1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গরুর মালিক নিজেই গরু

১৯ নভেম্বর ২০১৩

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে আলোচনা শেষই হচ্ছে না৷ প্রথম আলো পত্রিকাতে কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্যের একটি কার্টুন নিয়ে ব্যাপক হইচই হচ্ছে৷ ঐ কার্টুন নিয়েই ব্লগে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷

Dhaka, BANGLADESH: (FILES) In this picture taken 25 August 2000, Bangladesh's deposed president Hussain Muhammad Ershad receives flowers from a supporter after Friday noon prayers in Dhaka. A court in the Bangladesh capital 17 September 2006, has cleared former military dictator Ershad of corruption charges that have been pending for 15 years, a public prosecutor said.The not guilty verdict was handed down by a Dhaka court amid media reports that such a decision would pave the way for an alliance between Ershad and Prime Minister Khaleda Zia's four-party coalition government ahead of national polls in January 2007.The case, lodged by the now defunct Anti-Corruption Bureau in 1991, alleged that Ershad used his power to give 49 residential plots to ministers, politicians, journalists and film stars. AFP PHOTO/Jewel SAMAD/FILES (Photo credit should read JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images)
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

সামহয়্যার ইন ব্লগে মোহাম্মদ সামছুল আলম কার্টুনটি যুক্ত করে শিরোনাম দিয়েছেন, ‘অবশেষে চড়া দামে বিক্রি হলো লেজেহোমো'৷ তিনি লিখেছেন, ছবিটি দেখে একটুও অবাক হননি তিনি৷ ‘‘আপনার গরু যদি দিন শেষে আপনিই কিনে নেন, তাতে আর কি ই বা বলার থাকতে পারে?'' আরো লিখেছেন, ঘাপলাটা বাঁধে সেখানেই যখন আপনার নিজের গরু আপনাকেই চড়া দামে কিনতে হয় তখন৷ সামছুল আলম লিখেছেন, ‘‘এই গরুটার সাথে তার বর্তমান মালিকের কখনোই ছাড়াছাড়ি হয়নি৷ তবে পার্থক্য এই যে ৮৬ তে গরু নিজেই মালিক ছিল৷ পরে ৯৬ এবং ২০০৭ এ মালিক গরু আর গরু মালিক হয়েছে৷''

এদিকে ফেসবুকে এরশাদকে নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকার শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনের নীচেও অনেকে মন্তব্য করেছেন৷ প্রতিবেদনটির শিরোনাম, ‘নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে: এরশাদ'৷ আসলামুর রহমান লিখেছেন, ‘‘ইতিহাসে মীর জাফরের পর এরশাদের নাম লেখা থাকবে''৷ মাসবাহুল ইসলাম মেজবা লিখেছেন, ‘‘নিজের গায়ে থুথু নিতেই উনার যত উল্টাপাল্টা কাজকর্ম৷ এরকম অথর্ব রাজনীতিবিদ দেশে আর দু'একটা থাকলে অনেক আগেই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত৷ এরশাদ সাহেবের স্মৃতিভ্রম হয়েছে৷ পূর্বের বক্তব্য ছিল মহাজোটের সাথে নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুথু দেবে, আর এখন বলছেন নির্বাচনে না গেলে মানুষ আমাকে থুথু দিবে৷''

মুরাদুল আলম এর মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতার স্বাদ একবার যে পেয়েছে, তার নেশা সকল নেশার চেয়েও তীব্র৷ এই এরশাদ একসময় আটরশির মুরিদ হয়ে সকল মোসাহেবদের অনুগামী করে৷ আটরশির নেশা কেটে যাওয়ার পরে চরমোনাইর মুরিদ হয়৷ তাতেও সুফলতা না মেলায় হন্যে হয়ে এরশাদ শেষ ভরসা হেফাজতে ইসলাম এর প্রধানকে মনোবাঞ্ছা পূরণের হাতিয়ার বানাতে আপ্রাণ কসরত করে৷ এরপরেও আওয়ামী লীগের পা চাটা পদ তো আছেই!!''

তবে এরশাদের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জনি চৌধুরী৷ মোহাম্মদ খোকন লিখেছেন, ‘‘অতিকথনের ফলে এরশাদ বিতর্কিত হয়েছেন৷ তিনি যদি একটু চুপ থাকতেন তাহলে মানুষ এতো কথা বলতো না তাঁকে নিয়ে৷ তিনি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে ভাল করেছেন তাঁর দলের জন্য কারণ এতগুলি মন্ত্রী তিনি কখনোই বানাতে পারতেন না৷ এটা তাঁর দলকে আরো শক্তিশালী করবে৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ