷ এই সূচকে বাংলাদেশের দুর্নীতি পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে৷ ছবিঘরে দেখুন কোন দেশের কী অবস্থান৷
ছবি: DW/C.Vieira Teixeira
সিপিআই সূচক
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স বা সিপিআই সূচকের মাধ্যমে৷ দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, গবেষক, বিশ্লেষকদের ধারণার উপর ভিত্তি করে শুন্য (উচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত) থেকে ১০০ (কম দুর্নীতিগ্রস্ত) পর্যন্ত স্কোরে সূচকটি পরিমাপ করা হয়৷
ছবি: DW/C.Vieira Teixeira
সূচকের বিষয়
ছয়টি তথ্য নিয়ে সূচকটি তৈরি৷ তার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি ও ঘুস আদান-প্রদান, স্বার্থের সংঘাত ও তহবিল অপসারণ, দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ ও অর্জনে বাধা, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার, সরকারি কাজে বিধিবহির্ভূত অর্থ আদায়, দুর্নীতি সংঘটনকারীর বিচারে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা৷
ছবি: DW/C.Vieira Teixeira
নিউজিল্যান্ড ও ডেনমার্ক
টিআই-এর দুর্নীতি ধারণা সূচক ২০১৯ অনুযায়ী সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নিউজিল্যান্ড ও ডেনমার্ক৷ দুই দেশেরই সমান স্কোর, ১০০-তে ৮৭৷
ছবি: Imago/Xinhua
ফিনল্যান্ড
কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ড৷ তাদের স্কোর ৮৬৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/D. Goldman
সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন
নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডের পরে চতুর্থ অবস্থানে সুইজারল্যান্ড৷ দেশটির স্কোর ৮৫৷ একই স্কোর পেয়েছে সিঙ্গাপুর ও সুইডেনও৷
ছবি: picture-alliance/robertharding
নরওয়ে
সপ্তম অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে৷ এই নর্ডিক দেশের স্কোর ৮৪৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Charlier
নেদারল্যান্ডস
৮২ পেয়ে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লুক্সেমবুর্গ ও জার্মানি
লুক্সেমবুর্গের স্কোর ৮০৷ একই স্কোর জার্মানিরও৷ নবম অবস্থানে রয়েছে দেশ দুটি৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/M. Haddenhorst
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত
১৮০ টি দেশের মধ্যে সবার নীচে সোমালিয়া৷ সাব সাহারা আফ্রিকার দেশটির স্কোর মাত্র নয়৷ সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে সোমালিয়ার পর রয়েছে ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা, ইকুইটোরিয়াল গিনি, সুদান ও আফগানিস্তান৷
ছবি: PHIL MOORE/AFP/Getty Images
বাংলাদেশের স্কোর অপরিবর্তিত
সিপিআই ২০১৯-এ বাংলাদেশের স্কোর ২৬, অর্থাৎ একেবারে আগের বছরের সমান৷ তবে দেশের ক্রমে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে৷ তালিকায় নীচের দিক থেকে ১৪-তে রয়েছে বাংলাদেশ৷ একই অবস্থানে আছে অ্যাঙ্গোলা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইরান, মোজাম্বিক ও নাইজেরিয়া৷ সব মিলিয়ে ১৮০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬৷
সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের নীচে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান৷ সূচকে তাদের অবস্থান ১৭৩৷ অন্যদিকে এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান (২৫তম)৷ এরপর রয়েছে ভারত (৮০তম), শ্রীলঙ্কা (৯৩তম), নেপাল (১১৩তম), পাকিস্তান (১২০তম), মালদ্বীপ (১৩০তম), বাংলাদেশ (১৪৬তম)৷
ছবি: AP
11 ছবি1 | 11
প্যানডোরা পেপারসে স্পষ্ট, সরকারের যেখানে বিদেশি সংস্থাগুলি যাতে আর্থিক দুর্নীতিতে মদত দিতে না পারে, সেটা দেখার কথা ছিল, সেখানে তারা ঠিক উল্টো কাজটাই করেছে। ব্যক্তিগত এ কাজ করতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক কালোচক্র, দুর্নীতিকে আরো প্রশ্রয় দিয়েছে।
ব্লেয়ার এবং বাবিস
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে এর আগেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি এবং তার স্ত্রী কর ফাঁকি দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্যানডোরা পেপারে তাদের বহু গোপন নথি ফাঁস হয়েছে। দেখা গেছে, কর বাঁচাতে বাহারিনের এক মন্ত্রীর পারিবারিক ব্যবসা কিনে নিয়েছিলেন টনি এবং তার স্ত্রী। বদলে পেয়েছিলেন আট দশমিক আট মিলিয়ন ডলারের একটি বিলাসবহুল বাড়ি। এই গোটা বিষয়টিই হয়েছিল পিছনের দরজা দিয়ে। যার ফলে প্রায় চার লাখ ডলারের কর বাঁচিয়েছিলেন ব্লেয়ার এবং তার স্ত্রী।
টনির স্ত্রী চেরি ব্লেয়ার জানিয়েছেন, তার স্বামী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। যে সংস্থার কথা হচ্ছে সেটি বিক্রি হয়ে গেছে। টনি এবং বাহারিনের মন্ত্রী দুইজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সাংবাদিকদের বক্তব্য, তাদের হাতে তথ্যপ্রমাণ আছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ও কম দুর্নীতিগ্রস্ত ১০ দেশ
২০১৮ সালে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল৷‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৮’ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ও কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ কোনগুলো জেনে নিন৷
তালিকায় এবারও সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া৷
ছবি: DW/Frank Yiga
সিরিয়া
সিরিয়ার অবস্থান সোমালিয়ার ঠিক পরেই, অর্থাৎ তালিকার নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture-alliane/AP Photo/Thiqa News Agency
দক্ষিণ সুদান
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সুদান ও সিরিয়ার পরেই রয়েছে দক্ষিণ সুদান৷
ছবি: WFP
ইয়েমেন
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের কবলে থাকা ইয়েমেন রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-Online
উত্তর কোরিয়া
কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে৷
ছবি: Imago/Eibner Europa
ছয় ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
২০১৭ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৩ নম্বরে৷তবে পরে বছর ছয় ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছে ১৪৯ নম্বরে৷
ছবি: Kazi Borhan Uddini/AFP/Getty Images
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ও কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবারের সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভুটান৷ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল আফগানিস্তানের৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
ডেনমার্ক
দুর্নীতি সূচক স্কেলে শূন্য স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণায় সবচেয়ে খারাপ এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বোচ্চ সুশাসনের দেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়৷ সেই অনুযায়ী, ৮৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ইউরোপের ডেনমার্ক৷
ছবি: cc-by-sa-Erik Christensen
নিউজিল্যান্ড
গতবার শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ড এবার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে৷
গত বছর সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে থাকা ফিনল্যান্ড রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে৷
সিঙ্গাপুর
সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর৷
ছবি: AFP/Getty Images/R. Rahman
সুইডেন
সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ডেনমার্কের প্রতিবেশী রাষ্ট্র সুইডেন আছে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/J. Alvarez
12 ছবি1 | 12
চেক প্রধানমন্ত্রী আন্ড্রেজ বাবিসের নামও জড়িয়েছে এই দুর্নীতি মামলায়। ২০১৭ সালে আন্ড্রেজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই ব্যক্তিই ২০০৯ সালে ফ্রান্সে এক পাহাড়ে বিশাল বাংলো কেনার জন্য আর্থিক দুর্নীতি করেছিলেন। একটি তেল কোম্পানিতে বিপুল টাকা ঢুকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করের কাগজে ওই তেল কোম্পানি এবং ওই বাংলোর বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও একই ধরনের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠেছে কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট কেনিয়াট্টা সৎ ভাবমূর্তির মানুষ। তিনিও একসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন। অথচ দেখা যাচ্ছে, পানামায় একটি গোপন ফাউন্ডেশন তৈরি করে অর্থ নয়-ছয় করছেন তিনি। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আছেন তার মা-ও।
প্যানডোরা পেপারস প্রায় ২৯ হাজার অফ শোর সংস্থার এমন দুর্নীতি ফাঁস করেছে। যেখানে অবৈধভাবে যুক্ত হয়েছেন বহু রাষ্ট্রনেতা এবং তারকা। ওই সমস্ত সংস্থাকে ব্যবহার করে তারা কর ফাংকি দিয়েছে। বাংলো বানিয়েছে। বিলাসবহুল ইয়ক কিনেছে। এমনকী, দামি ছবিও কিনেছে।
জর্ডনের রাজা এভাবেই মালিবুতে তিনটি বাংলো কিনেছেন বলে অভিযোগ। আরব স্প্রিং আন্দোলনের সময় তিনি এ কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও জর্ডনের রাজার আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মরোক্কোর রাজুপুত্র, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের আমির-- সকলের বিরুদ্ধেই আর্থিক নয়-ছয়ের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। কাতারের আমির এখনো অফশোর সংস্থাকে ব্যবহার করে কর ফাঁকি দিচ্ছেন এবং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে প্যানডোরা পেপারসের অভিযোগ।
খেলোয়াড় এবং পপস্টার
পপস্টার শাকিরা, ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকারের নামও উঠে এসেছে এই দুর্নীতি মামলায়। শাকিরার আইনজীবী অবশ্য জানিয়ছে, পপস্টারের কোনো গোপন বিদেশি বিনিয়োগ নেই। সবই করের কাগজে উল্লেখ করা আছে। ফলে তার মাধ্যমে কর বাঁচানোর কোনো সুযোগ নেই। টেন্ডুলকারের আইনজীবীও একই কথা জানিয়েছেন।
গোটা পৃথিবীর ১৩০ জন বিলিয়োনেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে এসেছে। গত কয়েক দশকে প্যানডোরা পেপারস সবচেয়ে বড় আর্থিক দুর্নীতির স্টিং অপারেশন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মামলা বিশ্বের রাজনীতি এবং কূটনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করছেন অনেকে।