1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১ জানুয়ারি ২০১৪

সংসদীয় নির্বাচনের মুখে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর ডাকা ৩রা জানুয়ারির বিশেষ সংবাদ সম্মেলন উস্কে দিয়েছে তাঁর পদত্যাগের জল্পনা৷ অবশ্য ঐ জল্পনা খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয় যে, এটা নিছকই মিডিয়ার মনগড়া৷

ছবি: AFP/Getty Images

নতুন বছরে দেশ পাচ্ছে নতুন প্রধানমন্ত্রী, এমন একটা জল্পনা উস্কে দিয়েছে আগামী ৩রা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর ডাকা পূর্ণাঙ্গ সংবাদ সম্মেলন৷ গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. মনমোহন সিং-এর এটাই হবে তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন৷

এক জাতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রের খবর অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী ড. সিং ঐ সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বর্তমান কার্যকাল শেষ হবার আগেই হয়ত নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর জন্য জায়গা ছেড়ে দেবার কথা বলবেন৷

২০১৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে কোণঠাসা কংগ্রেসকে চাঙ্গা করে তুলতে ড. সিং ইতিমধ্যেই নাকি দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন৷ এমনও নাকি শোনা গেছে যে, তিনি ২০১৪ সালের সংসদীয় ভোটে না দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে চান৷

প্রশ্ন হলো, প্রধানমন্ত্রীর কেন এই বৈরাগ্য? কারণ একাধিক৷ লাগাতার দুর্নীতি ও প্রশাসনের অকর্মণ্যতায় সাধারণ মানুষের কাছে কংগ্রেস-জোট সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন তলানিতে৷ ভেঙে পড়েছে দলের নেতা কর্মীদের মনোবল৷ তারই প্রতিফলন হালের নির্বাচন৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল৷ সংগঠনের দিক থেকে কংগ্রেস এখন দিশাহীন৷

তা রাহুল কী পারবে দলের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে? রাহুল কিন্তু নিজে কিছু বলছেন না৷ দলের নেতা ও মন্ত্রীদের অনৈতিক কাজকর্মে নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন৷ যেমন, সরকারের আনা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলা, মহারাষ্ট্রে আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারি সম্পর্কে কংগ্রেস জোট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করা৷ রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, রাহুল আপাতত দলের বিবেক হয়ে থাকার পক্ষপাতি যাতে দলের নেতিবাচক ছবিটা পালটানো যায়, অন্তত ভোটের আগে৷

রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর মুখ করলেই যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে?ছবি: Tauseef Mustafa/AFP/Getty Images

এরই প্রেক্ষিতে সব জল্পনায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, এই সব জল্পনা মিডিয়ার মনগড়া৷ এর কোনো ভিত্তি নেই৷ প্রধানমন্ত্রী ড. সিং তার দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করবেন৷ আর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে৷

এই নিয়ে অবশ্য দলের মধ্যেও রয়ে গেছে কিছুটা ধন্দ৷ নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে বিজেপি যেভাবে ভোটের ময়দানে ঝড় তুলছে, তাতে কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে রাহুল গান্ধীকে মোদীর প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরে কংগ্রেসেরও উচিত প্রচার অভিযান শুরু করা এবং বিজেপিকে পালটা জবাব দেয়া৷ এমনটাই মনে করেন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷

তা হলে ঘটা করে ডাকা পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং কী বক্তব্য রাখতে পারেন? তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, গত পাঁচ বছরের এক খতিয়ান তুলে প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইবেন তাঁর সরকার আদপেই নিস্ফলা নয়৷ রাখবেন তাঁর সরকারের উন্নয়নের ছবি যেমন খাদ্য সুরক্ষা আইন, দুর্নীতি-বিরোধী লোকপাল আইন, ন্যূনতম ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি, ইন্দিরা আবাস যোজনা কর্মসূচি ইত্যাদি৷ পাশাপাশি বিজেপির মোকাবিলা করতে রাখবেন সংসদীয় নির্বাচনের এক রোডম্যাপ৷ সমালোচকদের মতে, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর মুখ করলেই যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে? তবে কংগ্রেসের ভোটচিত্রটা পরিষ্কার হতে পারে ১৭ই জানুয়ারি কংগ্রেসের শীর্ষ সংস্থা এআইসিসি-এর অধিবেশনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ