জার্মানির অন্যতম জনবিরল এক রাজ্যের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নজর কাড়তে পারে, এমনটা ভাবা কঠিন৷ কিন্তু সারলান্ড রাজ্যে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের জয়কে আগামী দিনের সংকেত হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক৷
পরপর ৩ বার তিনি সহজেই সরকার গড়তে পেরেছেন৷ কিন্তু এবার তাঁর প্রতিপক্ষ জনমত সমীক্ষায় বেশ এগিয়ে গেছেন৷ সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিডি-র চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী মার্টিন শুলৎস ম্যার্কেলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারেন৷ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন দুই শিবিরের শক্তির রসায়ন স্থির করে দেবে বলে অনেকে মনে করছেন৷ সারলান্ড রাজ্যের নির্বাচনে সিডিইউ দল ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারলেন ম্যার্কেল৷ প্রতিদ্বন্দ্বী শুলৎস পরাজয় মেনে নিয়ে সিডিইউ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত ম্যার্কেলের শিবির এই সাফল্য ধরে রাখতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়৷ বিশেষ করে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে আগামী মে মাসের নির্বাচনে এসপিডি দলের জয়ের সম্ভাবনা এখনো উজ্জ্বল৷ সাধারণ নির্বাচনে জোটের সমীকরণের উপর আগামী সরকার গড়ার চাবিকাঠি নির্ভর করে৷ এখনো পর্যন্ত বিতর্কিত বাম দল ‘ডি লিংকে' অচ্ছুৎ হয়ে ছিল৷ ফেডারেল স্তরে এসপিডি দল তাদের সঙ্গে জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে এসেছে৷ এবার সেই ছুৎমার্গ ত্যাগ করলে বার্লিনে এসপিডি ও সবুজ দলের সঙ্গে বামেরা যোগ দিলে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে৷ তবে ভোটাররা এমন সম্ভাব্য জোট কীভাবে দেখবেন, তা বলা কঠিন৷
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷