দু'বছর আগে ব্রাসেলসে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার শুরু হচ্ছে সালাহ আবদেসালামের৷ একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মরোক্কান বংশোদ্ভূত এই ফরাসি নাগরিককে প্যারিসেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷
বিজ্ঞাপন
২০১৫ সালে ভয়াবহ এক হামলায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৩০ জন নিহত হয়৷ এরপর ২০১৬ সালের মার্চে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক বন্দুকযুদ্ধে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত এবং এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়৷ ২৮ বছর বয়সি সালাহ আবদেসালাম দু'টি ঘটনাতেই জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এছাড়া ব্রাসেলসের আত্মঘাতি বোমা হামলাতে তার হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ সেই হামলায় নিহত হয়েছিল ৩২ জন৷
২০১৫ সালের প্যারিস হামলার পর থেকেই সালাহ আবদেসালাম ইউরোপের সব দেশের পুলিশের কাছেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড'৷ ২০১৬ সালের ব্রাসেলস হামলার কয়েকদিন পর তাকে আটক করা হয়৷ তারপর থেকে এতদিন তিনি ফ্রান্সের এক কারাগারে ছিলেন৷ প্যারিসের কাছের সেই কারাগারে অনেকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে৷ কিন্তু তদন্তকাজে কোনো সহায়তা করেননি তিনি, বরং গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বারবার৷
সোমবার কঠোর প্রহরায় সালাহ আবদেসালামকে প্যারিস থেকে ব্রাসেলসে নিয়ে আসা হয়৷ ব্রাসেলস এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা৷ যে কোনো সময় সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে – এমন আশঙ্কায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে৷ ব্রাসেলসের আদালতের মুখোমুখি হওয়ার পর আবদেসালামকে আবার ফিরে যেতে হবে প্যারিসে৷ ফ্রান্সের আদালতেও জঙ্গি হামলায় জড়িত সন্দেহে বিচার হবে তার৷
ব্যাঙ্গাত্মক ফরাসি পত্রিকা শার্লি এব্দো-র ওপর হামলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে৷ বিভিন্ন দেশের মানুষ ‘আই অ্যাম শার্লি’ ব্যানার প্রদর্শন করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে সমবেদনা জানিয়েছে৷ এ সব নিয়েই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Müller
মোমবাতি প্রজ্বলন
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে এভাবেই মোমবাতি জ্বালিয়ে প্যারিসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ বুধবার শার্লি এব্দো-র কার্যালয়ে হামলায় প্রাণ হারাণ সাংবাদিক, পুলিশসহ কমপক্ষে ১২ ব্যক্তি৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ফরাসি দূতাবাসের সামনে এভাবেই ফুল দিয়ে প্যারিস হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ শার্লি এব্দো-র কার্যালয়ে এর আগেও হামলা হয়েছিল৷ ইসলাম এবং হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আকাঁয় ২০১১ সালে পত্রিকাটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে৷
ছবি: Getty Images/Vasily Maximov
কলম হাতে কান্না
প্যারিসের নোত্রদাম বা নটরডাম ক্যাথিড্রালের সামনে এভাবেই কলম উঁচিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই নারী৷ শার্লি এব্দো-তে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের সময় বৃহস্পতিবার তোলা হয় ছবিটি৷
ছবি: Reuters/J. Naegelen
অস্থায়ী স্মরণ স্তম্ভ
ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে ফরাসি কনসুলেটের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী স্মরণ স্তম্ভে একটি আঁকা ছবি এবং কলম রাখছেন এক নারী৷ শার্লি এব্দো-র নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন কার্টুনিস্ট৷
ছবি: Reuters/S. Lam
অস্ট্রেলিয়ার শোক
প্যারিস হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফেডারেশন স্কয়ারে সমবেত হন অনেকে৷ এরপর সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতের স্মরণ করা হয়৷ জার্মান আইনজীবী এবং সাংবাদিক ডানিয়েল মার্টিনসন মনে করেন, ‘‘বাকস্বাধীনতা, স্যাটায়ার এবং মুক্ত সমাজের জন্য এ ছিল একটা কালো দিন৷’’
ছবি: Wayne Taylor/Getty Images
গণমাধ্যমে শিরোনাম প্যারিস
ইউরোপ, অ্যামেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় মঙ্গলবার মূল খবর ছিল প্যারিস হত্যাকাণ্ড৷ তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবরটি সেভাবে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়নি৷ ছবিতে জার্মান দৈনিকগুলোর কয়েকটির শিরোনাম দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
প্যারিসে সমাবেশ
শার্লি এব্দো পত্রিকায় হামলার খবর পাওয়া পর এভাবেই রাজপথে নেমে এসে শোক প্রকাশ করেন প্যারিসবাসী৷ লক্ষাধিক লোক বুধবার রাতে এভাবে রাজপথে হাজির ছিলেন৷
ছবি: DW/A. Mohtadi
গরম টুইটার
ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা শার্লি এব্দো-তে হামলার পর থেকে টুইটারে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, কার্টুন, ছবি প্রকাশ হচ্ছে৷ জার্মান সময় বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত ইংরেজিতে #শার্লিএব্দো হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার হয়েছে সাড়ে তিন মিলিয়নের বেশি বার৷
শার্লি এব্দো-র পাশে ডয়চে ভেলে
বুধবার হামলার শিকার শার্লি এব্দোর পাশে দাঁড়িয়েছে ডয়চে ভেলেতে কর্মরত সাংবাদিক এবং অন্যান্য কর্মীরা৷ বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলের বন কার্যালয়ের সামনে এভাবেই সংহতি প্রকাশ করেন তাঁরা৷