সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মৃত শিশুর জন্ম হয়৷ করোনার কারণে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ডাব্লিএইচও, ইউনিসেফ ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত বছর সারা বিশ্বে জন্ম নেওয়া মৃত শিশুদের চার জনের তিনজনই ছিল সাব সাহারা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে৷ বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একজন মা মৃত শিশুর জন্ম দেন৷ তবে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মায়ের যত্ন নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃত শিশুর জন্ম রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর৷ ডাব্লিউএইচও -র মতে, প্রসবের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় ৪০ভাগেরও বেশি মৃত শিশু জন্ম কমানো সম্ভব৷
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার গতি কমেছে৷ ফলে ১১৭টি উন্নয়ণশীল দেশে আগামী বছর দুই লাখ বেশি মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে রিপোর্টটিতে৷
এনএস/এসিবি (এপি)
ইয়েমেনের শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা কে দেবে?
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ২৪ লাখ হয়ে যাবে৷ অচিরেই তাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে তারা৷
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে তহবিলের অভাব হচ্ছে জাতিসংঘের৷ এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে পর্যাপ্ত সহায়তা করতে পারছে না তারা৷ বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা৷ শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে৷
ছবি: Save the Children/Sami Jassar
ইউনিসেফের রিপোর্ট
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাটির নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনে অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর সংখ্যা এ বছরের শেষ নাগাদ ২০ ভাগ বাড়বে৷ অর্থাৎ প্রায় ২৪ লাখ হবে, যদি না তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সাহায্য না পৌঁছে৷
প্রায় পাঁচ বছরের যুদ্ধে ইয়েমেন প্রায় বিধ্বস্ত৷ সেখানে মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত সৌদি আরব সমর্থিত সরকার ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা৷ এই ক’বছরে লাখো মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua/M. Mohammed
ত্রাণ সংকট
যেহেতু এই যুদ্ধ শেষ হবার নাম নেই, তাই জাতিসংঘ বলছে যে, তারা সহায়তার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ সেখানে কার্যক্রম চালাতে ইউনিসেফের প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন৷ এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি তহবিল হিসেবে আরো ৫.৩ কোটি ডলার প্রয়োজন তাদের৷ এখন পর্যন্ত যথাক্রমে এই দুই তহবিলের ৩৯ ভাগ ও ১০ ভাগ মিলেছে৷
ছবি: picture-lliance/Photoshot/M. Mohammed
শিশুশ্রম বৃদ্ধির ঝুঁকি
ইউনিসেফ বলছে, যুদ্ধের কারণে ৭৮ লাখ ইয়েমেনি শিশু স্কুলে যেতে পারছে না৷ তাদের শ্রমের দিকে ঠেলে দিয়ে এ অবস্থার ফায়দা লোটা হচ্ছে৷ শুধু শিশুশ্রমই নয়, এই শিশুরা বাল্যবিবাহ ও সশস্ত্র দলগুলোতে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে৷