পোকামাকড়ের ডানা বা পাখনা আশ্চর্য রকমের হালকা অথচ শক্ত৷ তার পিছনে রয়েছে প্রকৃতি ও বিবর্তনের লক্ষ লক্ষ বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা৷ বাড়ি ও কাঠামো তৈরিতে প্রকৃতির কারিগরি নকল করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
বিজ্ঞাপন
প্রকৃতি আজও সেরা কারিগর৷ বড়বড় পোকামাকড়ের শরীর, শিং কিংবা শক্তপোক্ত পাখনা তৈরি করার ক্ষমতা একমাত্র প্রকৃতিরই আছে৷
কার্লসরুহের ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোকামাকড়ের পাখনার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা চলেছে, যদি তা থেকে বাড়ি তৈরির কাজে কোনো নতুন প্রেরণা পাওয়া যায়৷ এক্স-রে মাইক্রোটোমোগ্রাফি নামের একটি নতুন ত্রিমাত্রিক পদ্ধতিতে ছবি তোলা হচ্ছে৷ গোটা হল জোড়া একটি পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর এক্স-রে রশ্মিটি সৃষ্টি করে৷
কার্লসরুহ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পদার্থবিদ টমি দোস সান্তস রোলো জানালেন, ‘‘এটা একটা সিনক্রোটোন রেডিয়েশন, যাতে চুম্বকের মাধ্যমে ইলেকট্রনগুলো একত্রিত করে একটি জোরালো এক্স-রে সৃষ্টি হয়৷ তা দিয়ে আমরা উচ্চ স্পেসিয়াল আর টেম্পোরাল রেজোলিউশনের সব ছবি তৈরি করি৷''
২০১৫ সালের বাছাই প্রাণীরা
জার্মানিতে যে সব প্রাণীর বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন, প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠন তাদের মধ্যে কয়েকটিকে নির্বাচন করে ‘‘২০১৫ সালের জীবজন্তু’’ হিসেবে তাদের নাম প্রকাশ করেছে৷ দেখা যাক কারা এবার এই সম্মান পেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Schmitt
হলুদরঙা গঙ্গাফড়িং
ইংরিজিতে বলে ‘ইয়েলো উয়িংড ডার্টার’, যাকে ‘‘২০১৫ সালের ফড়িং’’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে৷ জীবটি আজ সর্বাধিক বিপন্ন প্রজাতিগুলির রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত৷ এর কারণ হল, জার্মানি থেকে জলাভূমি প্রায় লোপ পেয়েছে৷ ফড়িংটিকে চেনা যায় তার পাখার ডগায় হলদে দাগ দেখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. J. Los
বুনো খরগোশ
‘জার্মান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতি’ বুনো বাদামি খরগোশকে ‘২০১৫ সালের বন্যপ্রাণী’ বলে ঘোষণা করেছে৷ কৃষিকাজ বাড়ায় বুনো খরগোশের বাসস্থান ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে৷ চাষের জমির পাশে আলের জমি কিংবা ঝোপঝাড় কমে এসেছে৷ কাজেই জার্মানদের চিরপরিচিত বুনো খরগোশ আজ এ দেশে বিপন্ন প্রজাতির লাল তালিকায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
ড্যানিউব নদীর স্যালমন মাছ
জার্মানিতে এই সুস্বাদু মাছটি শুধু ড্যানিউব নদীর অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ৷ কিন্তু ড্যানিউব নদীতে বহু স্লুইস গেট বা জলকপাট বসানোর ফলে স্যালমন মাছগুলোর চলাফেরা ও ডিম পাড়ায় বাধা পড়েছে৷ নদীর বহু অংশ থেকে ড্যানিউব স্যালমন উধাও হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/A. Hartl
প্রজাপতিও পতঙ্গ
তাই জার্মানির ‘স্পেকট্যাকল পি’ব্লু’ বা রুপোলি-সবুজ নীলরঙা প্রজাপতি ২০১৫ সালের পতঙ্গ নির্বাচিত হয়েছে৷ ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, সে হল পুরুষ; এ জাতের স্ত্রী প্রজাপতি সাদামাটা, কিছুটা বাদামি, ওপরে ফুটকি৷ এই জাতের প্রজাপতি পিঁপড়েদের সঙ্গে ‘সিমবায়োসিস’, মানে পারস্পরিক সুবিধা দিয়ে এবং নিয়ে বাঁচে৷ প্রজাপতির শূককীট থেকে যে মিষ্ট রস নির্গত হয়, তা পিপীলিকাদের প্রিয়; তাই পিঁপড়েরা শূককীটদের রক্ষা করে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Schmitt
বর্ম থাকলেও বিপন্ন
ইউরোপিয়ান পন্ড টার্টল বা পুকুরের কচ্ছপ ‘‘২০১৫ সালের সরীসৃপ’’ নির্বাচিত হয়েছে৷ হলদে ফুটকি দেওয়া কাছিমটি আজ শুধুমাত্র ব্রান্ডেনবুর্গে পাওয়া যায়৷ কচ্ছপ ধরা ও কেনাবেচা ছাড়াও, মধ্য ইউরোপের বেশ কয়েক প্রজাতির কচ্ছপের জন্য যেমন সূর্যকিরণ, তেমনই জলাভূমি আবশ্যক৷ কেননা জলের নীচেই কাছিমরা তাদের খাদ্য খুঁজে পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Robert Schlesinger
যে প্রজাপতি গাছ ভালোবাসে
‘রেড আন্ডারউয়িং’ হল ২০১৫ সালের প্রজাপতি৷ পিছনের লালরঙা পাখাগুলো আসলে শত্রুকে ভয় দেখানোর জন্য: এগুলো অন্য রংয়ের নীচে লুকনো থাকে; একমাত্র বিপদ দেখলেই প্রজাপতি তার পাখা মেলে ধরে শত্রুকে ভয় দেখায়৷ তবে এই জাতের প্রজাপতির শূককীট পপলার আর উইলো গাছের পাতা খেতে ভালোবাসে - এবং সে ধরনের গাছ কমে আসার ফলে ‘রেড আন্ডারউয়িং’ শীঘ্রই লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/BUND
লাজুক বিজয়ী
২০১৫ সালের পাখি হল ‘গস’হক’ নামের একটি শিকরে বাজ৷ পাখিটিকে স্বল্পই দেখা যায়: হয় সে শিকার করছে কিংবা আকাশে চক্কর কাটছে৷ তাকে ২০১৫’র পাখি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে কেননা তার মতো বহু শিকারী পাখি আজও মানুষের গুলিতে প্রাণ হারায় - যদিও গসহক শিকার সত্তরের দশক থেকেই নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jens Wolf
ভাঁড়ারের শামুক
ইংরিজি নাম ‘কেলার স্নেল’৷ এমনিতে খুব বেশি চোখে পড়ে না৷ দেখতে পাওয়া যাবে পাহাড়ের গুহায়, খনিগর্ভের সুড়ঙ্গে, মাটির তলার ভাঁড়ারঘরে৷ ঠাণ্ডা আর বরফের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে সব জীব মাটির তলায় আশ্রয় খোঁজে, তাদেরই প্রতিনিধি এই ভাঁড়ারের শামুক৷ তাই সে যে ২০১৫ সালের ‘গুহাবাসী প্রাণী’ নির্বাচিত হয়েছে, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷
ছবি: K. Bogon
8 ছবি1 | 8
এই এক্স-রে মানুষ বা জীবের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর; কাজেই যে নমুনার ছবি তোলা হচ্ছে, একটি রোবোটের মাধ্যমে সেটিকে এক্স-রে'র বিমের মধ্যে ফেলা হয়, তৈরি হয় একটি এক্স-রে ভিডিও৷ বিজ্ঞানীরা পাশের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রক্রিয়াটির উপর নজর রাখেন৷ সংগৃহীত তথ্য থেকে গবেষকরা একটি মডেল তৈরি করেন; কম্পিউটারে একটি ত্রিমাত্রিক হাই রেজোলিউশন ছবি ফুটে ওঠে, যা থেকে পোকামাকড়ের পাখার মাইক্রোমিটারে মাপা যায়, এমন সব ছোট খুঁটিনাটি দেখা যায়৷
টমি দোস সান্তোস রোলো বোঝালেন, ‘‘পাখাটা ফোঁপরা, সেইজন্যে খুব হালকা৷ স্থিতি আসে পাখার ওপর আর নীচের দিকটা বহু ‘স্ট্রাট' বা গোঁজ দিয়ে জোড়া বলে৷ এছাড়া পাখাটা ব্যাঁকানো৷ তার ফলে আরো বেশি স্থিতি আসে৷ ঠিক কাগজের মতো: যতক্ষণ ফ্ল্যাট থাকবে, ততক্ষণ সবদিকে মোড়া যায়; একবার দুমড়ে-মুচড়ে ফেললে, তা আর করা সম্ভব নয়৷''
পাখার ওপর আর নীচের দিকের মধ্যে গোঁজগুলোর বিশেষত্ব হলো, সেগুলো এক গোছা ফাইবার দিয়ে তৈরি, যেগুলো একবার ওপর, একবার নীচ দিয়ে যায়, ফলে পাখার স্থিতিশীলতা বৃ্দ্ধি পায়৷ স্টুটগার্টের কম্পিউটার ভিত্তিক ডিজাইন প্রতিষ্ঠানের স্থপতিরা পোকামাকড়ের পাখার এই নির্মাণপদ্ধতি খুঁটিয়ে দেখেছেন ও একটি টেকনিক্যাল প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যা জীববিজ্ঞানের এই বুনিয়াদি নীতির নকল করতে পারে৷ পোকামাকড়ের পাখা তৈরি হয় চিটিন দিয়ে; স্থপতিদের মডেলটি তৈরি হয়েছে কাচ আর কার্বনের ফাইবার দিয়ে৷ তবে যেমন পাখা, তেমন মডেল, দু'টোই যেমন হালকা, তেমন শক্তপোক্ত৷
স্টুটগার্টের এক কম্পিউটার ভিত্তিক ডিজাইন প্রতিষ্ঠানের কর্মী মরিৎস ড্যোর্স্টেলমান জানালেন, ‘‘আমরা পোকামাকড়দের হালকা কাঠামোর নীতিটা নির্মাণপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিয়ে আসতে চাই৷ এখানে দু'টি জিনিসে আমাদের আগ্রহ: প্রথমত, পাখারওপর থেকে নীচে একটানা ফাইবারের বাঁধন; দ্বিতীয়ত, জ্যামিতিকভাবে ব্যাঁকানো অংশটা, যা তার জ্যামিতির কারণে গোড়া থেকেই স্থিতিশীল৷''
কয়েকটি সেরা উদ্ভিদ ও প্রাণী
প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠন কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীকে সেরা নির্বাচিত করে, যেগুলো হুমকির মুখে রয়েছে এবং যাদের রক্ষা করা দরকার৷ ‘ফ্লোরা অ্যান্ড ফোনা ২০১৫’ তে কোন গাছ, ফুল ও পতঙ্গ সেরা খেতাব জিতল জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hummel
তিতলি
তিতলি বা প্রজাপতি প্রাণিজগতের অন্যতম সুন্দর পতঙ্গ হিসেবে পরিচিত৷ এই প্রজাপতিটিকে নির্বাচন করার পেছনে অবশ্য অন্য কারণ রয়েছে৷ এরা খাদ্যের জন্য পিপড়ার উপর নির্ভরশীল৷ পিপড়া মথে খাবার লুকিয়ে রাখে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে এই প্রজাপতিরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Schmitt
কচ্ছপ
২০১৫ সালের সেরা সরীসৃপ নির্বাচিত হয়েছে এই ইউরোপীয় কচ্ছপটি৷ জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে এই হলুদ ছোপ ছোপ কচ্ছপের দেখা পাওয়া যায়৷ এরা কেবল স্থির পানিতে থাকতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Robert Schlesinger
ম্যাপেল গাছ
এই গাছটি ম্যাপেল প্রজাতির৷ এ ধরনের গাছ শহরের বাইরে বা জঙ্গলে বেশি দেখা যায়৷ এই গাছের কাঠ খুব ভালো৷ তাই বলা হয় এটি কখনো প্রতারণা করে না৷ আর এজন্যই ২০১৫ সালের সেরা গাছ হিসেবে উঠে এসেছে এর নাম৷
ছবি: A. Roloff
প্রবাল
যদিও প্রবাল বা শৈলশিরা সমুদ্রের সাথে সম্পর্কিত৷ কিন্তু ‘মাশরুম ২০১৫’তে এদের নামই উঠে এসেছে৷ এখানে যে মাশরুমটিকে দেখা যাচ্ছে, সেটা অনেকটা মৃত গাছ থেকে জন্ম নেয়া ছত্রাকের মত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Theiß
বাজপাখি
রাজাওয়ালি প্রজাতির এই বাজ ২০১৫ সালের পাখি নির্বাচিত হয়েছে৷ এটি বিরল প্রজাতির এবং এ ধরনের পাখি শিকার ৭০ এর দশকে নিষিদ্ধ করা হলেও এখনো তা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jens Wolf
কাঁচামরিচ
২০১৫/১৬ বছরের সেরা সবজি নির্বাচিত হয়েছে কাঁচামরিচ৷ এটা বিভিন্ন রঙ ও বিভিন্ন ধরনের হয়৷ স্বাদের দিক থেকেও ভিন্নতা রয়েছে৷
ছবি: Getty Images
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ কাটতে হয়ত কেউ ভালোবাসেন না৷ কিন্তু পেঁয়াজের রোগ সারানোর ক্ষমতা আছে৷ তাই আরোগ্য উদ্ভিদের তালিকায় সেরা হয়েছে পেঁয়াজ৷ পেঁয়াজ যে-কোনো ধরনের ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/xalanx
ঔষধি উদ্ভিদ
হাইপেরিকাম পারফরেটুম এমন একটা উদ্ভিদ, যা মানুষের ভয় ও উত্তেজনা হ্রাস করে৷ এছাড়া হতাশা কমাতেও এর জুরি নেই৷ এছাড়া ক্যান্সার ও আলৎসহাইমার প্রতিরোধে ওষুধ হিসেবে এই উদ্ভিদটি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে৷ এ কারণে ‘ওষধি উদ্ভিদ ২০১৫’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hummel
ছোট্ট শামুক, দুর্দান্ত পারফর্মেন্স
এ ধরনের শামুক এখন প্রায় বিরল৷ এরা সাধারণত গুহা, খনিতে লুকিয়ে থাকে৷ তাই একে ‘অ্যানিমেল কেভ ২০১৫’ এর খেতাব দেয়া হয়েছে৷
ছবি: K. Bogon
লম্বা দৈর্ঘ্যের গোলাকার ফুল
এই ফুলের প্রধান দুটি রঙ বেগুনি ও নীল৷ কখনো কখনো গোলাপী রঙেরও হয়ে থাকে৷ তাই সাকসিসা নামের এই ফুলটিকে ২০১৫ সালের সেরা ফুলের খেতাব দেয়া হয়েছে৷ ইউরোপের জলাবনে এদের দেখতে পাওয়া যায়৷ চা হিসেবে এই ফুলের দারুণ কদর রয়েছে৷ এটি রক্ত বিশুদ্ধকরণ এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে৷
একটি রোবোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগুলো তৈরি করে৷ অংশটিকে পরে যেসব টান সহ্য করতে হবে, ঠিক সেইভাবে ফাইবারগুলো চলে গেছে৷ অংশটি আকৃতি পাচ্ছে ফাইবারগুলো যেভাবে বোনা হয়েছে, তা থেকে৷ ফাইবারের গোছাগুলোকে প্রথমে রজনে ভিজিয়ে নিয়ে পরে টান-টান করে বোনা হয়৷
এই নির্মাণপদ্ধতিতে মালমশলা কম লাগে, কেননা গোটা কাঠামোর ওপর যেখানে যেখানে টান অথবা চাপ সৃষ্টি হয়, ফাইবারগুলো ঠিক সেখান দিয়েই গেছে৷ ফলে গোটা অংশটার ওজনও কম হয়৷
মরিৎস ড্যোর্স্টেলমান বললেন, ‘‘বিভিন্ন ফাইবারের গোছা কিভাবে পরস্পরের ওপর দিয়ে চলে গেছে, তা এখানে খুব ভালোভাবে দেখা যায়৷ এগুলো বাস্তবে সুতোর মতো সরল রেখা হলেও, পরস্পরের চাপে বেঁকে গেছে, যা এখানে দেখা যাচ্ছে৷ এখানে যা শুরু হয়েছে, পরে তা থেকে ফাইবারগুলো আরো বেশি করে বেঁকে এই জ্যামিতিক আকার নিয়েছে৷''
এভাবে একটি কর্মক্ষম অথচ হালকা কাঠামো সৃষ্টি হয়েছে, যা একটা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের নির্মাণপদ্ধতির সূচনা ঘটাতে পারে৷