1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রচণ্ড গরমে বোরো ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

২৫ এপ্রিল ২০২৩

অতিরিক্ত গরমে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে ৮৩ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান 'চিটা' হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে ধানখেতে কৃষকদের সবসময় পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ৷

ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

কৃষি বিভাগের পরামর্শে ধানখেতে সার্বক্ষণিক সেচের পানি দিতে গিয়ে এ বছর কৃষকদের বোরো ধান উৎপাদনে বিঘাপ্রতি ৬০০-৮০০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে৷

গত বছরগুলোয় এ সময় বোরোখেতে সেচের পানির প্রয়োজন হতো না বলে দ্য ডেইলি স্টারকে কৃষকরা জানিয়েছেন৷ কৃষি বিভাগ সূত্র ডেইলি স্টারকে জানায়, এ বছর লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় ৪৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর ও কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় এক লাখ ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে৷

এর মধ্যে ২০ শতাংশ জমির ধান পেকেছে৷ আধা-পাকা হয়েছে ৩০ শতাংশ জমির ধান৷ এখনো মুকুল ও শীষের পর্যায় আছে ৫০ শতাংশ জমির ধান৷অতিরিক্ত গরমের কারণে মুকুল ও শীষ পর্যায়ের ধানগুলো নষ্ট (চিটা) হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের কৃষক কাদের আলী (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, '৮ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি৷ ২ বিঘা জমির ধান আধা-পাকা হয়েছে৷ ৬ বিঘা জমির ধানে মুকুল ও শীষ দেখা দিয়েছে৷ প্রচণ্ড গরমের কারণে এ বছর বোরো ধান পাতান (চিটা) হতে পারে৷'

'কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেতে পানি দিতে হচ্ছে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এতে প্রতিবিঘায় ধান উৎপাদনে ৭০০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে৷ গত বছরগুলোয় ধানখেতে এ সময় সেচের পানির প্রয়োজন হতো না৷'

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মন্ডলেরহাট এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি৷ এ বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি৷'

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের কৃষক হেমন্ত বর্মণ (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সার, বীজ, তেল ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদনে ৯৫০-১০০০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে৷ বাড়তি সেচে দিতে গিয়ে বিঘাপ্রতি ৬০০-৮০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে৷' এ বছর প্রতিমণ ধান উৎপাদনে প্রায় ১ হাজার ১০০ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান তিনি৷

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বোরো ধানের জন্য ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়ার নিচে তাপমাত্রা প্রয়োজন৷ গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে৷ এ তাপমাত্রা বোরোর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর৷ এ অবস্থায় খেতে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না৷'

'তবে যে কৃষক সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ রাখতে পারবেন না তাদের ধান চিটা (পাতান) হতে পারে৷ তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে খেতে সর্বদা পানি রাখার পরামর্শ দিচ্ছি,' যোগ করেন তিনি৷

এনএস/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ