1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে ইরান

৭ নভেম্বর ২০১৩

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ছয় জাতির সঙ্গে তেহরানের আলোচনা শুরু হয়েছে৷ দুদিনের এই আলোচনায় অবরোধ শিথিলের ব্যাপারে চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনাছবি: Fars

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসেছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির প্রতিনিধিরা৷ প্রথম দিনের আলোচনায় এই ছয়টি দেশ ইরানকে তাদের যে সব দাবি জানিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে তেহরান থেকে সমৃদ্ধ সব ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলা, অস্ত্র তৈরির জন্য ২০ ভাগ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ বন্ধ করা, কোম-এ ভূ-গর্ভস্থ পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ এবং প্লুটোনিয়াম চুল্লির নির্মাণ কাজ বন্ধ করা৷ এছাড়া জাতিসংঘ পারমাণবিক সংস্থা আইএইএ যাতে শিগগিরই ইরানের ঘোষিত সব পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি পায়, সে ব্যবস্থা করার দাবিও জানিয়েছে ছয়টি দেশের প্রতিনিধিরা৷

বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের আলোচনা শুরু পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, জেনেভা আলোচনায় দেশের পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুটি জটিল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে জারিফ একথা লিখেছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক ক্যাথরিন অ্যাশটন, যিনি এই ছয় জাতি আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে আলোচনা করেছেন জারিফ৷ অ্যাশটনের মুখপাত্র মাইকেল মান জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্ব বেশ একরোখা তাই আলোচনা বেশ জটিল এবং কঠিন পথে এগোচ্ছে৷

ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক ক্যাথরিন অ্যাশটন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফছবি: Reuters

এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ব্রিটেন চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসেছে ইরান৷ মঙ্গলবার ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর টেলিভিশন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে জারিফ জানিয়েছিলেন, এ সপ্তাহে বিশ্ব নেতারা ইরানের অবরোধ শিথিলের ব্যাপারে কোন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন৷

এদিকে, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ইরানের প্রতি চাপ আরো বাড়িয়েছে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন আলোচক ওয়েন্ডি সারমান সমস্যা সমাধানের পথে এই আলোচনাকে প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, অবরোধ শিথিল করতে ওয়াশিংটন ইরানকে সীমিত ও ক্ষণস্থায়ী কোনো প্রস্তাব দিতে পারে৷ তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত আলোচকরা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি৷ কেননা দুপক্ষের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা মেটানো বেশ কঠিন৷

ওয়েন্ডি বলেন, প্রথম ধাপে তারা দেখতে চান, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে একটা বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইরান এমন কোন পদক্ষেপ নিবে যা গত কয়েক দশকে করেনি৷

এবারও ইসরায়েল ইরানের সাথে কোন ধরনের আলোচনার বিরোধিতা করেছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের যুক্তি হল এই ছয়টি দেশ তাদের অবস্থানে বেশ শক্তিশালী, কারণ ইরানে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা ঐ দেশকে কোণঠাসা করেছে এবং তাদের সেই সামর্থ্য আছে আরাক পারমাণবিক স্থাপনায় সব সমৃদ্ধকরণ ইউরেনিয়াম জব্দ করে ঐ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ার৷

পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের মাথাব্যথার কারণ ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি এবং এর ফলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা৷ তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে একমাত্র জ্বালানি উৎপাদন এবং গবেষণার জন্যই তাদের এই কর্মসূচি৷

এপিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ