বিএনপি মনে করে প্রধানমন্ত্রী চাইলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে আইনমন্ত্রী ‘আইনগত সুযোগ নাই” মত দিলেও বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটি একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে তাদের আন্দোলন আরো জোরদার করবে। বুধবার ফেনীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাফনের কাপড় পরে ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল সমাবেশ করেছে।
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের ওপর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী কী মতামত দিয়েছেন তা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,"দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই বলে আইনমন্ত্রী মতামত দিয়েছেন।” মতামত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,"আমার মতামতের ফাইল প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে।'' আইনমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন,"খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারায় মুক্তি পেতে হলে আবারও জেলে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।”
সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর থেকে তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার চিকিৎসকেরা বলছেন তিনি লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ছাড়া তার চিকিৎসা সম্ভব নয়।
‘আইনমন্ত্রী আইনের যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা ভুল’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন,"আইনমন্ত্রী আইনের যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা ভুল। ৪০১ সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো পড়লেই তা বুঝা যায়। আইনের এই নির্বাহী আদেশেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব। এটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে মুক্তির আবেদন করতে হবে আইনমন্ত্রীর এই কথাও ঠিক না। মুক্তির শর্ত উঠিয়ে দিলেই হয়। আর আইনমন্ত্রী তো নিজেই বলেছেন তার মতামত প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। প্রধানমন্ত্রী তো এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। আমরা প্রধানমন্ত্রী কী বলেন তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তারপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তিনি একটা কিছু তো বলবেন।”
তিনি আরো বলেন,"আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের ওপর মতামত দিয়েছেন। আমরা আইনজীবীরাও তার সঙ্গে দেখা করে একটি আবেদন দিয়েছি এক মাস হলো। তিনি আমাদের বলেছিলেন বিষয়টি বিবেচনা বরবেন। কিন্তু সেব্যাপারে তিনি কোনো মতামত তিনি এখনো দেননি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,"আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী। যে আইনে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়া হয়েছে সেই আইনেই খালেদা জিয়াকে শর্তহীনভাবে মুক্তি দেয়া যায়। এটা সরকারে সিদ্ধান্তের ব্যাাপার । প্রতিহিংসার কারণে সেটা করা হচ্ছে না। শুধু বিএনপি না দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে উচিত। সবাই এখন প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত দেন তা দেখার অপেক্ষায় আছে।”
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
বিএনপি একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের বাইরে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেবে বলে তিনি জানান। ড. মোশাররফ জানান, বুধবার জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বিএনপির রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন,"আমরা সংলাপে যাব না। কারণ এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। এটা একটা নাটক। কারণ অতীতেও সংলাপ করে কোনো স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হয়নি। আমাদের কথা হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবেনা। তাই সেটা সবার আগে দরকার। তারাই নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন। তার পর থেকে মেয়াদ বাড়িয়ে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। তার মুক্তির শর্ত হলো তিনি দেশে বসে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।
খালেদা জিয়ার চার বছর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হন খালেদা জিয়া৷ এরপর থেকে তিনি কারাগার, হাসপাতাল ও বাসায় আছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
মামলার রায়
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত৷ একই মামলায় তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ পরে আপিলে খালেদার কারাদণ্ডের মেয়াদও বেড়ে ১০ বছর হয়৷ সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন৷ ছবিতে খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad
অভিযোগপত্রে যা বলা হয়েছিল
১৯৯১ সালে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এতিমদের সহায়তায় গঠিত ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলে’ চার কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা জমা হয়েছিল৷ কিন্তু ১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঐ অর্থ দেশের প্রতিষ্ঠিত কোনো এতিমখানায় দেয়া হয়নি৷ পরে ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ গঠন করে সেখানে দুই কোটির বেশি টাকা ট্রান্সফার করে সেটা আসামিরা আত্মসাত করেন বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল৷
ছবি: bdnews24.com
রায় ঘোষণার দিনটি যেমন ছিল
পুরো রাজধানীতে পুলিশের সতর্ক পাহারা ছিল৷ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, হাইকোর্ট ও বকশিবাজারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল৷ দুপুর ১২টায় গুলশানের বাসা থেকে বকশিবাজারের আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া৷ পথে কাকরাইল ও চাঁনখারপুলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়৷ এই সময় বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
আদালত থেকে কারাগারে
রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ২০১৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ঐ কারাগারটিকে ‘সাবজেল’ ঘোষণা করেছিল সরকার৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
কারাগার থেকে হাসপাতালে
চিকিৎসকদের পরামর্শে ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল৷ সেখানে টানা এক মাস দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ৮ নভেম্বর তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
বিএসএমএমইউতে যেতে আপত্তি
২০১৯ সালের ১০ মার্চ খালেদার চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ প্রস্তুত করা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি সেখানে যেতে রাজি হননি৷ খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ANN/The Daily Star
অবশেষে আবারও বিএসএমএমইউ
কারাগারে অসুস্থ হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন৷
ছবি: Bdnews24.com
আবারও কারাদণ্ডের রায়
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন৷ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Jahan
অবশেষে মুক্তি
শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়ে ২৫ মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি পান খালেদা জিয়া৷ একদিন আগে খালেদাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷ শর্ত হলো এই সময়ে খালেদাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে৷ তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না৷
ছবি: bdnews24
নির্বাহী আদেশে মুক্তি
খালেদা জিয়ার বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়েছেন বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
চার দফা সময় বৃদ্ধি
২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছিল৷ এরপর চার দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ ছবিতে খালেদা জিয়ার বাড়ি দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
এটা এখন আইনের ব্যাপার: প্রধানমন্ত্রী
১৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি এটাই কি বেশি নয়?’’ তিনি বলেন, ‘‘আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার, সেটুকু আমি দেখিয়েছি৷ ... এখানে আমার কিছু করার নাই৷ আমার যেটা করার, আমি করেছি৷ এটা এখন আইনের ব্যাপার৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY
স্মারকলিপি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা৷
ছবি: bdnews24
তিনবার হাসপাতালে
২০২০ সালের মার্চে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এ নিয়ে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া৷ এর মধ্যে গত এপ্রিলে তিনি করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন৷
ছবি: bdnews24.com
খালেদা কী অসুখে ভুগছেন
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘খালেদা জিয়া এখন ক্রনিক কিডনি ডিজিজে যেমন ভুগছেন তেমনি ক্রনিক লিভার ডিজিজেও ভুগছেন৷ এখন তার লিভারের সমস্যা বেশি হচ্ছে৷ যার কারণে জিআই (পরিপাকতন্ত্র) ব্লিডিং বেশি হচ্ছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার আগে থেকেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস আছে৷ আর রাইট হার্ট ফেইলিউরসহ আরো কিছু শারীরিক অসুস্থতা বা জটিলতা আছে৷’’
ছবি: Bdnews24.com
স্লো পয়জনিং?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘...একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে দুই বছরের বেশি সময় আটক রাখা হয়েছিল৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি৷ এখন অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, সেই সময়ে খালেদা জিয়াকে কোনো স্লো পয়জনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না, আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই৷’’
ছবি: Asif Mahmud Ove
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী৷ এরপর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছি৷ যা দেখেছি, সাম্প্রতিককালে এত মর্মান্তিক ঘটনা আমি দেখিনি৷ খালেদা জিয়া কতক্ষণ, কয় দিন, কয় মিনিট বাজবেন, তা আমি বলতে পারব না৷ এটা বলতে পারি, তিনি ক্রান্তিকালে আছেন, তাকে হত্যা করা হচ্ছে৷’’