ওসিকে সে রাতেই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

তবে প্রত্যাহারের একদিন পরেই প্রত্যাহার আদেশ বাতিল করে ওসি মিজানুর রহমানকে সোমবার (১৪ আগস্ট) দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়। 

সিংড়া উপজেলা চত্বরে আয়োজিত গণশুনানিতে জনসমক্ষে ওসির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি পুলিশ।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে ওসি মিজানুরকে দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবি জানায়। 

গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। 

সিংড়া উপজেলার শেরকোল এলাকার বাসিন্দা সাদেক আলী তার জমি দখলের বিষয়ে থানায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ার কথা জানালে প্রতিমন্ত্রী পলক ওসি মিজানুরকে এর ব্যাখা দেয়ার নির্দেশ দেন। 

ওসি মিজানুর হাইকোর্টের একটি আদেশের উল্লেখ করে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের কোন ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানালে প্রতিমন্ত্রী ক্ষুদ্ধ হন। তিনি বলেন "আমি একজন আইনজীবী এবং আইনপ্রণেতা। আমাকে আপনি হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন, আইনের বই দেখাচ্ছেন। তাহলে পুলিশের দরকার কী? আপনি আমাদের সহযোগিতা না করলে আমরাও সহযোগিতা করব না।” প্রতিমন্ত্রী গণশুনানির এই ভিডিও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও শেয়ার করেন। 

রোববার (১৩ আগস্ট) রাতেই নাটোরের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ওসি মিজানুর রহমানকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের আরেকটি আদেশে রাতের আদেশ প্রত্যাহার করে ওসিকে তার কর্মস্থলে পুনর্বহাল করেন। 

প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে। এতে কেউ মন খারাপ করলে সেটা ব্যক্তিগত বিষয়।    

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ডিএমপি থানার ওসি বিএম ফরমান আলী মনে করেন, ওসি মিজানুর যেসব কথা বলেছেন তা আইনগত জায়গা থেকেই বলেছেন। বিষয়টি আইজিপি কে জানালে আইজিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে ওসি মিজানুরকে প্রত্যাহারের আদেশ বাতিল করা হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা জানা সম্ভব হয়নি। 

এসএইচ/কেএম (ডেইলি স্টার বাংলা)