1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার চীনের

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২ মে ২০১৩

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে চীনা সৈন্য ভারতের ১৯ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে – ভারতের এ অভিযোগ সমানে অস্বীকার করে চলেছে চীন৷ চীন ঐ জায়গা কখনই ছাড়বে না বলে সরকারকে জানিয়েছেন সেনা প্রধান৷

An aerial view of mountains is seen around Kargil, India, Saturday, June 11, 2005. The Indian Prime Minister Manmohan Singh is on a three-day visit to the remote Ladakh district in northwest Kashmir that began Friday to inaugurate two-power projects and to interact with Indian soldiers at Siachen, the world's highest battlefield. (ddp images/AP Photo/Sebastian John)
ছবি: AP

ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সরকারিভাবে চিহ্নিত না হওয়ার সুযোগে ১৫ই এপ্রিল থেকে লাদাখ সেক্টরের ১৯ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পর পর মোট পাঁচটি সামরিক তাঁবু বসিয়েছে চীন৷ ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, সেখানে মোতায়েন চীনের জনা ৩০ সেনাকর্মী, কিছু সামরিক যান এবং নজরদারির সরঞ্জাম৷ হালচাল দেখে এসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভাকে একথা জানিয়ে ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে চীনের এটা সুপরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল৷''

পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে প্রশ্ন করায় তিনি বিষয়টিকে এক স্থানীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করেন, যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে৷ উত্তেজনা বাড়তে দেয়া হবে না৷ এই ব্যাখ্যায় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা যে-কোনো জায়গায় লঙ্ঘন করলে সেটাও তো স্থানীয় ঘটনাই হবে৷ এইভাবে চীন অনুপ্রবেশ করে যাবে আর ভারত শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাবে৷ এমনটা চলতে থাকলে ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারে চীন৷

কোনো কোনো সমর বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই অবস্থায় চলতি মাসের ৯ তারিখ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশীদের বেজিং সফরে এবং চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশের মাথা হেঁট হবে৷ একটি চীনা প্রবাদ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেন, চীন শক্তের ভক্ত, নরমের যম৷ তাই এরইমধ্যে তিনটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়ে গেছে বটে, কিন্তু বরফ গলেনি৷ দখল করা এলাকা চীন না ছাড়লে ভারত কীভাবে তার জবাব দেয়, আদতে সেটাই দেখতে চায় চীন৷ তারওপর ভারত যে শুধু নিজের শক্তিতে চীনের মোকাবিলা করতে পারবে না, এমন একটা ধারণা পোষণ করে বেজিং৷

১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধকালীন ছবি...ছবি: Getty Images

সব থেকে লক্ষণীয় বিষয়, এই নিয়ে সংসদে সরকারের তরফে না কোনো বক্তব্য রাখা হয়েছে, না কোনো বিবৃতি দেয়া হয়েছে৷ তাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, সরকার বিষয়টিকে খুব হাল্কাভাবে নিয়েছে৷ বিরোধী দলগুলি অবশ্য সংসদে এই ইস্যু তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেজিং সফর বাতিল করার দাবি তুলেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা জানতে চেয়েছে, কেন সরকার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে? কেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং) কড়া মনোভাব নিচ্ছেন না?

এর কারণ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে মতপার্থক্য আজকের নয়৷ কিন্তু আলোচনাই যে এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ, চীনের আচরণ সেকথা বলছে না৷

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৯৩ সাল থেকে চীনের অনুপ্রবেশের ধরণ হলো, এলএসি পেরিয়ে বসতিহীন এলাকায় পশুচারকদের ভয় দেখিয়ে, তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা৷ তাঁদের মতে, তবে কী চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য সিয়াচেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ