প্রধানমন্ত্রীসহ ফরাসি মন্ত্রী পরিষদের পদত্যাগ
১৪ নভেম্বর ২০১০গত জুনেই প্রেসিডেন্ট সার্কোজি নিশ্চিত করেছিলেন যে, মন্ত্রী পরিষদে বড় ধরণের রদবদল করতে যাচ্ছেন তিনি৷ তখন থেকেই শুরু হয় ফরাসি মন্ত্রিসভা নিয়ে জল্পনা কল্পনা৷ তবে মন্ত্রী পরিষদের কোন সদস্যকে বাদ দেওয়ার চেয়ে বরং স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোটাই ফরাসি ঐতিহ্য৷ তাই চলে আসা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রধানমন্ত্রী ফিয়োঁর নেতৃত্বে একযোগে সরে দাঁড়ালেন গোটা মন্ত্রিসভা৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতেই এই রদবদলের পথে এগুচ্ছেন সার্কোজি৷
অন্য কোন দেশে গোটা মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে গেলে যতোটা হোঁচট খেতে হয়, ফ্রান্সের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়৷ অনেকটা যেন পরিকল্পনামাফিক মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে প্রেসিডেন্টকে সহযোগিতার জন্যই এমন পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা৷ মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হলেও প্রশাসনের কোথাও কোন শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে না ফ্রান্সে৷ কারণ ঠিক একদিন পরেই নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং তারপরই মন্ত্রী পরিষদের জন্য নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেই শোনা যাচ্ছে৷ তাছাড়া নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনও চালিয়ে যাবেন ফিয়োঁ৷ এমনকি অন্যান্য মন্ত্রীরাও পালন করবেন নিজেদের দায়িত্ব৷ যেমন বিগত মন্ত্রী পরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে থাকা বার্নার্ড কু্শনার এখন রয়েছেন আফগানিস্তান সফরে৷ ফলে তিনি ফিরে এসে হয়তো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে৷
সরকারি কর্মকর্তা এবং দেশটির ক্ষমতায় থাকা ইউএমপি দলের মুখপাত্রদের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালেই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট সার্কোজি৷ এমনকি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও ফ্রাঁসোয়া ফিয়োঁকেই দেখা যাবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে জনপ্রিয়তায় প্রেসিডেন্ট সার্কোজিকেও ছাড়িয়ে গেছেন ফিয়োঁ৷ তাই তাঁর পুনর্বহালের সম্ভাবনা বেশি জোরালো৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, মন্ত্রী পরিষদের আকার ছোট করবেন সার্কোজি৷ ৩৭ সদস্যের স্থলে নতুন পরিষদে সদস্য হতে পারে ২৬ জন৷ সার্কোজির নিজের দল ডানপন্থি ইউএমপি থেকে মনোনীত হতে পারেন আরো বেশি সদস্য৷ এছাড়া নতুন পরিষদে নারী সদস্যের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম