শহরের গ্রাসে চারিদিকে গাছপালা, বন-জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ শুধু সরকারি উদ্যোগে বন সংরক্ষণ করা সহজ নয়৷ বেসরকারি উদ্যোগে মুনাফা করেও কীভাবে বন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য বজায় রাখা যায়, তা দেখিয়ে দিচ্ছেন ব্রাজিলের এক দম্পতি৷
বিজ্ঞাপন
আরাউকারি গোত্রের প্রাচীন গাছটিকে দমিয়ে রাখা কঠিন৷ একে ব্রাজিলিয়ান পাইন গাছও বলা হয়৷ গলায় সাদা দাগওলা পাখিদের কাছেও এর আকর্ষণ কম নয়৷ প্রকৃতি সংরক্ষক ভিগল্ড শেফার বলেন, ‘‘আমি বহু বছর ধরে ফোটোগ্রাফি চালিয়ে যাচ্ছি, এই গোত্রের গাছের ছবিই আমি সবচেয়ে বেশি তুলি৷ ছবির জন্য বড় ভালো, বৈচিত্র্যও কম নয়৷ গাছের উপর পাখি বসে, বাসা বাঁধে৷ বানরের মতো অন্যান্য প্রাণীও এমন গাছ ভালোবাসে৷''
এই অঞ্চলে সর্বত্র এমন গাছ দেখা যায়৷ তবে সেগুলি পরে লাগানো হয়েছে৷ এক শতাংশেরও কম আগে থেকেই সেখানে ছিল৷
ধ্বংস হচ্ছে আমাজন
আমাজনের রেইনফরেস্ট ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ গাছ কাটা এবং জঙ্গল পোড়ানোর কারণে কেবল এই বছরেই ধ্বংস হয়েছে ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন৷
ছবি: Reuters
দগ্ধ পৃথিবী
২০১৩ সালে ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট উজারের চিত্রটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ ওয়ারশ শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী ইসাবেলা টেইশেইরা উল্লেখ করেন, এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে আমাজনের ৫,৮৪৩ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালে যেখানে ৪,৫৭১ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল৷ ২০০৪ সালে আমাজনের ২৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল, যা একটি রেকর্ড৷
ছবি: picture alliance/Wildlife
গমের জন্য কাঠের বাণিজ্য
সয়া এবং গম চাষ আমাজনের রেইনফরেস্ট উজাড়ের জন্য অনেকটা দায়ী৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যের বন এ কারণে সবচেয়ে বেশি উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩-র জুন পর্যন্ত সেখানে ১৩৬ ভাগ বন ধ্বংস হয়েছে৷ পারার কাছের নভো প্রোগ্রেসো শহর গড়ে তুলতে ৪০০ হেক্টর জমি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল৷
ছবি: Reuters
শহরগুলোর বাঁধ
আমাজনে ব্রাজিলের ২০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র পাঁচ ভাগ আদিবাসী থাকলেও, সেখানে বাঁধ নির্মাণ ক্রমেই বেড়ে চলছে৷ আমাজন অঞ্চলে টেলেস পিরেস পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে চালু হওয়ার কথা৷ এর মধ্যে মাত্র একভাগ আমাজনের অধিবাসীদের জন্য ব্যবহৃত হবে৷ ব্রাজিলের জাতীয় শক্তি কেন্দ্র ২-৩০ সালের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Reuters
ভালো ব্যবসা?
বন উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেখানকার কাঠ৷ অবৈধভাবে উজাড় হওয়া আমাজন এখন চারণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, কেউ যদি ঐ জমিতে উৎপাদনশীল কাজ করে তাহলে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য জমি ‘লিজ’ নিতে পারবে৷ প্রসঙ্গত, উজাড় হওয়া জমির প্রতি হেক্টরের দাম ৩ হাজার ইউরো করে৷
ছবি: Reuters
গাছ যেখানে প্রধান পণ্য
গত বছর ব্রাজিল সরকার ঘোষণা করে যে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার বন রেইনফরেস্ট ধ্বংস রোধের৷ কিন্তু স্বর্ণ সন্ধানকারী এবং কৃষি কোম্পানিগুলোর কারণে গাছের সংখ্যা বাড়ছে না৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসের পথ
৩,০০০ কিলোমিটার ‘ট্রানস-আমাজনিকা’ মহাসড়কটি ব্রাজিলের সাথে প্রতিবেশী দেশ পেরু ও বলিভিয়ার সংযোগ স্থাপন করছে৷ ৪০ বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে৷ চলছে এটির সংস্কার কাজ, যা এখনো শেষ হয়নি৷ তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই সড়ক সংস্কারের বিপক্ষে৷
ছবি: Evaristo Sa/AFP/GettyImages
স্বর্ণের সন্ধানে
স্বর্ণের খোঁজে যারা আমাজন চষে বেড়ায়, তারা অনেক সময় নিজেদের এলাকা থেকে নানা ধরনের রোগ বহন করে নিয়ে আসে৷ সেই সব রোগের সংক্রমণে স্থানীয় ‘ইয়ানোমামি’ গোষ্ঠী আক্রান্ত হয়৷ শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত কয়েকশ’ ইয়ানোমামি মারাও গেছে৷ এ বছরের জুনে তাই ব্রাজিলের সেনাবাহিনী ভেনেজুয়েলা সীমান্তের ৯৫ লাখ হেক্টর জমি থেকে অবৈধ স্বর্ণ সন্ধানকারীদের আস্তানা তুলে দেয়৷
ছবি: Fiona Watson/Survival
চারকোলের উৎস
কৃষ্ণ স্বর্ণ: ‘আল্টো রিও গুয়ামা’ সংরক্ষিত এলাকার মধ্যাঞ্চলের দৃশ্য এটি৷ অবৈধভাবে কেটে ফেলা গাছগুলোকে চারকোলে পরিণত করা হয়৷ এ বছরের সেপ্টেম্বরে একটি পুলিশ হেলিকপ্টার থেকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যে অবস্থিত সংরক্ষিত এই এলাকাটিতে ‘নোভা এসপেরাঙ্কা’ সম্প্রদায়ের বসবাস৷
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
গাড়িতে এই অঞ্চলে পৌঁছতে প্রায় দু'ঘণ্টা সময় লাগে৷ ৪০০ হেক্টর জমির মালিক এক ব্যবসায়ী দম্পতি, যাঁরা জঙ্গল সংরক্ষণ করেও তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আগে এখানে চাষের জমি ছিল৷ আজ সিলভানা ক্রুগার এবং আর্নো ইয়েনসেন প্রকৃতিপ্রেমীদের জমি বিক্রি করেন৷ ভিগল্ড শেফার-ও এই প্রকল্পের কথা শুনে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন৷ সিলভানা বলেন, ‘‘আমাদের ‘কনসেপ্ট' হলো, উত্তরে সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে৷ নীচে কেউ ‘প্লট' বা জমি কিনলে তিনি উপরে সংরক্ষিত এলাকার একটা অংশেরও মালিক হবেন৷ ন্যাচারাল পার্কের অন্যতম মালিক হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন৷''
আর্নো বলেন, ‘‘আমরা এই জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু করেই গবাদি পশুর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলাম, ঘাস পোড়ানো বন্ধ করেছিলাম৷ লক্ষ্য করলাম, প্রকৃতি কীভাবে আবার নতুন করে জেগে উঠছে, নতুন গাছপালা গজাচ্ছে৷''
নতুন গাছপালা সম্পর্কে এখানে সবার ভালোই ধারণা রয়েছে৷ একটি প্রকৃতি সংরক্ষণ সংগঠন কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে বনায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তারা প্রায় ৫০ লক্ষ চারাগাছ বসিয়েছে৷ তাদের স্কুল থেকে ভালোই আয় হয়, প্রতিদিন দলে দলে মানুষ আসে৷
ভিগল্ড শেফার-এর স্ত্রী মিরিয়াম৷ চাষীদের তিনি স্থানীয় ফলের স্বাদ বোঝান৷ উদ্দেশ্য, স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করা৷ তার মধ্যে ব্রাজিলিয়ান পাইনের চারাগাছও রয়েছে৷
জার্মানির বন-জঙ্গল
জার্মানরা বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন৷ এভাবে অবসর সময় কাটাতে আর হাঁটতেও ভালোবাসেন তাঁরা৷ চলুন সে রকমই জার্মানির কিছু বনানির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
জাতীয় পার্ক ইয়াসমুন্ড
ইয়াসমুন্ডের এই পার্কটি জার্মানির জাতীয় পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পার্ক৷ বিখ্যাত ব়্যুগেন দ্বীপের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই পার্কের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, করে মুগ্ধ৷ ইউনেস্কো ২০১১ সালে ইয়াসমুন্ড পার্কটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷
ছবি: Scoopshot/ac-images
এলবে নদীর নিসর্গ
প্রকৃতি সৃষ্ট নিসর্গের মধ্যে অন্যতম নদী পরিবেষ্টিত চরগুলি৷ নিয়মিত বন্যা হওয়ার কারণে এই সব চরে গাছপালা এবং পশুপাখিরা আনন্দে বেঁচে থাকে৷ যেমনটা এখানে, ব্রান্ডেনবুর্গের এলবে নদীতে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলবে নদীর এই চরটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হারৎস
জার্মানির মধ্যভাগে অবস্থিত হারৎসের পাহাড়ি অঞ্চল শুধু জার্মানির সবচেয়ে বড় বনভূমি নয়, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় বনাঞ্চলও বটে৷ ১৮২৪ সালে অন্যতম জার্মান লেখক হাইনরিশ হাইনে তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে এই অঞ্চলকে তুলে ধরেন৷ যাঁরা হাঁটতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে জায়গাটি খুবই প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হাইনিশ জাতীয় পার্ক
জার্মানির ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যে রয়েছে ‘বুখেন’ বা বীচ গাছে ঘন জঙ্গল৷ এই বনের কয়েকটা গাছ আবার গত ৮০০ বছর ধরে এইভাবে একেবারে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এর জন্যই ইউনেস্কো ২০১১ সালে এই বনভূমিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এখানে বনবিড়ালের মতো অনেক বিরল প্রাণীও দেখা যায়৷
ছবি: DW/C. Hoffmann
স্পেসার্ট
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া এবং হেসেন রাজ্যের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই বনটি৷ আগে স্পেসার্ট ছিল ধনী ও বিশপদের শিকার করার জায়গা৷ শুধু তাই নয়, ঊনিশ শতকে এই জঙ্গলেই আস্তানা গড়েছিল জার্মানির কুখ্যাত ডাকাতরা৷ ১৮২৭ সাল থেকে ‘‘দাস ভির্টহাউস ইম স্পেসার্ট’’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই ঘন বনাঞ্চল৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ব্ল্যাক ফরেস্ট
ব্ল্যাক ফরেস্ট বা কৃষ্ণ অরণ্য নিয়ে নানা রকম ভূতের গল্প প্রচলিত আছে জার্মানিতে৷ আছে এই জঙ্গলের নামে একটি কেক-ও৷ সে জন্যই হয়ত এই কৃষ্ণ অরণ্যের জাতীয় পার্কের মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে৷ আবার অন্যদের আশঙ্কা, জাতীয় পার্ক হলে এখান থেকে আর ফল সংগ্রহ বা গাছ কাটা যাবে না – জার্মানিতে পরিবেশ রক্ষা সত্যিই যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
ছবি: picture-alliance/Ronald Wittek
বাভারিয়ার জাতীয় পার্ক
রাখেল লেক বাভারিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হ্রদের মধ্যে একটি৷ লেকটি ঘিরে প্রায় ১০৭০ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বন, যেখানে গত কয়েক দশকে একটি গাছও কাটা হয়নি৷ খুবই নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ এখানে৷ তাই হাঁটার জন্যও খুব উপযোগী এই অঞ্চল৷ ১৯৭০ সালে এই পার্কটিকে জার্মানির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় পার্ক ব্যার্শটেসগাডেন
এটা আলপস পর্বতমালায় অবস্থিত জার্মানির একমাত্র জাতীয় পার্ক৷ পার্কটি উচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থানের কারণে পর্যটকরা এখানে এলে বিরল প্রাণীর দেখা পান৷ তাই তো পক্ষীপ্রেমী আর বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
8 ছবি1 | 8
ভিগল্ড শেফার ও তাঁর স্ত্রী পরিবেশ অ্যাকটিভিস্ট৷ তাঁদের ধৈর্য্যের সীমা নেই৷ ২৭ বছর আগে সংগঠন তৈরির সময় অনেকেই তাঁদের দেখলে এড়িয়ে যেত৷ অথচ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আজ তাঁদের চাহিদা বেড়ে গেছে৷ তাঁরা এর মধ্যেই শুধু ব্রাজিলিয়ান পাইনের জন্যই ১২টি সংরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করেছেন৷ ২২ জন কর্মী এই প্রকল্পের জন্য কাজ করেন৷ তাঁরা রাজনৈতিক নেতা ও কৃষকদের বোঝান, গ্রাম ও পৌর কর্তৃপক্ষকে জঙ্গল সংরক্ষণ সম্পর্কে পরামর্শ দেন৷
সংরক্ষণের এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক বনাঞ্চল আজ টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে৷ ভিগল্ড শেফার-এর মতে, ব্রাজিলিয়ান পাইন আরও বেশি বিপন্ন হয়ে উঠেছে, যদিও ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইন করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ আসলে ক্ষতি সামলে নিতে প্রকৃতির বেশ সময় লাগে৷ ভিগল্ড শেফার বলেন, ‘‘এই গাছটি দেখলেই মনে আবেগ আসে৷ পাঁচ বছর বয়সে গাছটি লাগিয়েছিলাম আমি৷ বাবা আমাকে এই গাছের বীজ দিয়েছিলেন৷ পরে আরও প্রায় আড়াই হাজার ব্রাজিলিয়ান পাইন পুঁতেছি৷ আজ এই সুন্দর জঙ্গলে কত বৈচিত্র্যই না সৃষ্টি হয়েছে৷''
ভিগল্ড শেফার ও তাঁর স্ত্রী ভালই জানেন যে, ভবিষ্যতেও ব্রাজিলে এই জঙ্গল বাঁচিয়ে রাখতে আগামী কয়েক দশক ধরে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেতে হবে৷