প্রকৃতির সুর প্রকৃতির মাঝেই পরিবেশন করেন যে সংগীতশিল্পী
২৭ নভেম্বর ২০২০
প্রকৃতি থেকে প্রেরণা নিয়ে সংগীতসৃষ্টি নতুন বিষয় নয়৷ কিন্তু এক ব্রিটিশ শিল্পী প্রকৃতি থেকে ধ্বনি সংগ্রহ করে প্রকৃতির জন্য সংগীত পরিবেশন করতে ভালবাসেন৷ পাখির ডাক থেকে শুরু করে প্রকৃতির অনেক শব্দ তাঁর সংগীতের উপাদান৷
বিজ্ঞাপন
কসমো শেলড্রেক প্রকৃতির মাঝে সংগীত পরিবেশন করেন৷ ব্রিটেনের এই সংগীতশিল্পী চলচ্চিত্র, নাটক ও নিজের কোম্পানির জন্য সংগীত রচনা করেন৷ ইংল্যান্ডের দক্ষিণে তাঁর ছোট স্টুডিওটি সৌরশক্তিতে চলে৷ মাত্র চার বছর বয়সে তিনি পিয়ানো বাজাতে শিখেছিলেন৷ এখন তিনি প্রায় ৩০টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন৷ নতুন অ্যালবামের জন্য তিনি পাখির ডাক নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন৷ শেলড্রেক বলেন, ‘‘আমি ধ্বনিগুলি কেটেকুটে একটি স্যাম্পলারে এমনভাবে সাজাবো, যাতে রেকর্ড করা উপাদানগুলি দিয়ে একটা কোলাজ তৈরি করা যায়৷ এভাবে শেষে সংগীত সৃষ্টি করবো৷''
৩০ বছর বয়সি এই শিল্পী এরই মধ্যে হাজার হাজার শব্দ রেকর্ড করেছেন৷ সুযোগ পেলেই তিনি প্রকৃতির কোলে সাউন্ড শিকারে বেরিয়ে পড়েন৷ কসমো বলেন, ‘‘আমার কাছে প্রকৃতি জীবনের উৎসবের মতো৷ আমার একটি গানের শিরোনাম ‘লাইফ হ্যাজ আ প্যাশন ফর লিভিং'৷ সেটাই তো সত্যি, তাই না? শুধু কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকলেই চারিদিকে সবসময়ে প্রাণের স্পন্দন টের পাওয়া যায়৷
কসমো শেলড্রেকের কাছে সংগীত আসলে কবিতার মতো জাদুময়৷ তিনি সর্বত্র সংগীত পৌঁছে দিচ্ছেন৷ প্রায় গোটা বিশ্বে তিনি কনসার্ট করেছেন৷ তবে প্রকৃতির কোলেই সংগীত পরিবেশন করতে তিনি সবচেয়ে পছন্দ করেন৷ নিজের আবেগ সম্পর্কে কসমো বলেন, ‘‘বাইরে বাজনা বাজাতে আমি খুব পছন্দ করি৷ মানুষের বদলে কোনো জায়গার জন্য সংগীত পরিবেশন করা আমার অন্যতম প্রিয় শখ৷ আমার মতে কোনো জায়গায় গিয়ে সেই জায়গার জন্য বাজানো একই রকম গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রায়ই আমি কোনো জায়গায় গিয়ে সেখানকার শব্দ রেকর্ড করি৷ তারপর সেখানে ফিরে গিয়ে বাজাই৷ জায়গাও সংগীত শোনে বলে আমার বিশ্বাস৷ সেটা ভাবতে আমার ভালো লাগে৷ সেখানকার প্রাণিজগত সংগীত অবশ্যই শুনতে পারে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস৷’’
প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সংগীত আবিষ্কার করতে হলে কসমো শেলড্রেক ও তাঁর সাউন্ড কোলাজ সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে৷
মাক্স মোডলার/এসবি
পাখির ডাক থেকে সংগীত রচনা!
03:08
পৃথিবীকে মাতিয়ে রাখা কালজয়ী কিছু গান
ভালোবাসা, সত্য, স্বাধীনতা আর মানবতার কথা বলা গান দশকের পর দশক ধরে আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে৷ নতুন বছরে নতুন এক দশকেও প্রবেশ করেছে পৃথিবী৷ আসুন জেনে নেই বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সাড়া জাগানো কিছু গান ও তার পেছনের গল্প৷
ছবি: picture alliance/ASSOCIATED PRESS
এলভিস প্রিসলি: ‘লাভ মি টেন্ডার’ (১৯৫৬)
পপ গানের গুরু এলভিস প্রিসলির ‘লাভ মি টেন্ডার’ গানের ইতিহাস দীর্ঘ৷ যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের সময় প্রথম গানটি প্রকাশ পায়৷ পরে ওই গৃহযুদ্ধ নিয়ে নির্মাণ করা সিনেমা ‘লাভ মি টেন্ডার’-এ প্রিসলি গানের সুর কিছুটা পরিবর্তন করেন৷ সিনেমায় প্রিসলি নিজেও অভিনয় করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/Leemage/MP
বিটলস: ‘হেই জুড’ (১৯৬৮)
বিখ্যাত এই গানটি জন লেননের ছেলে জুলিয়ানকে উদ্দেশ্য করে লেখা৷ ইওকো ওনোর সঙ্গে লেননের প্রেম শুরু হলে স্ত্রীর সঙ্গে লেননের বিচ্ছেদ ঘটে৷ পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলেটি বাবা-মায়ের এই সম্পর্কচ্ছেদের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নেবে তা নিয়েই এই গান৷
ছবি: Imago/LFI
জন লেনন: ‘ইমাজিন’ (১৯৭১)
জন লেননের সলো ক্যারিয়ারে সর্বাধিক বিক্রিত গান ‘ইমাজিন’৷ সেখানে এমন এক পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, হবে মানবতার জয়৷ এক যুক্তরাজ্যেই ১৬ লাখেরও বেশি ক্যাসেট বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Randu
অ্যাডেল: ‘স্কাইফল’ (২০১২)
২০১২ সালে জেমস বন্ড সিরিজের ‘স্কাইফল’ সিনেমায় ‘স্কাইফল’ গানের জন্য ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল অস্কার জেতেন৷ সিনেমায় এজেন্ট ০০৭ ড্যানিয়েল ক্রেগ আকাশ থেকে পড়ে যাচ্ছেন আর সঙ্গে নাটকীয় এই গান৷
ছবি: Getty Images
সেলিন ডিওন: ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ (১৯৯৭)
মৃত্যুকে ছাপিয়ে ভালোবাসার জয়৷ ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইটানিক’ সিনেমায় সেই ভালোবাসার জয়গান গাওয়া হয়েছে৷ সিনেমায় সেলিন ডিওনের ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ বিশ্বজুড়ে প্রেমিক হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance /dpa
সিন্ডি লোপার: ‘টাইম আফটার টাইম’ (১৯৮৪)
মার্কিন গায়িকা সিন্ডি লোপারের মিউজিক ভিডিও ‘টাইম আফটার টাইম’-এ দৈনন্দিন জীবনযাপনে ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকা নারী-পুরুষের ভালোবাসা দেখানো হয়েছে৷ সেখানে লোপার তার ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সারা জীবন সব পরিস্থিতিতে তাকে পাশে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: Imago/MediaPunch/G. Gershoff
ক্যাট স্টিভান্স: ‘ফাদার অ্যান্ড সন’ (১৯৭০)
ব্রিটিশ গায়ক ক্যাট স্টিভানের আসল নাম ইউসুফ ইসলাম৷ তার জনপ্রিয় গান ‘ফাদার অ্যান্ড সন’-এ একটি ছেলে তার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাশিয়ায় যুদ্ধে যেতে চায়৷