‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্মিত এবং আতঙ্কিত হয়েছি'
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে নানামুখী সমালোচনার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বদলে, বিষয়টি ‘যুগ যুগ ধরে চলে আসছে' বলে যেন দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক ইটালি সফর নিয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে সংবাদ সম্মেলনে শুধু ওই সফর নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি৷ বর্তমানে প্রায় সব পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন আগেই ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেখুন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, এটা কোনো নতুন কিছু না, এটা কিন্তু সব সময় যুগ যুগ ধরেই চলে এবং কখনও প্রচার হয়, কখনও প্রচার হয় না, এটা হলো বাস্তবতা৷''
প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে তাদের শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব জনগণের বা সাংবাদিকদের নয়, সেটা পুলিশের দায়িত্ব৷ আর এক্ষেত্রে সরকারের সক্রিয় হওয়া জরুরি৷
বর্তমানে একটি বেসরকারি উন্নয়নসংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক শরিফুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কথায় আমি হতবাক৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আপনি আজ যা বলেছেন, তাতে আমি বিস্মিত৷ জানি না কারা আপনাকে কী বুঝিয়েছে৷ বাম থেকে আসা এই শিক্ষামন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রী আপনার সব অর্জনকে ডুবিয়ে দেবে৷ আপনি কী করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দেন, তাদের শাস্তি দেবো? এই কাজটা তো আপনার করার কথা৷''
শিক্ষার্থীদের চোখে শিক্ষকদের মর্যাদা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কেমন চোখে দেখেন? ঢাকার কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে সেটিই জানতে চেয়েছিলেন আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন৷
ছবি: DW/M. Mamun
অনন্ত সাদ
ঢাকা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী অনন্ত সাদ একজন শিক্ষকের ছেলে৷ তাঁর মতে, ‘‘মাতা-পিতার পরেই যাঁদের স্থান তাঁরাই হলেন শিক্ষক৷ আর এটা আমরা শিখেছি পরিবার থেকেই৷ শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে যতই রাগারাগি করেন না কেন সেটা আমাদের ভালোর জন্যই করে থাকেন৷ আমার বাবাও একজন শিক্ষক এবং তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে শিক্ষকদের সম্মান করতে হয়৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
কাজী ফয়সাল আরেফিন
তিনিও ঢাকার নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী৷ তিনি মনে করেন, শিক্ষকদের সম্মান সবার উপরে৷ তাই শুধু ছাত্রদের নয়, সবারই উচিত শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান করা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মোহাম্মদ নাঈম
ঢাকার নটরডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাঈম৷ তাঁর মতে, ‘‘শিক্ষক হলেন আমাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার কারিগর৷ সেই শিক্ষকদের যদি সম্মান করা না হয় তাহলে আমাদের উন্নতি সম্ভব নয়৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
সুজানা জাহিদ
ঢাকার আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী সুজানা জাহিদ মনে করেন, শিক্ষকরা বাবা-মায়ের মতোই৷ সুজানা জানালেন, বাবা মা-কে যতটা সম্মান করেন, ঠিক ততটাই সম্মান করেন তিনি শিক্ষকদের৷
ছবি: DW/M. Mamun
মুনিয়া
ঢাকার মতিঝিল মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনিয়া শিক্ষকদের পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবেই দেখেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
সারজিমা হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষার্থী সারজিমা হোসেন তৃমার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক৷ তাঁর মতে, ‘‘আমাদের সমাজে বর্তমানে শিক্ষকদের সম্মান অনেক কমে গেছে৷ তবে আমরা সবসময়ই শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে থাকি৷ আরেকটা বিষয় হলো, রাজনৈতিকভাবে শিক্ষদের অনেক হেয়, অসম্মান করা হয় যেটা বন্ধ হওয়া উচিত৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
মেহনাজ জাহান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের আরেক শিক্ষার্থী মেহনাজ জাহান বলেন, ‘‘শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন৷’’ তাঁর মতে, শিক্ষকরা একেকজন পিতা-মাতা৷ সুতরাং তাঁরা যদি কোনো ভুলও করে থাকেন সেজন্য তাঁদের কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না৷ ‘‘আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে সামান্য কিছু হলেও আমরা তাঁদের কাছে শিখেছি,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ইফতেখার ইসলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার ইসলাম৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের হাত ধরে এতদূর এসেছি, তাঁরাই হলেন আমাদের শিক্ষক৷ তাই তাঁদের সম্মান সবার আগে৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
মাহবুবুর রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান৷ তাঁর মতে, বাবা-মা কোনো ভুল করলে যেমন আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে যেতে পারিনা, তেমনি শিক্ষকরাও ভুল করলে তাঁদের অসম্মান করতে পারিনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
তাহমিদ ইবনে আলম
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্যের শিক্ষার্থী৷ তাঁর মতে, শিক্ষকরা হাতে ধরে সবকিছু শিক্ষা দেন, সুতরাং তাঁদের সম্মান সবার আগে৷ কোনো শিক্ষার্থীরই উচিত হবে না শিক্ষকদের অসম্মান করা৷
ছবি: DW/M. Mamun
10 ছবি1 | 10
তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বারবার দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে৷ কোথায় সমস্যার সমাধান করবেন, না পারলে নিদেনপক্ষে ‘স্যরি' বলবেন, তা না, উল্টো দায় এড়াচ্ছেন৷''
পরীক্ষার অল্প কিছু সময় আগে প্রশ্ন ফাঁস হয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে বই খুলে উত্তর বের করা, ওখানে বেশ কয়েকশ' উত্তর থাকে, সেখান থেকে কয়েকটা আসে৷ উত্তরটা সে খুঁজে বের করে কীভাবে? এ কথাটার উত্তর কেউ দিতে পারবে কিনা, তা জানার আছে৷ এত ট্যালেন্ট এমন ফটোজেনিক (ফটোগ্রাফিক) মেমোরি কার আছে?'' বলাবাহুল্য, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য অনেকের পক্ষেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি৷ সালাউদ্দিন চৌধুরী কচি নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এ সংক্রান্ত খবর শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘এটা গ্রহণ করতে পারছি না, প্রধানমন্ত্রী৷ আমি আপনাকে এবং আপনার নেতৃত্বকে অত্যন্ত পছন্দ করি৷ কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ দয়া করে দেশটিকে তথাকথিত জিপিএ ৫ এবং অন্যান্য অপরাধ থেকে বাঁচান৷''
সৈকত রুশদী নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘‘শিরে হৈলে সর্পদংশন তাগা বাধিবি কুথা?' লিখেছিলেন, তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়৷ স্পষ্টতই পচন যখন মাথায় ধরে তখন দেহ বাঁচানোর আর কোনো উপায় থাকে না!''
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ প্রতিবছর ‘গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট’ প্রকাশ করে৷ শিক্ষা সহ ১২টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশগুলোর তালিকা তৈরি করে সংগঠনটি৷ ছবিঘরটি শিক্ষা বিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Simin Wang
নবম: জাপান (৫.৬)
সাহিত্য, বিজ্ঞান ও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে ওইসিডি দেশগুলোর মধ্যে জাপানের বেশ নামডাক আছে৷ সেখানকার শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে ছয় বছর৷ তারপর তিন বছর জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ালেখা শেষ করে আরও তিনবছর হাইস্কুলে যায়৷ এরপর আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়৷
ছবি: Reuters/T. Hanai
নবম: বার্বাডোজ (৫.৬)
সরকারের বিপুল বিনিয়োগের কারণে সেদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ৷ বার্বাডোজের বেশিরভাগ স্কুলই সরকারি৷
ছবি: picture alliance/robertharding/H.-P. Merten
নবম: নিউজিল্যান্ড (৫.৬)
তিন ধরনের মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেখানে৷ এর মধ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে পড়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী৷ আর সরকারিকৃত (বেসরকারিভাবে পরিচালিত) স্কুলে পড়ে ১২ শতাংশ৷ বাকি তিন শতাংশ যায় বেসরকারি স্কুলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অষ্টম: এস্তোনিয়া (৫.৭)
২০১৫ সালে জিডিপির প্রায় চার শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করেছিল দেশটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V.Kalnina
ষষ্ঠ: আয়ারল্যান্ড (৫.৮)
দেশটির মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হলেও অর্থ দিয়ে থাকে সরকার৷ এছাড়া আছে সরকারি কারিগরী বিদ্যালয়৷
ছবি: privat
ষষ্ঠ: কাতার (৫.৮)
‘ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করছে দেশটি৷ সরকারি স্কুলগুলোতে কাতারের নাগরিকদের সন্তানরা বিনামূল্যে পড়ালেখা করতে পারে৷ আর বিদেশিরা তাঁদের সন্তানদের পাঠান বেসরকারি স্কুলে৷
ছবি: imago/imagebroker
পঞ্চম: নেদারল্যান্ডস (৫.৯)
২০১৩ সালে ইউনিসেফ-এর এক প্রতিবেদন বলছে, নেদারল্যান্ডসের শিশুরা সবচেয়ে বেশি সুখি জীবন কাটায়৷ মাধ্যমিক পর্যায়ের আগে স্কুলে শিশুদের কোনো বাড়ির কাজ দেয়া হয় না৷ তাছাড়া লেখাপড়া করতে শিশুদের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয় না৷
ছবি: AFP/Getty Images/C. van der Veen
চতুর্থ: সিঙ্গাপুর (৬.১)
বিজ্ঞান, রিডিং ও গণিত বিষয়ে বিভিন্ন দেশের ১৫ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ের পদ্ধতি হচ্ছে ‘পিসা’৷ এই তালিকায় সিঙ্গাপুরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ভালো করে থাকে৷ তবে সে দেশে শিক্ষার্থীদের বেশ চাপে রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দ্বিতীয়: বেলজিয়াম (৬.২)
মাধ্যমিক পর্যায়ে চার ধরনের স্কুল আছে – সাধারণ স্কুল, কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্ট স্কুল৷ ছবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/T. Schulz
দ্বিতীয়: সুইজারল্যান্ড (৬.২)
প্রাথমিক পর্যায়ের পর শিশুদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের স্কুলে পাঠানো হয়৷ অঞ্চলভেদে জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইটালীয় ভাষায় শিক্ষা দেয়া হয়৷
ছবি: Imago
প্রথম: ফিনল্যান্ড (৬.৭)
বিশ্বের সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার এই দেশে শিক্ষার্থীদের খুব বেশি হোমওয়ার্ক করতে হয় না৷ ১৬ বছর বয়সে গিয়ে মাত্র একটি বাধ্যতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়৷ আরও জানতে উপরের (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Wennström
11 ছবি1 | 11
আর এস এম উত্তম মনে করেন, ‘‘ প্রশ্ন ফাঁস কোনোব্যাপার না!!! ভোটে পাশ করতে যেমন যোগ্যতা লাগে না, পরীক্ষায় পাশ করতেও তেমনি মেধা লাগে না!!!''
শেখ হাসিনা প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যবস্থা নেয়ার বদলে দৃশ্যত সেটিকে গুরুত্বহীন এক বিষয় হিসেবে তুলে ধরায় অনেকে আতঙ্কিতও হয়েছেন৷ সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা এই বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ক বক্তব্যে একই সঙ্গে বিস্মিত এবং আতঙ্কিত হয়েছি৷ বিস্মিত এ কারণে যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তার কাছে হয়ত প্রশ্ন ফাঁসের সঠিক সংবাদ পৌঁছাচ্ছে না৷''
‘‘প্রশ্ন যে শুধু ২০ মিনিট বা ১ ঘন্টা আগেই ফাঁস হচ্ছে না, একদিন বা আরও আগে ফাঁস হচ্ছে- সেই তথ্য প্রধানমন্ত্রী জানছেন না৷ একাত্তর টেলিভিশন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যে আগের রাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন প্রকাশ করে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তা-ও জানছেন না৷''
তিনি লেখেছেন, ‘‘আতঙ্কিত এ কারণে যে, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন ফাঁসসহ শিক্ষাক্ষেত্রের যাবতীয় অপকর্ম জাস্টিফাই করা হলো৷''