1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেট্রোল-ডিজেল ইঞ্জিন দূষণমুক্ত করা

২২ নভেম্বর ২০২১

কার্বন নির্গমন কমাতে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে বিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেনের মতো বিকল্প উৎসের ব্যবহার আরো বাড়ছে৷ কিন্তু প্রচলিত কম্বাশন ইঞ্জিন পুরোপুরি বাতিল করা কঠিন৷ বিজ্ঞানীরা সেই ইঞ্জিনকেও দূষণহীন করার চেষ্টা করছেন৷

Iran Treibstoff Benzin Öl Krise Tankstelle
প্রতীকী ছবিছবি: Vahid Salemi/AP/picture alliance


ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন হেয়ার্টেল একটি যান চালিয়ে দেখছেন৷ তবে তার মোটোরসাইকেলে যে প্রচলিত ইঞ্জিন বসানো আছে, বিকট শব্দ শুনলেই তা বোঝা যায়৷ অথচ এই যানের কার্বন নির্গমনের মাত্রা কার্যত শূন্য, যা এমনকি যে কোনো ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায়ও ভালো৷

সিমন প্যোলমান ও মার্টিন হেয়ার্টেল ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করতে চান যে ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনেরও ভবিষ্যৎ রয়েছে৷ এমনকি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের তুলনায়ও সেটি নাকি আরও বেশি পরিবেশবান্ধব৷

প্রথম আইডিয়া হলো, কম্বাশন ইঞ্জিন মোটেই খারাপ নয়, বরং যা সেখানে ভরা হয় সেই জ্বালানির কুপ্রভাব থাকতে পারে৷ তাই পেট্রল বা ডিজেল না ভরে ইঞ্জিনে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আজকের ডিজেলের তুলনায় এই উৎস অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব৷

ডান দিকে নতুন গ্যাসের ইঞ্জিন, বামে ডিজেলচালিত ইঞ্জিন৷ ডিজেলের মতো এ ক্ষেত্রেও জ্বালানি কম্বাশন চেম্বারে ইগনাইট করা হয়, অর্থাৎ জ্বালানো হয়, যাতে ভবিষ্যতে গ্যাস ইঞ্জিন ডিজেলের মতোই কাজ করতে পারে৷ শুধু পার্টিকুলেট বা বস্তুকণা, নাইট্রিক অক্সাইড এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেক কম হবে৷ মার্টিন হেয়ার্টেল বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক গ্যাসের সুবিধা হলো, নীতিগতভাবে আমরা প্রায় এক চতুর্থাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড সাশ্রয় করতে পারি৷ তবে একই সঙ্গে অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের নির্গমনও এড়িয়ে চলতে হবে৷ আবার জ্বালানি ব্যবহারের মাত্রাও কম রাখতে হবে৷ আধুনিক কম্বাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সেটা করতে পারছি৷ কম্বাশন ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের দাবি কার্যকর করাই সেই গবেষণার লক্ষ্য৷ অর্থাৎ জলবায়ু সংরক্ষণ ও বাতাসের শুদ্ধতা বজায় রাখতে হবে৷’’

দ্বিতীয় আইডিয়া হলো, আজকের প্রচলিত কম্বাশন ইঞ্জিনগুলিকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে হবে৷ নিষ্কাশিত গ্যাস ব্যবহার করেই সেই কাজ করতে হবে৷

এ ক্ষেত্রে ভালভের মাধ্যমে সেই গ্যাস আবার ইঞ্জিন কম্পার্টমেন্টে ফিরিয়ে আনা হবে৷ নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা কমানোই এই কৌশলের লক্ষ্য৷ জ্বালানি সাধারণত ভালভের মাধ্যমে কম্বাশন চেম্বারে এনে ইগনাইট করানো হয়৷ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ক্ষতিকারক নাইট্রিক অক্সাইড সৃষ্টি হয়৷ 

নিষ্কাশিত গ্যাসের একটা অংশ শীতল করে আবার কম্বাশন চেম্বারে ফিরিয়ে আনাই হলো এই কৌশলের বৈশিষ্ট্য৷ এই সব গ্যাস সেই চেম্বার ঠান্ডা করবে৷ ফলে অনেক কম পরিমাণ নাইট্রিক অক্সাইড সৃষ্টি হবে৷

ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ