জার্মান রেল কোম্পানি ‘ডয়চে বান’ যাত্রীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় বাস চালু করেছে৷ তবে জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন মানুষ ঐ বাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
বাভারিয়া রাজ্যের পর্যটন এলাকা বাড বির্নবাখের আট কিলোমিটার রাস্তায় বুধবার এই বাস চলেছে৷ ইজেড১০ নামের ছোট্ট এই বাসে ছয় জনের বসার আসন আছে৷ দাঁড়ানো অবস্থায় আরও ছয় জন যাত্রী বাসটিতে উঠতে পারবেন৷
বাড বির্নবাখের বিভিন্ন স্পা থেকে যাত্রী নিয়ে বাসটি শহরের কেন্দ্র হয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছবে৷ যাত্রীরা বিনামূল্যে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন৷ ভবিষ্যতে জার্মানির অন্যান্য শহরেও এই ধরণের বাস চালুর পরিকল্পনা করছে ডয়চে বান৷ আগামী বছর হামবুর্গে তা শুরু হতে পারে৷ এছাড়া ভবিষ্যতে প্রাইভেট কার সার্ভিস হিসেবেও এই বাস চলতে পারে৷ অর্থাৎ রেলের কোনো যাত্রী আগে থেকে বুকিং দিলে এই বাস তাঁকে বাড়ি থেকে স্টেশনে পৌঁছে দেবে৷ প্রাথমিক পর্যায়ে বাসটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে চলবে৷
ভবিষ্যতে বিদ্যুৎচালিত পরিবহণের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দেয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে জার্মান রেল কোম্পানি ডয়চে বান ‘লকি’ নামের একটি সাবসিডিয়ারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করছে৷
বুধবার ইজেড১০ বাসের প্রথম যাত্রায় যাত্রী হিসেবে ছিলেন ডয়চে বান-এর প্রধান নির্বাহী রিচার্ড লুৎস৷
পেছনের কারিগর
চালকবিহীন বাস ইজেড১০ তৈরি করেছে ফরাসি স্টার্টআপ ‘ইজিমাইল’৷ সেন্সর থাকার কারণে এই বাস যাত্রাপথে কোনো বাধা পেলে ব্রেক কষতে পারে৷ তাছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন চলার পথে কেউ ভুল করে গাড়ি পার্ক করে রাখলে, একজন চালক জয়স্টিক দিয়ে ইজেড১০-এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন৷ জার্মানি ছাড়াও ইজেড১০ বাসটি সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের বিভিন্ন শহরে সীমিত পরিসরে চলাচল করছে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)
এপ্রিলের এই ছবিঘরটি দেখুন...
শাংহাই মোটর শো মানে ইলেকট্রোমোবিলিটি
শাংহাই মোটর শো আজ খুব সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোটরগাড়ির প্রদর্শনী৷ সেখানে এবার জোর দেওয়া হয়েছে ব্যাটারিতে চলা এবং নেটওয়ার্কে সংযুক্ত গাড়ির উপর৷
ছবি: Reuters/A. Song
মার্সিডিজ এস-ক্লাসের নতুন চেহারা
জার্মানির অন্যতম গাড়ি নির্মাতার নতুন তুরুপের তাস হলa মার্সিডিজ এস-ক্লাসের নব্য সংস্করণ, যাতে নানা ধরনের নতুন ‘সিস্টেম’ যোগ করা হয়েছে৷ চেহারার দিক দিয়ে প্রথমেই চোখে পড়বে বাম্পার আর রেডিয়েটরের গ্রিলের পরিবর্তন৷
ছবি: Daimler AG
নিও
‘‘নতুন ধরনের গাড়ি যে আসলে চীন থেকে আসে, শাংহাই মোটর শো সেটাই প্রমাণ করল’’, বলেছেন মোটর শিল্পের বিশেষজ্ঞ ফ্যার্ডিনান্ড ডুডেনহ্যোফার৷ চীনের ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ‘নিও’ তার একটি নিদর্শন৷ স্টার্ট-আপটি দু’বছর আগে ‘নেক্সটইভি’ নাম নিয়ে কাজ শুরু করে৷ তাদের কাজ হলো, মিউনিখের ডিজাইনের সঙ্গে সিলিকন ভ্যালির টেকনোলজি যোগ করা৷ এবার তারা নতুন নামে মাঠে নামছে বাজার মাত করতে৷
ছবি: Nio
লিংক অ্যান্ড কো
লিংক অ্যান্ড কো হলো চীনের সুবিশাল ‘জিলি’ কোম্পানির নতুন শাখা৷ লিংক অ্যান্ড কো ২০১৮ সাল থেকে ইউরোপে তাদের গাড়ি বিক্রি করতে চায় – শুধুমাত্র অনলাইন সেলসের মাধ্যমে, টেসলা যেমন ইতিমধ্যেই করেছে৷
ছবি: Lynk&Co
ভিডাব্লিউ আই.ডি. ক্রজ
ফল্কসভাগেন সংস্থাও হাওয়া বুঝেছে এবং এক পর্যায় নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে৷ শাংহাইতে তাদের নতুন আই.ডি. ক্রজ ব্র্যান্ডকে প্রথমবারের মতো পেশ করা হলো৷ কুপে আর এসইউভি-র মিশ্রণ এই ইলেকট্রিক চালিত চার দরজার গাড়িটির প্রোডাকশান শুরু হবে ২০২০ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
স্কোডা স্টাডি ভিশন ই
ফল্কসভাগেন গ্রুপের সাবসিডিয়ারি স্কোডা-ও এই প্রথমবার শাংহাইতে একটি ইলেকট্রিক এসইউভি-র মডেল দেখিয়েছে৷ স্কোডা এই মডেলটির নাম রেখেছে স্টাডি ভিশন ই, এছাড়া স্কোডা আরেকটি ইলেকট্রিক এসইউভি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে, যা ৫০০ কিলোমিটার অবধি যেতে পারবে৷ এগুলি সবই ফল্কসভাগেনের এমইবি বা মডিউলার ইলেকট্রিফিকেশন টুলকিট অনুযায়ী তৈরি হবে৷
ছবি: Škoda Auto
আউডি এক্স১৭ বিইভি কুপে
এই প্রিমিয়াম এসইউভি গাড়িটিও ফল্কসভাগেনের এমইবি প্ল্যাটফর্মের ভিত্তিতে তৈরি হবে – যা নাকি এককালে ফল্কসভাগেনের বিটল মডেল থেকে গল্ফ মডেলে উত্তরণের মতো এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে, বলছেন সংস্থার কর্মকর্তারা৷
ছবি: Audi AG
বুইক ভেলাইট ৫
চীন-মার্কিন গাড়ি নির্মাতা এসএআইসি-জিএম তাদের প্রথম বুইক নামধারী মডেলটিকে দেখিয়েছে শাংহাই মোটর শো-তে৷ এটি একটি প্লাগ-ইন হাইব্রিড ড্রাইভ সংযুক্ত লিমুজিন৷ চীনে যতো ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়, তা বাকি বিশ্বের সমান৷ এর একটি কারণ, চীন সরকার শহরগুলিতে ধোঁয়াশা কমাতে চান; দ্বিতীয়ত, পরিবেশবান্ধব পথ-পরিবহণের ক্ষেত্রে চীনকে বিশ্বের বৃহত্তম বাজার করে তুলতে চান৷
ছবি: Picture-Alliance/AP Photo/N. H. Guan
চীনে গাড়ির চাহিদা
কিছু পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে চীনে প্যাসেঞ্জার মোটরগাড়ির বিক্রি দাঁড়াবে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি – যা কিনা বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখ৷ এর অর্থ, গাড়ি বিক্রি বাড়বে বছরে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হারে৷ অর্থাৎ বিশ্বে যতো নতুন গাড়ি বিক্রি হয়, ২০২৫ সালে তার এক-তৃতীয়াংশ বিক্রি হবে চীনে, যেখানে ২০০৫ সালে চীন ছিল বিশ্বব্যাপী গাড়ির বাজারের মাত্র ছয় শতাংশ৷