ডিজিটাল বিশ্বের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করে স্যান্ডভাইন৷ সংগঠনটির গ্লোবাল ইন্টারনেট ফোনোমেনা রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ডেটা ব্যবহারে এই প্রথমবার ইউটিউবকে পেছনে ফেলেছে নেটফ্লিক্স৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Spata
১০ অ্যাপেই অর্ধেক ডেটা
বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ ইন্টারনেট ব্যবহার হয়, তার অর্ধেকের বেশি ব্যবহার হয় ১০টি অ্যাপেই৷ সেগুলো হচ্ছে, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, জেনেরিক কিউইউআইসি, ফেসবুক, এইচটিটিপি মিডিয়া স্ট্রিম, ডিজনি প্লাস, টিকটক, এক্সবক্স লাইভ, প্লেস্টেশন এবং অ্যামাজন প্রাইম৷
ছবি: Silas Stein/dpa/picture alliance
ইন্টারনেটের ট্র্যাফিক দখলে সাত প্রতিষ্ঠান
সবচেয়ে বেশি মানুষ এখনও নেটফ্লিক্স, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট, মেটা, অ্যামাজন এবং অ্যাপলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করেন৷ বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৪৮ শতাংশ এই সাত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করেন৷ কিন্তু ২০২১ সালের তুলনায় এদের সম্মিলিত ডেটা ব্যবহার কমে এসেছে৷ নতুন নতুন নানা অ্যাপ মানুষকে আকৃষ্ট করায় বেড়েছে প্রতিযোগিতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
ভিডিওতেই বেশি ডেটা
স্যান্ডভাইন বলছে, ২০২২ সালে ইন্টারনেটে ভিডিও দেখার হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ৷ এখন বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের ৬৫ শতাংশই খরচ হয় ভিডিও দেখতে৷
একক অ্যাপ হিসাবে সবচেয়ে বেশি ডেটা ব্যবহারে প্রথমবারের মতো ইউটিউবকে টপকে গেছে স্ট্রিমিং সার্ভিস নেটফ্লিক্স৷ বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটার ব্যবহারে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশই নেটফ্লিক্সের৷ ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়ে ইউটিউব অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে নেই৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Arriens
গেমে শীর্ষে প্লেস্টেশন
প্লেস্টেশন ডাউনলোডস ছাড়াও শীর্ষ ১০ এর তালিকাতে রয়েছে স্টিম, রোবলোক্স, নিনটেন্ডো, এক্সবক্স লাইভ ইত্যাদি৷
ছবি: Fleig/Eibner-Pressefoto/picture alliance
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসে ফেসবুক বেশ পিছিয়ে নয় নম্বরে থাকলেও সামাজক যোগাযোগ মাধ্যম ক্যাটাগরিতে ফেসবুকের আশেপাশে নেই কেউ৷ মেটার আরেকটি মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম রয়েছে তৃতীয় স্থানে৷ এছাড়া টুইচ, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, ওয়ার্ডপ্রেস, পিন্টারেস্ট, টুইটার, ভিকে এবং লিংকডইন রয়েছে এই তালিকায়৷
ছবি: Jonathan Raa/NurPhoto/picture alliance
ম্যাসেজিং
প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারির পর ফোন থেকে ফোনে ভয়েস এবং টেক্সট ম্যাসেজ দেয়ার পরিমাণও বেড়েছে৷ তালিকাতে জেনেরিক ম্যাসেজিং রয়েছে শীর্ষে৷ এরপরেই মেটার দুই পণ্য হোয়াট্স অ্যাপ এবং ফেসবুকের নাম রয়েছে৷ তালিকায় আরো রয়েছে ডিসকর্ড ভয়েস, টেলিগ্রাম, মাইক্রোসফট টিমস এর মতো অ্যাপগুলো৷
এই তদন্তের কারণ তদন্তকারীরা স্পষ্ট করেনি। তবে ইউরোপের কর কর্তৃপক্ষ হামেশাই সীমান্তপারের অনলাইন পরিষেবা নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।
এক্ষেত্রে তদন্তের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়নি। তবে ফ্রান্সে এই ধরনের তদন্তের অর্থ এই নয় যে, এরপর ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হবে এবং তা শেষপর্যন্ত বিচারের দিকে এগোবে।
ফরাসি নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গতবছর নেটফ্লিক্স নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে ওঠে কর কর্তৃপক্ষ। তাদের মনে হয়, নেটফ্লিক্সের ফরাসি শাখা ১০ লাখ ইউরো কম কর দিয়েছে।
প্যারিসে নেটফ্লিক্সের অফিস ২০২০-এ খোলা হয় এবং সেখানে ৪০ জন কর্মী কাজ করেন। এর আগে ইটালির কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও নেটফ্লিক্সের বিরোধ হয়েছিল এবং ২০২২ সালে তাদের ৫ কোটি ৫৮ লাখ ইউরো দিয়ে বিরোধ মেটাতে হয়।