1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রবাসে থেকেও বাংলার প্রেমে পাগল কবি সালেহা

২৩ নভেম্বর ২০১১

প্রায় চার দশক ধরে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় সফল বিচরণ কবি ও লেখিকা সালেহা চৌধুরীর৷ প্রবাসে থাকলেও বাংলার রূপ, রস, সৌন্দর্য নিয়ে এখনও লিখে যাচ্ছেন একই ধারায়৷ আগামী বই মেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাঁর ‘অতিপ্রাকৃত গল্প’৷

Titel 1 : Berühmte Dichterin Saleha Chowdhury in Frankfurter Buchmesse Bildunterschrift: Dichterin Saleha Chowdhury in Frankfurter Buchmesse Text: Dichterin Saleha Chowdhury in Frankfurter Buchmesse Datum: 15.10.2011 Eigentumsrecht: AHM Abdul Hai, Freier Mitarbeiter, Bengali Redaktion, DW Stichwort: Dichterin, Saleha, Chowdhury, poet, writer, Frankfurter, Buchmesse, Frankfurt, Bangla, Bengali, Book, Bookfair, Euro, Platz,
কবি সালেহা চৌধুরীছবি: AHM Abdul Hai

লেখিকা সালেহা চৌধুরীর জন্ম রাজশাহী জেলায়৷ তবে পিতার চাকুরির সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশর৷ হলিক্রস কলেজে পড়া শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বাংলায় বিএ এবং এমএ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান সালেহা৷ সেখানে এভারহিল কলেজে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন৷ এরপর থেকে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগৎ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন নেশায় ও পেশায় লেখিকা শিল্পী সালেহা৷ এখন পর্যন্ত তাঁর ৫৪ টি বই প্রকাশিত হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে ১৬ টি উপন্যাস, ১৫ টি অনুবাদ বই, সাতটি ছোটগল্পের বইসহ রয়েছে বেশ কিছু কবিতা, প্রবন্ধ, সমালোচনাগ্রন্থ৷

এ বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বই মেলায় আসেন সালেহা চৌধুরী৷ বই মেলায় ঘোরার এক ফাঁকে ডয়চে ভেলের সাথে আলাপচারিতায় যোগ দেন৷ লেখালেখির শুরু কীভাবে - এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘লেখালেখির শুরু বলে তেমন কোন বিরাট ঘটনা নেই৷ সেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতোই ব্যাপার৷ যেমন হয়তো বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হয়তো একটা কবিতা মাথায় আসল৷ এভাবেই লিখতে থাকি৷ তাছাড়া আমার অনেকগুলো ছোট ছোট ভাগ্নে-ভাগ্নি ছিল যাদেরকে আমার গল্প বলে শোনাতে হতো৷ অথচ আমি খুব বেশি গল্প জানতাম না৷ ফলে তাদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আমাকে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতে হতো৷ এভাবে গল্প বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে৷ পরে সেগুলো লেখার চেষ্টা করি৷''

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অন্যান্যদের সাথে কবি সালেহা চৌধুরীছবি: DW

তাঁর উল্লেখযোগ্য বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘গত বছর একটি বই আমি প্রকাশ করেছি ‘সাহিত্যে ১২ জন নোবেল বিজয়ী নারীর জীবন ও সাহিত্য' শিরোনামে৷ এটা আমার একটা বড় কাজ বলে মনে করি যে, এই বারো জনকে খুঁজে বের করে তাঁদের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম সংগ্রহ করেছি৷ এছাড়া তাদের নোবেল বক্তৃতাগুলোর অনুবাদ করেছি এবং বিশ্বে ১৯০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এতো দীর্ঘ সময়ে কেন মাত্র বারো জন নারী সাহিত্যে নোবেল পেল সেটা নিয়েও কিছু বলার চেষ্টা করেছি সেখানে৷ বলতে গেলে এটা একটা গবেষণাকর্ম হয়ে গেছে৷ এছাড়া আমি ‘নোবেল বিজয়ীদের দুই ডজন' করেও আনন্দ পেয়েছি৷ আরেকটি বই প্রকাশ করেছি আমি৷ সেটা হলো একশ'টি গল্পের সংকলন৷ এর নাম দিয়েছি ‘শতগল্প'৷''

আফ্রিকার পটভূমি নিয়ে নিজের লেখা একটি উপন্যাসের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরলেন সালেহা৷ তাঁর কথায়, ‘‘আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ লেসোথো৷ সেখানকার পটভূমি নিয়ে আমি একটি উপন্যাস লিখেছি৷ এটির নাম ‘থাবিজুর বাবা'৷ এটা যখন ‘শৈলী'তে ছাপা হয় তখন কায়সুল হক বলেন যে, বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম আফ্রিকার উপন্যাস৷''

তিনি দীর্ঘদিন লন্ডনে বাংলা সাহিত্য পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট ও শরৎ একাডেমির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আরো অনেক সমাজসেবামূলক সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ তবে বর্তমানে পড়া এবং লেখার মধ্যেই ডুবে থাকতে পছন্দ করেন তিনি৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলা সম্পর্কে সালেহার অভিব্যক্তি, ‘‘এটি একটি বিশাল বড় আয়োজন৷ চমৎকার বই প্রদর্শনীর আসর৷ তবে এখানে আমার যে বইটি পছন্দ হচ্ছে, সেটি কিনতে পারছি না ভেবে খারাপ লাগলো৷ আসলে এটি বই ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন৷ কে কোন বই প্রকাশ করবে, অনুবাদ করবে এসব বিষয় ঠিক করা হয় এই বই মেলায়৷ তবে আমরা এই মেলায় এসে অনেক বইয়ের নাম জানতে পারি এবং সেগুলোর বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি৷''

সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ