1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

এক জঙ্গির বিস্ময় জাগানো স্বীকারোক্তি

৩১ মার্চ ২০২২

২০১৫ সালের সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৩০ জন৷ সালাহ আব্দেসলামের আঙুলের একটা স্পর্শে মৃতের সংখ্যা ১৩১-ও হতে পারতো৷ আদালতে দাঁড়িয়ে সালাহ বললেন, আত্মঘাতী হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে স্বেচ্ছায় সেদিন সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন৷

Terrorprozess um Attentate in Paris
ছবি: Benoit Peyrucq/AFP/dpa/picture alliance

২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বরের সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস৷

জার্মানি-ফ্রান্স ফুটবল ম্যাচ চলার সময় স্টেডিয়ামের বাইরে আত্মঘাতী বোমা ফাটায় তিন জঙ্গি৷ সালাহর দায়িত্ব ছিল এক কনসার্ট হলে হামলা চালানোর৷ কিন্তু অন্য জঙ্গিরা আত্মঘাতী হলেও ৩২ বছর বয়সি সালাহ অক্ষত অবস্থায় বাটাক্লানের কনসার্টস্থল থেকে পালিয়ে যান৷

তার বেঁচে যাওয়ার প্রকৃত কারণ এতদিন জানা যায়নি৷

হামলার পর সুইসাইড ভেস্ট ছুঁড়ে ফেলে নিজের শহর ব্রাসেলসে চলে যান সালাহ৷ ২০১৬ সালের এপ্রিলে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

২০১৫ সালের নভেম্বরের সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন জড়িত ছিলেন বলে ফ্রান্সের পুলিশের সন্দেহ৷ তাদের মধ্যে ছয়জন এখনো পুলিশের নাগালের বাইরে৷ তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শুরু করা হয়৷ এছাড়া অন্তত পাঁচ জন সিরিয়ায় আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে হামলায় সরাসরি জড়িতদের মধ্যে একমাত্র সালাহই এখনো বেঁচে আছেন৷

গত ছয় বছরে সেদিন সুইসাইড ভেস্ট না ফাটানোর বিষয়ে মুখ খোলেননি সালাহ৷ বুধবার প্যারিসের বিশেষ আদালতে শুনানি শুরুর পরও জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী তার নীরব থাকার অধিকার রয়েছে, তাই তিনি এ বিষয়ে কিছু বলবেন না৷ কিন্তু হামলায় শিকারদের পক্ষের এক উকিল হঠাৎ প্রেমিকাকে নিয়ে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করলে এতদিন গোপন করে রাখা তথ্যটি হঠাৎই জানিয়ে দেন সবাইকে৷

তিনি জানান, সেদিন শেষ মুহূর্তে ইচ্ছে করেই সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকেও উড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি শেষ মুহূর্তে বেল্টের বোতাম টেপার সিদ্ধান্ত বদলেছিলাম৷ না কাপুরুষতা থেকে বা ভয় থেকে তা করিনি, আসলে শেষ মুহূর্তে তা আর তা করতে চাইনি, ব্যাস...৷''

কিন্তু সুইসাইড ভেস্ট বিস্ফোরিত না হওয়া, নিজের বেঁচে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়েছিল সালাহকে৷ আদালতে তিনি বলেন, ‘‘অন্যদের বলেছিলাম, বেল্টটা ঠিকভাবে কাজ করেনি৷ হ্যাঁ, সেদিন মিথ্যে বলেছিলাম৷ এবং সে কারণে লজ্জাও লাগছিল৷ অন্য জিহাদীদের চোখের দিকে তাকাতেও ভয় লাগছিল৷ তখন বয়স তো মাত্র ২৫৷ বিষয়টি নিয়ে আমি তখন সত্যিই লজ্জিত ছিলাম৷''

এসিবি/ কেএম (এএফপি, ডিপিএ, ইএফই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ