1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রকৃতির বড় শত্রু মানুষ

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩

আগামী সপ্তাহে শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈঠক হবে৷ বৈঠকে উষ্ণায়নের জন্য মানুষকেই বেশি দায়ী করা হবে৷ তবে ‘অনিশ্চয়তা' শব্দটির ব্যবহারও হবে বহুবার ফলে তত্ত্বের বিশ্বাসযোগ্যতাও হতে পারে প্রশ্নবিদ্ধ৷

Myanmar, Burma Desforestation Quelle: http://www.flickr.com/photos/14315427@N00/7071273899/in/photolist-bLS8nv-avZahA-7HtsG9-qZBJB-qZBeT-7SG4c5 Lizens: http://creativecommons.org/licenses/by/2.0/deed.de +++CC/fabulousfabs+++ 4.April 2012, geladen am 31.07.2013 Global Ideas
ছবি: CC/fabulousfabs

বিজ্ঞানীদের পক্ষে আসলে অনেক ক্ষেত্রেই আগেভাগে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন৷ অনেক কথাই বলতে হয় ঘটনার অনেক আগে৷ সময়ের হেরফেরে পরিস্থিতি বদলে যায়, বৈজ্ঞানিক তত্ত্বও ভুল প্রমাণিত হয় তখন৷ সেরকম হলেই মুশকিল৷ সে অবস্থায় কত বড় মুশকিল হতে পারে তা টের পেয়েছেন ইটালির ছয়জন বিজ্ঞানী৷ ২০০৯ সালে বেশ শক্তিশালী একটা ভূমিকম্প হয়েছিল ইটালিতে৷ ওই ছয়জন বিজ্ঞানী বলেছিলেন, খুব শক্তিশালী ভূমিকম্প হবে না, সুতরাং, খুব ভয়ের কিছু নেই৷ কার্যক্ষেত্রে ঘটলো উল্টোটা৷ ভয়াবহ ভূমিকম্প হলো এবং তাতে মারা গেলেন ৩০০ জন৷ তাতে বিপদ হয়েছে ওই ছয় বিজ্ঞানীর৷ ভুল তত্ত্ব দেয়ার কারণে গত বছর জেলে পোরা হয়েছে তাঁদের৷

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর স্টকহোমে বিজ্ঞানীরা বসছেন পরিবেশ বিপর্যয় এবং উষ্ণায়ন নিয়ে আলোচনা করতে৷ জাতিসংঘের ইন্টারগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-র উষ্ণায়ন বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ মজার বিষয় হলো, ৪২ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ‘অনিশ্চয়তা' শব্দটি ঘুরেফিরে এসেছে ৪২ বার৷ এমনকি একুশ শতকের শেষ নাগাদ উষ্ণায়ন কত দ্রুত বাড়বে, তখন সবুজায়ন কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে – এমন বিষয়গুলোকেও বিজ্ঞানীরা রেখেছেন অনিশ্চয়তার বেড়াজালে৷ অথচ নীতিনির্ধারক এবং সাধারণ মানুষের এসব বিষয়ে অজ্ঞতার কারণেই পরিস্থিতির উন্নতি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হয়৷ সবাই ধরেই নেন, বিজ্ঞানীরা যেখানে স্থিরভাবে কিছু বলতে পারছেন না, সেখানে বেশি ভেবে কী লাভ? এ বিষয়ে পস্টডাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ-এর গবেষক অটমার এডেনহফার পুরোপুরি একমত, তিনি মনে করেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা অনিশ্চয়তার কথা বললে নীতিনির্ধারক এবং সাধারণ মানুষরা ধরে নেয় – বিজ্ঞানীরা তো জানেনই না কোন বিষয়ে কথা বলছেন!''

সবার মাঝে সচেতনতা এবং সক্রিয়তা না বাড়ালে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা অসম্ভব হবে – এটা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সবাই এক বাক্যে মানেন৷ সচেতনতা অল্প অল্প করে হলেও বাড়ছে, তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোও কিছু মানুষ করছে আগের চেয়ে অনেক বেশি হারে৷ আইপিসিসি-র খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫০ সালের পর থেকে মানুষের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের হার এ বছরই সবচেয়ে বেশি হয়েছে৷ ২০০৬ সালে যা ছিল ৬৬ শতাংশ, এখন তা বেড়ে কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ হয়েছে৷ এ অবস্থা চলতে থাকলে একুশ শতকের শেষে বিশ্বের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷ মানুষ এবং প্রকৃতি যে তখন আরো বিপর্যস্ত হবে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মনে কোনো অনিশ্চয়তা বা সন্দেহ নেই৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ