রাজনৈতিক কথা বলতে হলে কাট আউটের সঙ্গে বলুন৷ অভিনব! বিরক্তিকর! পাগলামো!
বিজ্ঞাপন
থাইল্যান্ডের হাওয়ায় এখন ভেসে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্নগুলো৷ কারণ, দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন নিজের প্রমাণ সাইজের কাট আউট নিয়ে৷ নিজের বক্তব্য শেষ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এরপর আর কোনও রাজনৈতিক প্রশ্ন থাকলে ওই কাট আউটকেই করতে হবে৷ এরপর মাইক্রোফোনটি কাট আউটের সামনে রেখে তিনি চলে যান৷
হতবাক সাংবাদিকেরা এরপর খানিক হাসাহাসি করে ফিরে যান৷
কিন্তু প্রয়ুথবিরোধী গোষ্ঠীর মতে, এটা হাসাহাসি করার বিষয় নয়৷ তাঁরা মনে করেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি রাজনৈতিক প্রশ্ন শুনতে না চান, তাহলে তাঁর ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়৷ ইতিমধ্যেই ফেসবুকে প্রয়ুথবিরোধীরা এই মর্মে স্টেটাস পোস্ট করেছেন৷
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মস্করা!
00:24
অন্যদিকে প্রয়ুথের পারিষদেরা জানিয়েছেন, মূলত ‘শিশু দিবস' নিয়ে কথা বলার জন্যই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রয়ুথ৷ সে কারণেই রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি৷ বরাবরই সাংবাদিক বৈঠকে এ ধরনের নানা মজা তিনি করে থাকেন৷ ফলে বিষয়টিকে জটিল করার অর্থ নেই৷
২০১৪ সালে রক্তহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রয়ুথ৷ তিনি ছিলেন থাইল্যান্ডের সেনা প্রধান৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি৷ যদিও কথা দিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাসে নির্বাচন হবে৷ কিন্তু অনেকেই সে গুড়েও বালি দেখছেন৷
বস্তুত ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে একের পর এক হাস্যকর ব্যবহার তিনি করেছেন৷ একটি বৈঠকে সাউন্ড বাইট নেওয়ার জন্য তাঁর সামনে নিলডাউন হয়ে বসেছিলেন এক সাউন্ড টেকনিশিয়ন৷ প্রয়ুথ সেই ব্যক্তির মাথায় হাত বুলিয়ে কান ধরে টেনে হাস্যকর ব্যাপার ঘটিয়েছিলেন৷ পরবর্তীকালে এক চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরার দিকে কলার খোসা ছুড়ে তিনি বলেছিলেন, সামরিক জান্তা সরকারের বিরোধিতা করলে মৃত্যুদণ্ড হবে৷
থাইল্যান্ডের সাংবাদিকেরা প্রয়ুথের এহেন আচরণের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ করেননি৷ কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্তরে করেছেন৷ জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীর বক্তব্য, সকলের একসুরে প্রয়ুথের বিরোধিতা করার সময় এসেছে৷
থাইল্যান্ডের রাস্তার খাবার
থাইল্যান্ডের পথের ধারের খাবার তার স্বাদে বিশ্ববিখ্যাত৷ কিন্তু ব্যাংকক নগর প্রশাসন সদ্য এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাস্তায় আর কোনো খাবারের দোকান থাকবে না৷ তা হলে কি থাইল্যান্ডের এই সড়ক ঐতিহ্যের অবসান ঘটতে চলেছে?