কারও কাছে ‘সিটি অফ লাইট’; কারও কাছে ‘সিটি অফ লাভ’৷ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস পর্যটকদের কাছে প্রিয় হলেও সেখানকার বাসিন্দারা প্যারিসকে একটু অন্যভাবে পেতে চান৷ শহর কর্তৃপক্ষও এখন সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
বিজ্ঞাপন
নবরূপে ভালোবাসার শহর প্যারিস
04:29
This browser does not support the video element.
প্যারিসে যাঁরা বাস করেন তাঁদের অনেকের কাছে প্যারিস ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত ও দূষিত এক শহর৷ তাঁরা চান আরেকটু শান্তি আর খোলামেলা জায়গা৷ শহর কর্তৃপক্ষ তাই কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন আনার কাজ শুরু করেছে৷ যেমন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘লেজ হাল'৷ সত্তরের দশকে সেখানে একটি শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছিল৷ এখন সেটি তুলে দিয়ে সেখানে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
নতুন করে গড়ে তোলা ‘লেজ হাল' শপিং কমপ্লেক্সছবি: picture-alliance/AP Photo/Th. Camus
স্থপতি প্যাট্রিক ব্যার্গার বলেন, ‘‘শপিং সেন্টারের নীচে একটা মেট্রো স্টেশন আছে৷ আপনি সেখানে নেমে লিফটে করে উপরে উঠলে আকাশ, গাছপালা আর সেন্ট উসটাস গির্জা দেখতে পাবেন৷ এটি এখন প্যারিসের মতো সুন্দর শহরের কেন্দ্রে পৌঁছানোর গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷''
শহরের ‘প্লাস দে লা রিপুবলিক' এলাকাটিও সংস্কার করা হয়েছে৷ ২০১৩ সাল পর্যন্ত এটি প্যারিসের পরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম কেন্দ্রস্থল ছিল৷ এখন সেটি পরিবার নিয়ে ঘোরাফেরার জায়গা হয়েছে৷ ‘লেজ হাল' আর ‘প্লাস দে লা রিপুবলিক' দিয়ে কেবল শুরু৷ প্যারিসের শহর কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের মধ্যে ২০টির বেশি পাবলিক চত্বর সংস্কার করতে চায়৷ শহরের ডেপুটি মেয়র জ্যঁ-লুই মিসিকা বলেন, ‘‘বিশ শতকের শেষ দিকে লক্ষ্য ছিল প্যারিসকে গাড়িবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলা৷ বর্তমানে অবস্থাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ সৃষ্টিশীল মানুষরা এখন এমন শহরে যেতে চায় যেটা বসবাসের জন্য ভাল, যেখানে তারা হাঁটতে পারবে, আয়েশ করতে ও বসতে পারবে, আর বাইরে বসে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারবে; যেখানে তারা মেডিটেশন আর অনুশীলন করতে পারবে৷''
‘প্লাস দে লা রিপুবলিক' এলাকাটিও নতুন করে সাজানো হচ্ছেছবি: DW
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শহর কর্তৃপক্ষ ‘নতুন করে প্যারিস গড়া’ কর্মসূচি শুরু করেছে৷ সারা বিশ্বের স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদরা সেজন্য নকশা জমা দিয়েছিলেন৷ নির্বাচিত নকশাগুলো ‘প্যাভিও ডে লার্সেনাল'-এ প্রদর্শিত হচ্ছে৷
বিশ্বের যে দশটি শহরে মানুষ সবচেয়ে বেশি যায়
আচ্ছা, গত বছর আপনি কোন শহরে সবচেয়ে বেশিবার গেছেন? ঢাকা, কলকাতা নাকি ইউরোপের কোনো শহর? এই তালিকায় থাকছে বিশ্বের সেই দশটি শহরের কথা, যেখানে গতবছর সবচেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করেছে৷
ছবি: imago/Photoshot/Construction Photography
১. হংকং
ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত ২০১৫ সালে সবচেয়ে ভ্রমণকৃত দশ শহরের তালিকায় প্রথমে রয়েছে এশিয়ার হংকং৷
ছবি: picture-alliance/Eibner-Pressefoto
২. লন্ডন, ইংল্যান্ড
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে গ্রেট ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন৷ শহরটিতে পর্যটকদের কমতি নেই, যদিও সবার পক্ষে সহজেই সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়৷
ছবি: Fotolia/stoka79
৩. সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে যেতে অনেক দেশের মানুষের ভিসা লাগে না৷ এশিয়ার এই উন্নত শহরটিতে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ভ্রমণ করেন৷
ছবি: picture alliance / dpa
৪. ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
শুধু এশীয় নন, বহু ইউরোপীয় এবং অ্যামেরিকানদের প্রিয় গন্তব্য ব্যাংকক৷ কেনাকাটা, বিশ্রাম এবং আরামের জন্য ব্যাংকক বেশ প্রসিদ্ধ৷
ছবি: picture alliance / dpa
৫. প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, রূপ৷ ফ্রান্সের রাজধানীতে দর্শনার্থীর তাই কমতি নেই৷ গতবছর সন্ত্রাসী হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই এ শহরের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ফ্রান্স৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Kurek
৬. মাকাউ, চীন
চীনের মাকাউ শহর রয়েছে তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে৷ পর্যটকদের কাছে চীনের অন্যতম আকর্ষণ এই শহর৷
ছবি: picture alliance / J. Hoelzl
৭. সেনজেন, চীন
ইউরোমনিটরের তালিকায় স্থান পেয়েছে চীনের একাধিক শহর৷ ২০১৫ সালে সর্বাধিক ভিজিটেড শহরগুলোর মধ্যে সেনজেন আছে সাত নম্বরে৷
ছবি: picture alliance / dpa
৮. নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন আর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ করবেন না, তা কি হয়? স্বাভাবিকভাবেই এই শহরের নাম ছাড়া ভ্রমণের যে কোনো তালিকাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়৷
ছবি: picture alliance / dpa
৯. ইস্তানবুল, তুরস্ক
তুর্কি সীমান্তে জঙ্গিদের আনাগোনা, এমনকি দেশের ভেতরে একাধিক বোমা হামলার পরও ইস্তানবুল পর্যটকদের আকর্ষণ করে চলেছে৷
ছবি: picture alliance / dpa / M. Tödt
১০. কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দু’টি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া সত্ত্বেও কুয়ালালামপুরে পর্যটকের কমতি দেখা যাচ্ছে না৷ তালিকায় দশ নম্বরে আছে একসময় মাহাথির মোহাম্মদের হাত ধরে উন্নতির শিখরে ওঠা শহরটি৷