ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই মোদীর প্রথম ‘মিশন কাশ্মীর’৷ কারগিল ও লাদাক সফরে গিয়ে মোদী পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের সমালোচনা করে কড়া বার্তা দেন৷ পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে এক গুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন৷
বিজ্ঞাপন
লাদাকের রাজধানী লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনা ও বিমান বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রথমেই সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের৷ প্রথাগত যুদ্ধের শক্তি হারিয়ে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যচ্ছে৷ সে কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধে নয়, জঙ্গি হামলাতেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ ‘ছায়াযুদ্ধ' বলতে সম্ভবত মোদী বোঝাতে চেয়েছেন ভারতও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত দুই কাশ্মীরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতবাদী জঙ্গি হামলা চালানোর কথা৷
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
ওদিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চারিদিকে সাজ সাজ রব৷ রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে বিজেপির পতাকা এবং হোর্ডিং-এ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই উপত্যকা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা৷ কিন্তু এখানকার মানুষ নানা সমস্যার সন্মুখীন৷
কাশ্মীরের জনগণের মন জয় করতে এবং রাজ্যের উন্নতিকল্পে এক গুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, লাদাখে তাঁর সরকারের এই উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে উঠবে তিনটি ‘প'-এর ওপর নির্ভর করে৷ এই তিনটি ‘প' হলো প্রকাশ বা বিদ্যুৎ, পরিবেশ ও পর্যটন৷
রাজ্যের পরিকাঠামোর উন্নয়নে আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি লেহ থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ৩৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইনের শিলান্যাস করেন৷ উদ্বোধন করেন নিম্মো-বাজগো জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের৷ এই সব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁর সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর স্বপ্নকে সাকার করে তুলবে৷
ভারতের নির্বাচন ২০১৪
ভারতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে নয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে৷ ৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ৷ ভোট গণনা হবে ১৬ মে৷ ৮০ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নেবেন৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
জনগণের সরকার
ভারতের সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর৷ পার্লামেন্টে দুটি কক্ষ রয়েছে৷ উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা হিসেবে পরিচিত৷ নিম্নকক্ষে যে দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে৷
ছবি: AP
দৌড়ে এগিয়ে
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে৷ তবে তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পথটা নতুনভাবে বিবেচনা করতে হবে৷ কেননা ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদীকে বয়কট করেছে৷
ছবি: Reuters
কংগ্রেস নেতা
দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের হাল ধরা সোনিয়া গান্ধী এবার দলের দায়িত্বের বোঝা তুলে দিয়েছেন নিজ পুত্র রাহুল গান্ধীর কাঁধে৷ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পৌত্র এবং সবচেয়ে কমবয়সি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে রাহুল৷ কিন্তু গত ১০ বছর ধরে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেও সেখানে বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুর্নীতি বিরোধী নেতা
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে অভিষেক হয় দুর্নীতি বিরোধী দল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘কিং মেকার’ দল
বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images
সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা
এ বছর নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ এটিকে নির্বাচনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো দলই পিছিয়ে নেই৷ এ বছর প্রথম ভোট দেবেন এমন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি৷ এদের মধ্যে ৪০ ভাগ শহরে বাস করে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয়৷ ফলে নতুন এই প্রজন্ম এবারের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা রাখছে৷
মেশিনের মাধ্যমে ভোট
লোকসভার ৫৪৫ টি আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভারতের মানুষ ভোট দেবেন ৫ সপ্তাহ ধরে৷ ইলেকট্রনিক মেশিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে৷ ফলাফল জানা যাবে ১৬ মে৷
ছবি: AP
সংখ্যালঘুদের উপর নির্ভরশীলতা
ভারতে ১৩ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম৷ ১০০টি সংসদীয় কেন্দ্রে ১৫-২০ শতাংশ, ৩৫টি কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ এবং ৩৮টি আসনে মুসলিম ভোটদাতাদের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো৷ কাজেই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটবাক্স নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নমো’ উন্মাদনা
যখন থেকে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে (নমো) তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়; তখন থেকেই সে দেশের গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ব্র্যান্ড হিসেবে ‘নমোকে’ তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়৷ বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে নৈতিকতার প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
লেহ থেকে প্রধানমন্ত্রী যান কারগিলে৷ ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকারের আমলে কারগিল যুদ্ধ জয়ের স্মৃতি এখনো তাজা আছে ভারতবাসীর মনে৷ উল্লেখ্য, ঐ অঘোষিত যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কারগিলে অনুপ্রবেশ করেছিল৷ কিন্তু ঐ সময়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আজকের নওয়াজ শরিফ৷ তৎকালীন সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁকে কিছুই জানতে দেননি৷ আজও সেনাবাহিনীর আধিপত্য এতটাই যে দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিদেশ নীতিতে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হলেও, সেনাবাহিনীর চাপে নওয়াজ শরিফ বেশি দূর এগুতে পারেননি৷ সে দিনের সেই যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী কারগিল সফরে গেলেন৷ কারগিলের চুটাক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী বলেন, কারগিলবাসীর দেশপ্রেম গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে৷ এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং শিল্পোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন মোদী৷
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, মোদীর ‘মিশন কাশ্মীর' যতটা না সরকারি তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক৷ গত সংসদীয় নির্বাচনে রাজ্যের তিনটি আসনই পেয়েছিল বিজেপি৷ এ বছরের শেষ নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন৷ তার প্রচারের কাজও কিছুটা এগিয়ে রাখলেন মোদী৷ কারণ রাজ্যের ৮৭টি বিধানসভা আসনের সিংহভাগ দখল করে বিজেপি সরকার গঠনকেই এখন পাখির চোখ করেছেন মোদী৷ এইসব উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা হয়ত সেদিকে তাকিয়েই৷