পরিবারে অর্থসংকট দেখা দেয়ায় জুনেরা চেয়েছিল উপার্জনে নামতে৷ সম্মানজনক পেশাই লক্ষ্য ছিল তাঁর৷ কিন্তু নারী পাচারকারীর ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানের এই কিশোরী হয়ে যায় দুবাইয়ের যৌনকর্মী৷
বিজ্ঞাপন
অবর্ণনীয় অত্যাচার সহ্য করে অবশেষে পালাতে পারলেও মৃত্যু আতঙ্ক এখনো তাড়া করছে তাঁকে৷
ফয়সালাবাদের মেয়ে জুনেরা৷ শৈশবে স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার৷ কিন্তু পরিবারের দুরবস্থা তাঁর আর বোন শাইস্তার জীবনে এনেছে দুর্বিসহ কষ্ট৷ দুই বোনের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পূর্ণ নাম এবং ঠিকানা গোপন রেখে বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশ করেছে এমন এক প্রতিবেদন, যা পড়ে যে-কোনো স্বাভাবিক মানুষের হৃদয় কাঁদবে৷ এলাকার আয়েশা নামের এক নারী জুনেরার পরিবারের দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছিলেন সহানুভূতিশীল হিতার্থীর ছদ্মাবরণে৷ প্রথমে দেয়া হয় স্থানীয় কোনো বাসায় কাজ করার প্রস্তাব৷ জুনেরা আর শাইস্তার তাতে আপত্তি ছিলনা৷
বাংলাদেশের যৌনকর্মীদের কথা
পৃথিবীর আদিম এক পেশা পতিতাবৃত্তি৷ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই চালু রয়েছে এই পেশা৷ বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন আছেন বাংলাদেশের যৌনকর্মীরা? এই ছবিঘরে তাঁদের অবস্থা কিছুটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images
যেভাবে যৌনপল্লীতে আগমন
বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়ে যৌনপল্লীতে হাজির হন মেয়েরা৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতিদরিদ্র্য পরিবারের সদস্যরা কখনো কখনো অর্থের লোভে মেয়েদের বিক্রি করে দেন বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা৷ এছাড়া ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে কিংবা বিদেশ যাওয়ার লোভ দেখিয়েও মেয়েদের যৌনপল্লীতে আনা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Munir uz ZAMAN
যৌনকর্মীদের জন্য ‘গরুর ট্যাবলেট’
ফরিদপুরের সরকার অনুমোদিত যৌনপল্লীর ছবি এটি৷ অভিযোগ রয়েছে, পল্লীর মালিক নতুন আসা যৌনকর্মীদের স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করেন, যা সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়৷ গরুর স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্যবহার করা এই ট্যাবলেট মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর৷
ছবি: M.-U.Zaman/AFP/GettyImages
অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ‘ইনজেকশন’
বাংলাদেশের এক যৌনপল্লীর মালিক রোকেয়া জানান, স্টেরয়েড ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়৷ কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়৷ অপ্রাপ্তবয়সিদের স্বাস্থ্য ভালো করতে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় বলে জানান ৫০ বছর বয়সি রোকেয়া৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/M. Candela
অধিকাংশ যৌনকর্মী ‘স্টেরয়েড আসক্ত’
আন্তর্জাতিক উন্নয়নসংস্থা একশনএইড ইউকে এক সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০১০ সালে জানায় যে, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ যৌনকর্মী ওরাডেক্সন বা অন্যান্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট নিয়মিত গ্রহণ করে৷ তাঁদের গড় বয়স ১৫-৩৫ বছর৷ বাংলাদেশে দু’লাখের মতো যৌনকর্মী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/M. Candela
সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ
স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণা চালাচ্ছে একশনএইড৷ সংস্থাটির বাংলাদেশ অংশের কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানিয়েছেন, ‘‘ওরাডেক্সন গ্রহণ করার পর শুরুতে মেয়েদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে৷ কিন্তু এটি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চামড়ায় ক্ষতসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়৷’’
ছবি: GMB Akash
এইচআইভি সংক্রমণ
বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ বা এইডস রোগ হওয়ার খবর মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশ হয়৷ তবে ঠিক কতজন যৌনকর্মী এইচআইভি আক্রান্ত তার হালনাগাদ কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি৷ অনেকক্ষেত্রে কনডম ব্যবহারে খদ্দেরের অনীহা যৌনকর্মীদের মাঝে যৌনরোগ ছড়াতে সহায়ক হচ্ছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: AP
‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ যৌনকর্মী
বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জোর করে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে৷ আর এই পেশায় যাঁরা একবার প্রবেশ করছেন, তাঁদের জীবনেও নানা ঝুঁকি থাকে৷ পতিতাপল্লীতে হামলার খবর কিন্তু মাঝেমাঝেই শোনা যায়৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: M.-U.Zaman/AFP/GettyImages
শত বছরের পুরনো পল্লী উচ্ছেদ
মাদারিপুরের পতিতাপল্লীটি ছিল শত বছরের পুরনো৷ গত বছর এই পল্লী উচ্ছেদ করেছেন স্থানীয়রা৷ এমনকি পল্লীটি জোরপূর্বক উচ্ছেদ না করার হাইকোর্টের আদেশও এক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হয়েছে৷ সেখানে পাঁচশ’র মতো যৌনকর্মী বাস করতেন৷ কিছুদিন আগে টাঙ্গাইলের একটি পতিতাপল্লীও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এ রকম উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছেন আরো অনেক যৌনকর্মী৷
ছবি: M.-U.Zaman/AFP/GettyImages
মধ্যপ্রাচ্যে ‘যৌনদাসী’ বাংলাদেশের মেয়েরা!
বাংলাদেশের বেশ কয়েক নারীকে মধ্যপ্রাচ্যে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে৷ তাঁদের পাচার করে সিরিয়ায় নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক বার্তাসংস্থা৷ এ সব নারীকে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে৷ তবে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়েও বাংলাদেশি নারীদের জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
9 ছবি1 | 9
তারপরই আসে দুবাই গিয়ে ভালো কাজ করে রাতারাতি পারিবারিক দৈন্য দূর করার প্রলোভন৷ দু-বোনের কারো বয়সই তখনো ১৮ হয়নি৷ অর্থাৎ দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক৷ আয়েশা জাল কাগজপত্র করে সেই সমস্যা সমাধান করে নিয়ে গেলেন দুবাই৷ দুবাই বিমানবন্দরের শৌচাগারে নিয়ে ছলচাতুরীতে পারদর্শী আয়েশা জানিয়ে দেয়, জুনেরা আর শাইস্তাকে শুরু করতে হবে নতুন জীবন৷ সে এমন এক জীবন যা যাপনের কথা কোনোদিন দুঃস্বপ্নেও দেখেনি দু-বোন৷ দেহ দিয়ে খদ্দের খুশি করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেয়া হয় জাল কাগজপত্রসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি৷ পরিবার-পরিজন ছেড়ে অচেনা দেশে পাড়ি জমানো মেয়ে দুটি তখন আর রাজি না হয়ে পারেনি৷
সেদিন থেকেই শুরু ‘নিষিদ্ধ পল্লী'তে জুনেরা আর শাইস্তার বসবাস৷ প্রথম দিন শাইস্তাকে সামনে রেখে আয়শা নিজে দাঁড়িয়ে ধর্ষণ করায় জুনেরাকে৷ দ্বিতীয় দিন থেকে আয়শা আর কাছে থাকতো না৷ খদ্দেরকে বলে যেতো, যৌনকর্মের সময় মোবাইল ফোন চালু রাখতে, যাতে দুই বোনের একজনও কথামতো কাজ করতে আপত্তি জানালে সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায়৷ কঠোর ব্যবস্থা মানে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন৷ জুনেরা আর শাইস্তার সারা শরীরে এখনো আছে সেসবের চিহ্ন৷
জার্মানিতে পতিতাবৃত্তির বিরোধিতা
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ভবিষ্যত সরকার৷ নারী অধিকার কর্মীরা চান আইন করে এই পেশায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক৷
ছবি: AFP/Getty Images
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ভবিষ্যত সরকার৷ রক্ষণশীল এবং সামাজিক গণতন্ত্রকামী যে দুটো দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তারাই আইনটি পুনর্বিবেচনার পক্ষে৷
ছবি: Isabel Winarsch
বৈধ পেশা
জার্মানিতে পতিতাবৃত্তি বৈধ৷ ২০০২ সালে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং গ্রিন পার্টি জার্মানিতে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিয়ে একটি আইন পাস করে৷ এরপর থেকে এটি একটি বৈধ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে৷ যৌনকর্মীরা চাইলেই সামাজিক বিমা পেতে পারে এবং কোনো খদ্দের অর্থ না দিলে আদালতের দারস্থ হতে পারে৷
ছবি: imago/EQ Images
কোটি কোটি টাকার লেনদেন
জার্মান কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে কেবল পতিতাবৃত্তিতেই লেনদেন হয় ১৫শ কোটি ইউরো৷ তবে ঠিক কত নারী এই পেশায় জড়িত তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ধারণা করা হয় অন্তত ৪ লাখ নারী এ পেশায় জড়িত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অর্ধেক অভিবাসী
প্রায় চার লাখ যৌনকর্মীর অর্ধেকই এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকে৷ অর্থাৎ জার্মানিতে তারা অভিবাসী৷ অনেককে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এখন তারা আর চাইলেও সেখান থেকে বের হতে পারছে না৷ আবার কেউ রয়েছেন যারা কেবল অর্থ রোজগারের আশায় এই পথ বেছে নিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance / rolf kremming
নিবন্ধিত না হওয়া
যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বেশিরভাগই নিবন্ধিত নন এবং তাদের কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই৷ কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সংস্থা বলছে, শতকরা মাত্র ৪৪ জন যৌনকর্মী সামাজিক বিমা করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি
নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, বেশিরভাগ নারীই নিজের ইচ্ছায় এই পেশায় আসেন না৷ ইউরোপের পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক নারীদের জোর করে এই ব্যবসায় নামানো হয়৷ তারা এটাকে আধুনিক দাসপ্রথা হিসেবে উল্লেখ করে এই পেশায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন৷ সেইসাথে আইনটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা৷
ফ্রান্সের পতিতাবৃত্তি
ফ্রান্সে গত কয়েক দশক ধরেই যৌন পল্লি এবং যৌন ব্যবসা দুটোই নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ খদ্দেরদের হাতেনাতে ধরতে পারলে ১,৫০০ ইউরো জরিমানা ধার্য করে আইন করেছে সরকার৷ সমালোচকরা বলছেন, এর অর্থ নারীরা খদ্দেরদের সেবা দিতে প্রস্তুত, কিন্তু খদ্দেররা তা নিতে পারবে না৷ তাই বিলটি নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷
ছবি: picture-alliance/rolf kremming
সুইডেনের আইনে ফ্রান্স
ফ্রান্স এই আইন করেছে মূলত সুইডেনের আইন পর্যালোচনা করে৷ সেখানে ১৯৯৯ সাল থেকে যৌন ব্যবসার খদ্দেরদের শাস্তির আওতায় আনা হয়৷ সেসময় সুইডেনে পতিতাবৃত্তির বৈধতা দেয়া হয়৷ তবে এর ফলে এইসব পতিতাদের উপর নির্যাতন ও ধর্ষণের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে বলে জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে জানিয়েছেন হাসপাতালের একজন নার্স৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
চার বছর অবমাননাকর অমানবিক জীবনযাপনের পর ২০১৩ সালে লুকিয়ে দেশে ফিরেছেন জুনেরা আর শাইস্তা৷ আগের চার বছরে কয়েকবার দেশে আসার সুযোগ পেয়েছিল তারা৷ আয়শাই নিয়ে এসেছিল সব কাগজপত্র হালনাগাদ করাতে৷ মা-বাবার কাছে পৌঁছে দেবার সময় আয়শা বলে যেতো, ‘‘দুবাইতে কী করিস তা ভুলেও বলবিনা৷ বললেই মেরে ফেলবো৷''
প্রাণভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারতো না ফয়সালাবাদের সাধারণ পরিবারের দুটি মেয়ে৷ অত্যাচার সহ্য করতে করতে একসময় সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় দু-বোনই সব খুলে বলল বড় বোন কামারকে৷ কামারের সাহসী পদক্ষেপের কারণেই জুনেরা আর শাইস্তা এখন পাকিস্তানে৷ তবে স্বদেশেও জীবন মোটেই সুখের হয়নি৷ আয়শার নারী পাচার চক্রকে বিচারের মুখোমুখি করতে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন কামার৷ কয়েকদিনের মধ্যেই আয়শার এক ভাই এসে তিনটি গুলি করে জুনেরার পায়ে৷ গুলি করে সদর্পে ফিরে যায় আয়শার ভাই৷
হাসপাতালে নিয়ে জুনেরার পায়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়৷ তারপরও থামেনি অত্যাচার৷ এবার স্থানীয় পুলিশ নামে জুনেরাকে অপদস্থ করার কাজে৷ হাসপাতালে সদ্য অস্ত্রোপচার করানো পা নিয়েই জুনেরাকে হেঁটে দেখাতে বলে পুলিশ৷ অতি কষ্টে হেঁটে দেখিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তারপর আর হাসপাতালে থাকা হয়নি৷ হাসপাতাল ছাড়ার পর থেকেই জুনেরার পরিবার এলাকাছাড়া৷ প্রাণভয়ে এলাকা ছাড়লেও আর কোনো মেয়েকে যেন তাদের মতো দুর্ভাগ্য বরণ করতে না হয় সেজন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন আয়শার বিরুদ্ধে৷ সে লড়াই কবে শেষ হবে কে জানে! জুনেরা আর শাইস্তার আইনজীবী জুলফিকার আলী ভুট্টা বললেন, ‘‘এ মামলার প্রধান আসামী (আয়শার স্বামী) আশফাক৷ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সামনেই আদালত থেকে পালিয়েছে সে৷ আদালত জামিন বাতিল করা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷''