আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ যেন প্রকৃতি থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দুই শিল্পী এক অভিনব প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ সৃষ্টি করছেন৷ বয়স ও অভিজ্ঞতাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা৷
বিজ্ঞাপন
প্রথম দর্শনে মনে হবে নির্মল প্রকৃতি, কিন্তু ভালো করে দেখলে চোখে পড়বে নিঃসঙ্গ এক চরিত্র, যে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে রয়েছে৷ ‘আইজ অ্যাজ বিগ অ্যাজ প্লেটস' নামের সিরিজের প্রত্যেকটি ফটো পর্যবেক্ষককে একটা ভিন্ন কল্পনার জগতে নিয়ে যায়৷
এই প্রকল্পের জন্য নরওয়ের কারোলিনে ইয়র্ট ও ফিনল্যান্ডের রিটা ইকোনেন গোটা বিশ্বে প্রকৃতির কোলে মানুষের ছবি তুলছেন৷ নর্ডিক উপকথা ও পুরাণের গল্প থেকে প্রেরণা নিয়েছেন তাঁরা৷ রিটা বলেন, ‘‘প্রকল্পের শুরুতেই এমনটা হয়েছিল৷ আমরা প্রকৃতির অনেক রূপের মনুষ্য রূপ খুঁজছিলাম৷ যেমন দেখছিলাম, একটি পাথরকে কীভাবে জীবন্ত করে তোলা যায়, মানুষ কীভাবে প্রকৃতির নানা ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়৷ তারপর কয়েক বছর ধরে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি৷ জানতে চেয়েছি, তারা কীভাবে তাদের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে একাত্ম হয়?''
মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ
04:25
আইসল্যান্ডে শুটিং চলছে৷ কারোলিনে ইয়র্ট ও রিটা ইকোনেন দু'জনে মিলে প্রত্যেকটি ছবি সৃষ্টি করেন৷ ইকোনেন আশেপাশের এলাকার উপকরণ দিয়ে তৈরি বহনযোগ্য ভাস্কর্যের দায়িত্ব পালন করেন৷ ইয়র্ট শুধু ছবি তোলেন৷ তাঁদের মডেলরা পেশাদার নন৷ পারিশ্রমিক ছাড়াই তাঁরা এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন৷ তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই অবসর নিয়েছেন৷ কারোলিনে ইয়র্ট বলেন, ‘‘ছবি তোলার সময় এই বয়সের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা, মুক্তির একটা আলাদা বোধ দেখা যায়৷ তাঁদের জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেক গল্প রয়েছে৷ তাই তারাই বোধহয় বেশি ইন্টারেস্টিং মানুষ৷''
দুই শিল্পী কাকতালীয়ভাবে মডেলদের দেখা পান অথবা বৃদ্ধাবাসে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে তাদের খুঁজে নেন৷ আইসল্যান্ডের লিসা কিয়ার্টানডোটির এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মডেল হয়েছেন৷ অবসরপ্রাপ্ত এই মানুষটি বছর চারেক আগে এক সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়েছিলেন৷ লিসা বলেন, ‘‘মানুষ ও প্রকৃতি চিরকাল পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷....অথচ মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে৷ তাই আমার বিষয়টি রোমাঞ্চকর লাগে৷''
প্রকৃতি ও মানুষ বাঁচাতে দেলোয়ার ও তাঁর সঙ্গীদের উদ্যোগ
কুষ্টিয়ার ছেলে দেলোয়ার জাহান ও তাঁর সঙ্গীরা মিলে ‘প্রাকৃতিক কৃষি’ নামে একটি আন্দোলন শুরু করেছেন৷ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই কৃষকদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করছেন তাঁরা৷
ছবি: Delowar Jahan
বিষমুক্ত খাবারের অঙ্গীকার
বাংলাদেশে ফসলের ক্ষেতে প্রতি মিনিটে ৭২ কেজি ‘বিষ’ ছিটানো হয় বলে জানান দেলোয়ার জাহান৷ এতে মাটির যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে যে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজ পদ্ধতিকে উৎসাহিত করছেন দেলোয়ার ও তাঁর সঙ্গীরা৷
ছবি: Delowar Jahan
‘প্রাকৃতিক কৃষি’ আন্দোলন
দেলোয়ার ও তাঁর সঙ্গীরা প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত৷ এর মাধ্যমে তাঁরা আশেপাশের কৃষকদের দেখান যে, এভাবেও ফসল উৎপাদন করে লাভ করা সম্ভব৷ এছাড়া কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজের নতুন নতুন পদ্ধতি বের করেন তাঁরা৷ ছবিতে দেলোয়ারকে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Delowar Jahan
শুরুর কথা
২০১৩ সালে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আমতলি গ্রামে জমি লিজ নিয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজি উৎপাদন শুরু করেন দেলোয়ার ও তাঁর সঙ্গীরা৷ বর্তমানে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাজীপুর গ্রামে দেড় একর জমিতে প্রায় ৪০ রকমের সবজি উৎপাদিত হয় বলে জানান তিনি৷ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত দেলোয়ার নিজে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে জড়িত ছিলেন৷ আর তাঁর সঙ্গীদের পরিবারও কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত৷
ছবি: Delowar Jahan
লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন দেলোয়ার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্সে দ্বিতীয় ও মাস্টার্সে যৌথভাবে প্রথম হয়েছিলেন দেলোয়ার৷ এরপর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন৷ কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন ভেবে সেখানে যাননি তিনি৷ ‘প্রাকৃতিক কৃষি’র পাশাপাশি ঢাকায় একটি পত্রিকায় কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতা করছেন দেলোয়ার৷
ছবি: Delowar Jahan
সঙ্গীদের কথা
দেলোয়ারের সঙ্গে আছেন আরও কয়েকজন তরুণ-তরুণী৷ তাঁদের প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়ালেখা শেষ করেছেন৷ ছবিতে দুজনকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Delowar Jahan
সাফল্যের কথা
দেলোয়ারদের যেখানে খামার আছে, সেই মানিকগঞ্জ ছাড়াও ঝিনাইদহ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নওগাঁ জেলার অনেক কৃষক বর্তমানে প্রাকৃতিক উপায়ে ফসল উৎপাদন করছেন৷ ছবিতে দেলোয়ারের সঙ্গীদের ফসল তুলতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Delowar Jahan
পণ্যের বাজার
বিভিন্ন জেলার কৃষকদের প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা সবজি, ফল ঢাকায় কিনতে পাওয়া যায়৷ এজন্য মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে ‘প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে৷ ছবিটি বিপণন কেন্দ্রের সামনে তোলা৷
ছবি: Delowar Jahan
যা পাওয়া যায়
কী চান? শাক-সবজি, ফল, চাল, ডাল, হাতে ভাজা মুড়ি, মসলা, তেল, ঘি, দুধ, ডিম; বলে শেষ করা যাবে না৷ মাঝেমধ্যে বাসায় চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রাকৃতিক সারও পাওয়া যায় ঐ কেন্দ্রে৷ হালনাগাদ তথ্য পেতে ‘প্রাকৃতিক কৃষি’র ফেসবুক পাতা দেখা যেতে পারে৷ এজন্য উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Delowar Jahan
নিরাপদ ফসল
ঢাকায় প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কিষাণীরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে এসেছেন৷
ছবি: Delowar Jahan
গ্রামে যাওয়া হয়নি
দেলোয়ার কুষ্টিয়ার ছেলে৷ কিন্তু নিজের গ্রামে না গিয়ে মানিকগঞ্জে কাজ করার কারণ বলতে গিয়ে তিনি জানান, সেটি সম্ভব ছিল না৷ ‘‘যখন পড়ালেখা করতাম তখন গ্রামে গেলে সবাই জানতে চাইতো কতদিন আছি কিংবা কবে যাব? তখনই বুঝতে পারি যে, আসলে গ্রামে ফেরা সম্ভব না,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন দেলোয়ার৷
ছবি: Delowar Jahan
চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকাজ
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে কেউ যদি উচ্চশিক্ষার পর চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকাজে জড়িত হয়ে জীবনযাপন করতে চায় তাহলে সেটি সম্ভব বলে মনে করেন দেলোয়ার৷ ‘‘কেউ যদি সমন্বিত খামার করেন, যেখানে মাছ চাষ থাকবে, গরু থাকবে, দুধের জন্য ছাগল থাকবে, হাঁস থাকবে, সবজি থাকবে- তাহলে সম্ভব৷’’
ছবি: Delowar Jahan
তবে...
দেলোয়ার বলেন, সমস্যা হচ্ছে তরুণরা মনে করে, কৃষিকাজ মানে অচ্ছুতের কাজ৷ তাই এটি কেউ করতে চায় না৷ ‘‘কারণ চারপাশে এত রং, এত প্রত্যাশা জীবনে যে, কেউ আসলে কৃষিকাজ করতে চায় না৷ প্রচুর ছেলেমেয়ে আমাদের কাছে (প্রাকৃতিক কৃষির কাজ দেখতে) আসে৷ যে পরিমাণ আগ্রহ নিয়ে আসে তার দ্বিগুণ পরিমাণ আগ্রহ নিয়ে চলে যায়’’, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানান দেলোয়ার৷
ছবি: Delowar Jahan
12 ছবি1 | 12
২০১১ সাল থেকে কারোলিনে ইয়র্ট ও রিটা ইকোনেন ১০টি দেশে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের ছবি তুলেছেন৷ ফটো তোলার মুহূর্তগুলি ধরে রাখা তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নয়৷ প্রত্যেক শুটিং তাঁদের কাছে অনবদ্য৷ প্রথাগত শিল্প প্রকল্পের তুলনায় এই অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন৷ কারোলিনে ইয়র্ট বলেন, ‘‘এটা আসলে একটা উপকথা, নরওয়েজীয় বা নর্ডিক উপকথা৷ এক যে ছিল কোবল্ড, যার চোখ প্লেটের মতো বড়৷ কিন্তু এর এক আলাদা মাত্রা রয়েছে৷ এই প্রকল্পের কারণে যে সব মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, তাদেরও যাকে বলে ‘ওপেন স্পিরিট' ও গভীর কৌতূহল রয়েছে৷ ফলে তারা একেবারে খাপ খেয়ে গেছেন৷''
শুটিং-এর সময় এই দুই শিল্পী মানুষের ব্যক্তিগত গল্প-অভিজ্ঞতাকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেন৷ ছবির প্রেক্ষাপট বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তাঁরা সেই গল্প থেকে প্রেরণা পান৷ কারোলিনে বলেন, ‘‘আমরা কীভাবে আমাদের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে তুলি, সেই বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু সেই অনুসন্ধানের কাজে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে৷ পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে মনে একটা বিনয় জাগে৷ অচেনা মানুষের কাছ থেকে শেখার স্পৃহা জন্মায়৷''
‘আইজ অ্যাজ বিগ অ্যাজ প্লেটস' প্রকল্পের মাধ্যমে কারোলিনে ইয়র্ট ও রিটা ইকোনেন মানুষকে থমকে দাঁড়িয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন৷ ছবির মডেল ও পর্যবেক্ষক – দু'জনেরই সেই উপলব্ধি হয়৷
গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে ঢাকার প্রকৃতি
গ্রীষ্মের খরতাপে পোড়া ঢাকা শহরের প্রকৃতিকে একটু ভিন্ন রূপই দিয়েছে গ্রীষ্মের ফুল৷ আগুন ঝরা কৃষ্ণচূড়া ছাড়াও সোনালু আর জারুলে ছেয়ে গেছে শহর৷ প্রকৃতির এই অসামান্য দান গরমে অতিষ্ট নগরবাসীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
গ্রীষ্মের ফুল কৃষ্ণচূড়া
এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া৷ বাংলাদেশে সাধারণত বৈশাখের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ফুলটি ফোটার মূল সময়৷ টকটকে লাল ছাড়াও প্রজাতিভেদে এ ফুলটির রং হলুদ কিংবা কমলা বর্ণেরও হয়ে থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
আগুন ঝরা ফুল
ঢাকার সবচেয়ে বেশি কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে শের-ই-বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের লেক সড়কের দু’ধারে৷ লুই কানের নকশায় সাজানো এ এলাকায় গ্রীষ্মের আগুন ঝরা এ ফুলটি ভিন্নতা যোগ করেছে নিঃসন্দেহে৷
ছবি: DW/M. Mamun
কৃষ্ণচূড়া ছাউনি
জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের এই লেক সড়কের কোথাও কোথাও কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন ছাউনির সৃষ্টি করেছে৷
ঢাকার ক্রিসেন্ট লেকের পাড়ে ফুলে ফুলে ভরা কৃষ্ণচূড়া গাছের সাড়ি৷
ছবি: DW/M. Mamun
কৃষ্ণচূড়ার রঙে রূপবতী
ক্রিসেন্ট লেকে বেড়াতে আসা দুই নারীর একজন সেলফোনে তুলছেন সেলফি, অন্যজন ব্যস্ত নিজ মোবাইলে কৃষ্ণচূড়ার রূপ ধারণে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুল
ক্রিসেন্ট লেকের কৃষ্ণচূড়ার জগতে বেড়াতে এসে ছবি তুলতে ভুল করছেন না কেউই৷ হাতে হাতে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় নিজেদের সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মুহূর্তেই পৌঁছে দিতে পারছেন সবাই৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাঙা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গন
কৃষ্ণচূড়ায় ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের সড়ক৷
ছবি: DW/M. Mamun
সকালের সৌন্দর্য
শুধু ডালেই নয়, কৃষ্ণচূড়ার আগুন ঝরা রং শোভা পায় গাছের নীচেও৷ ঝরা ফুলের এ সৌন্দর্য দেখার আসল সময় সকালবেলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে চারিদিক
সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঢাকার হাতিরঝিলের চারপাশেও লাগানো হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া৷ ছোট ছোট এ সব গাছের কোনো কোনোটায় ইতিমধ্যেই ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে৷ এছাড়াও ঢাকার অন্যান্য উদ্যানগুলোতেও কম-বেশি কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে৷
হলুদ সোনালুরা সবচেয়ে বেশি ফুটেছে জাতীয় সংসদের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সড়কের ফুটপাথের উপরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
গ্রীষ্মের আরেক ফুল
কৃষ্ণচূড়া ও সোনালুর পাশাপাশি জারুল ফুলটিও ঢাকা শহরের অনেক এলাকাতেই দেখা যায়৷ তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বর ছাড়াও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের অনেক গাছেই ফুটেছে এ ফুলটি৷