1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিলামে প্রথম অ্যাপল কম্পিউটার

২৪ জুন ২০১৩

নিলামের ডাক শুরু হবে তিন লাখ ডলার থেকে, তবে দর উঠবে পাঁচ লাখ অবধি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ দু’জন কলেজ-পালানো তরুণের তৈরি কম্পিউটার৷ তাঁদের একজনের নাম ছিল স্টিভ জবস এবং অন্যজন স্টিভ ওয়জনিয়াক৷

A customer (L) is greeted by Apple employees as she enters the Hong Kong Apple store to get an iPhone 5 on September 21, 2012. Apple's iPhone 5 hit stores in Hong Kong with queues of devotees undeterred by a lukewarm welcome from experts for the smartphone and complaints about its new mapping system. AFP PHOTO / Philippe Lopez (Photo credit should read PHILIPPE LOPEZ/AFP/Getty Images)
ছবি: Philippe Lopez/AFP/Getty Images

১৯৭৬ সালে তৈরি এই অ্যাপল ওয়ান কম্পিউটার ছিল আজকের ম্যাকবুক, আইপ্যাড, আইফোনদের পূর্বসূরি৷ এই ধরনের কম্পিউটার মাত্র দু'শোটা তৈরি হয়েছিল৷ সে আমলে দাম রাখা হয়েছিল ছ'শো ছেষট্টি ডলার ছেষট্টি সেন্ট৷ এক টুকরো সবুজ প্লাস্টিকের উপর তামার রঙের মেমরি চিপগুলোর একটা জগাখিচুড়ি৷ কম্পিউটারও নয়, নানা তার বেরিয়ে থাকা একটা মাদারবোর্ড৷

আদত অ্যাপল ওয়ানগুলোর অধিকাংশ কবেই ইলেক্ট্রনিক জাঙ্ক হয়ে গিয়েছে৷ শোনা যায়, এখনও নাকি ৩০ থেকে ৫০টা অ্যাপল ওয়ান এখানে সেখানে ‘বেঁচে' রয়েছে৷ তাদেরই একটি এবার নিলাম করতে চলেছে ক্রিস্টিজ নিলাম সংস্থা৷ এই কম্পিউটারটি ছিল টেড পেরির কাছে, যিনি পেশায় ছিলেন একটি স্কুলের স্টাফ সাইকোলজিস্ট৷ এখন অবসর নিয়েছেন৷ ক্যালিফর্নিয়ার সাক্রামেন্টোর কাছে তাঁর বাড়িতে একটি পিচবোর্ডের বাক্সে এই সোনার ‘অ্যাপল'-টি রাখা ছিল৷

অ্যাপল টু হাতে স্টিভ জবসছবি: dapd

আট কিলোবাইট মেমরি!

অ্যাপল ওয়ানের ছিল আট কিলোবাইট মেমরি, যে তুলনায় আজকের একটা সাধারণ কম্পিউটারের মেমরি প্রায় দশ লাখ গুণ বেশি৷ কিন্তু অ্যাপল ওয়ান তো আর কম্পিউটার নয়, অ্যাপল ওয়ান হলো ইতিহাস৷ ২০১১ সালের অক্টোবরে স্টিভ জবস মারা যাবার পর ভিন্টেজ অ্যাপল প্রোডাক্টগুলির দাম বেড়েই চলেছে৷ গত বছর সথবিজ নিলাম সংস্থা একটি অ্যাপল ওয়ান বেচে প্রায় চার লাখ ডলারে৷ গত নভেম্বরে আরেকটি অ্যাপল ওয়ান নিলাম হয় ছ'লাখ চল্লিশ হাজার ডলারে৷ গতমাসে আরেকটি অ্যাপল ওয়ান সে রেকর্ড ভাঙে ছ'লাখ একাত্তর হাজার ডলার দর তুলে৷

সোমবার ২৪শে জুন থেকে শুরু করে ৯ই জুলাই পর্যন্ত অনলাইন নিলাম চলবে৷ অ্যাপল ওয়ানটিকে দেখা যাবে স্যান ফ্রান্সিস্কোর কাছে মাউন্টেন ভিউ-এর কম্পিউটার হিস্ট্রি মিউজিয়ামে৷ অদৃশ্য থেকে যাবে তার অমূল্য ইতিহাস, যদিও অশ্রুত নয়, কেননা আজ ৭০ বছর বয়সের পেরি নিজেই শুনিয়েছেন সে ইতিহাস৷ ১৯৭৯ অথবা ১৯৮০ সালে তিনি একটি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দেখার পর অ্যাপলওয়ানটি কেনেন – মালিককে তাঁর নিজস্ব কিছু কম্পিউটার সরঞ্জাম দিয়ে বদলাবদলি করে নেন৷ নগদ মূল্য কিছুই দিতে হয়নি৷

মানবিক মূল্য

অ্যাপল ওয়ানটির মানবিক ও শিক্ষাগত মূল্য বোঝা যাবে পেরির বাকি কাহিনি থেকে৷ সে সময় তিনি মনস্তত্ববিদ হিসেবে একটি স্কুলে কাজ করছিলেন৷ প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি খেয়াল করেন, কিভাবে একটি টেলিটাইপ মেশিন একটি বধির ছেলেকে পড়তে-শিখতে সাহায্য করে৷

অ্যাপলছবি: picture alliance / ZUMA Press

প্রথম কম্পিউটারগুলি বাজারে আসার পর পেরি সেগুলিকে প্রোগ্রাম করতে শেখেন৷ তারপর তিনি খোদ স্টিভ ওয়জনিয়াকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ ওয়জনিয়াক পেরিকে অ্যাপল-এর ‘ইন্টারনাল কোড' দিতে রাজি হন, যা-তে পেরি এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ' পাঠের পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেন৷

পেরির অ্যাপল ওয়ানের মাদারবোর্ডটাই শুধু আদত৷ কিবোর্ড, মনিটর, ক্যাসেট টেপ ডেক ইত্যাদি পরে যোগ করা হয়েছে৷ তবে কম্পিউটারটি আজও কাজ করে, এবং তা সেই আদত চিপগুলো দিয়েই৷ আরো আদত হলো কম্পিউটারটির, মানব প্রগতির, মানব প্রযুক্তির, মানবিকতার অগ্রযাত্রার ইতিহাস, কোনো নিলামেই যার সঠিক মূল্য কোনোদিন নির্ধারিত হবে না৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ